প্রশ্নঃ ১২৭৯১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।আমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মরত আছি,,চাকরিতে আসার পর থেকে নিয়মিত সেভ করতে হচ্ছে,,দাঁড়ি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি,,দাঁড়ি রাখার অনুমতি পেতে গেলে উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা লাগে এবং ভাইভার সম্মুখীন হতে হয়,,তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাকরির বয়স কম হলে আবদেন সরাসরি নাকচ করা হয়,,আর তারা একটা নির্দিষ্ট সময় বেধে দেই যে এত বছরের আগে বা এই পদবি পাওয়ার আগ অব্দি কেউ দাঁড়ি রাখার জন্য আবেদন করতে পারবেনা,,এছাড়া এই চাকরিতে অফিসার এবং সৈনিক উভয় পদে মেয়েরা চাকরি করতেছে,,পুরুষরাও যেই ইউনিফর্ম পরিধান করে মেয়েরাও একই ইউনিফর্ম পরিধান করে এবং সবাই মিলে একসাথে অফিস করতে হচ্ছে,,একটা বেপর্দার পরিবেশ,,যেখানে সব সময় চোখের হেফাজত করা সম্ভব হচ্ছে না,,আমার প্রশ্ন হোলোএক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? চাকরিটা কি ছেড়ে দিবো নাকি চালিয়ে যাবো? যদি চাকরিটা চালিয়ে যায় তাহলে উক্ত আল্লাহর অবাধ্যতা গুলোর কারণে কি আমার আমলনামায় প্রতিনিয়ত গোনাহ লেখা হবে এবং আমাার বেতন টা কি অবৈধ হবে??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার বেতন বৈধ।
দ্বীনের উপর পুরোপুরি চলার জন্য যদি চাকরি ছেড়ে দেন, তাহলে তো সেটি হবে সবচে হিম্মতের কাজ। আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদেরকে বিপদে ফেলেন না। অবশ্যই কোন না পথ বের করে দেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন,
{وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا } [الطلاق: 2]
অর্থাৎ, আর যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার পথ বের করে দেন।
আর যদি নিজেকে শরিয়তগর্হিত কাজ থেকে বাচিয়ে চাকরি চালিয়ে যেতে চান, সেটারও বৈধতা আছে এবং এ চাকরির মাধ্য দেশ ও জনগনের সেবা করার মাধ্যমে সাওয়াব অর্জনেরও সুযোগ আছে।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন