আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নামাজ ত্যাগের শাস্তি কি?

প্রশ্নঃ ১২৪৯৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১.নামাজ ত্যাগ করার ফলে‌ কী শাস্তি ভোগ করতে হবে।২.হস্তমৈথুন কারী কে কী শাস্তি ভোগ করতে হবে।৩. আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি আমি প্রত্যেক দিন ভাবি আজ থেকে পড়াশোনা করবো , নামাজ কালাম পড়বো, কুরআন শরীফ পড়বো কিন্তু যখনই পড়াশোনা করতে যায় তখনই আলসামির কারণে পড়তে পারি না এবং রুটিন অনুযায়ী পড়লে পড়া কনটিনিউ করতে পারি না অর্থাৎ একদিন ভালো ভাবে পড়লে আর পরের দিন পড়া হয় না।আর আমি ভাবি আজ থেকে নামাজ পড়বো কিন্তু যেই নামাজের সময় হয় সেই আলসামির কারণে নামাজ পড়তে পারি না এইজন্য হুজুর নামাজ ত্যাগ করার শাস্তি বর্ণনা করবেন যা দেখে কোনোদিন নামাজ ত্যাগ করার শাস্তি যেন মাথায় না আসে।আর আমি হস্তমৈথুন এ অ্যাডিক্টেড হয়ে গেছে আর এ থেকে কীভাবে বাঁচতে পারি এবং এর শাস্তি কি এভাবে বর্ণনা করবেন যেন আর কোন দিন হস্তমৈথুন বা যিনা করার কথা মাথায় না আসে।আস্লামালাইকুম রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,

৩১ অক্টোবর, ২০২৩

সাতক্ষীরা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১. ইমানের পর ইসলামে সবচে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামায। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বিভিন্ন স্থানে নামাযের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। এমনিভাবে নামায ত্যাগ করলে কেমন শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে তাও বলে দিয়েছেন। তার মাধ্যমে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন, নিম্নে নামাযের গুরুত্ব ও তা ত্যাগ করলে কেমন শাস্তির সম্মুখিন হতে সে সংক্রান্ত কিছু আয়াত ও হাদিস তুলে ধরা হলো,,,,,,,
{فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا (59) إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُولَئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ شَيْئًا (60) } [مريم: 59 - 61]
কিন্তু তাঁদের পরবর্তী লোকেরা নামাজের ব্যাপারে গাফিল হয়ে পড়ে। এর পরিণতি হলো জাহান্নাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, “নবী ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের পর এলো এমন এক অপদার্থ বংশধর, যারা নামাজ বিনষ্ট করল এবং প্রবৃত্তির পূজারি হলো। সুতরাং তারা ‘গাই’ নামক জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। তবে যারা এরপর তাওবা করে নিয়েছে, ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তারাই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোনো ধরনের জুলুম করা হবে না।” (মারইয়াম, আয়াত : ৫৯-৬০)
সুরা মুদ্দাসসিরে এসেছে, কিয়ামতের দিনি জাহান্নামিদেরকে তাদের জাহান্নামি হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হবে এভাবে,
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ (42) قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ (43) وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ (44) وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ (45) وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ (46) حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ (47)
‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদেরও খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৪২-৪৭)

অন্যদিকে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি এবং কুফর ও শিরকের মধ্যে ব্যবধান শুধু নামাজ না পড়ারই। যে নামাজ ছেড়ে দিল সে কাফির হয়ে গেল (কাফিরের মতো কাজ করল)।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮২; তিরমিজি, হাদিস : ২৬১৯)

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমাদের ও কাফিরদের মধ্যে ব্যবধান শুধু নামাজেরই। যে নামাজ ত্যাগ করল সে কাফির হয়ে গেল।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৬২১ ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৮)

ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দিলে মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর থেকে তাঁর জিম্মাদারি বা রক্ষণাবেক্ষণ তুলে নেন। মুআজ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে দশটি নসিহত করেন, তার মধ্যে বিশেষ একটি এটাও যে তুমি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করো না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করল তার ওপর আল্লাহ তাআলার কোনো জিম্মাদারি থাকল না।’ (মুসনাদ আহমাদ : ৫/২৩৮)
নামাজ না পড়লে ইহকালেও বহু ক্ষতি সাধিত হয়। বুরাইদা (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ পরিত্যাগ করল তার সব আমল বরবাদ হয়ে গেল।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫৩, ৫৯৪)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে গেল তার পরিবারবর্গ ও ধন-সম্পদের যেন বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫২; মুসলিম, হাদিস : ৬২৬)

নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি বাহ্যিক নিদর্শন। তাই উমর (রা.) বলতেন, ‘নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফির।’ (বায়হাকি, হাদিস : ১৫৫৯, ৬২৯১)

আলী (রা.) বলেন, ‘যে নামাজ পড়ে না সে কাফির।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৬২৯১)

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বলেন, ‘যে নামাজ পড়ে না সে মুসলমান নয়।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৬২৯১)

অর্থাৎ নামাজ পরিত্যাগ করা কাফিরদের কাজ, যে মুসলমান নামাজ পড়ল না সে যেন কাফিরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ করল।
২. হস্তমৈথুন করার শাস্তি।
হস্তমৈথুন করা একটি জঘন্য গুনাহের কাজ। রাসূল সা. হাদিসে এর কদর্যতা বর্ণনার পাশাপাশি তার ভয়াবহ শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন,
{وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ (5) إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ} [المؤمنون: 5، 6]
অর্থাৎ, “আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।”[সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬]
এমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আমরা এমন কিছু যুবকে ছিলাম যাদের কিছু ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যার باءة (বিয়ের খরচ বহন ও শারীরিক সামর্থ্য) রয়েছে সে যেন বিয়ে করে ফেলে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কারণ তা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।”[সহীহ বুখারী (৫০৬৬)]

তবে হ্যা, কখনো যদি এমন হয় যে, হস্তমৈথুন না করলে নিশ্চিত জিনায় লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে জিনা থেকে বাঁচার জন্য হস্তমৈথুন করলে অবশ্যই এর গুনাহ জিনা থেকে কম হবে।

এ ধরণের গুনাহের অভ্যাস থেকে বেচে থাকার জন্য নিম্নের পরামর্শগুলো মেনে চলার জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে,
এই অভ্যাস থেকে বাঁচার প্রেরণা যেন হয় আল্লাহ্‌র নির্দেশ পালন ও তাঁর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা।
স্থায়ী সমাধান তথা বিয়ের মাধ্যমে এ অভ্যাসকে প্রতিরোধ করা। কারণ এটাই ছিল যুবকদের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ।
নানা রকম কু-চিন্তা ও খারাপ ভাবনা থেকে দূরে থাকা। দুনিয়া বা আখেরাতের কল্যাণকর চিন্তায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা। কারণ কু-চিন্তাকে বাড়তে দিলে সেটা এক পর্যায়ে কর্মের দিকে নিয়ে যায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রয়ের বাইরে গিয়ে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন তা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
দৃষ্টিকে নত রাখা। কারণ কোন ব্যক্তি বা অশ্লীল ছবির দিকে দৃষ্টিপাত করা, সেটা জীবিত মানুষের হোক কিংবা আঁকা হোক, বাঁধহীন দৃষ্টি ব্যক্তিকে হারামের দিকে নিয়ে যায়। এ কারণে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেছেন: “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে”[সূরা নূর, আয়াত: ৩০] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তুমি দৃষ্টির পর দৃষ্টি দিবে না”[সুনানে তিরমিযি (২৭৭৭), আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন] তাই প্রথম দৃষ্টি, যে দৃষ্টি হঠাৎ করে পড়ে যায় সেটাতে গুনাহ না থাকলেও দ্বিতীয় দৃষ্টি হারাম। এছাড়া যে সব স্থানে যৌন উত্তেজনা জাগিয়ে তোলার উপকরণ বিদ্যমান থাকে সেসব স্থান থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়।
নানাবিধ ইবাদতে মশগুল থাকা। পাপকাজ সংঘটিত হওয়ার মত কোন অবসর সময় না রাখা।
এ ধরণের কু-অভ্যাসের ফলে যেসব শারীরিক ক্ষতি ঘটে থাকে সেগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। যেমন- দৃষ্টিশক্তি ও স্নায়ুর দুর্বলতা, প্রজনন অঙ্গের দুর্বলতা, মেরুদণ্ডের ব্যথা ইত্যাদি যেসব ক্ষতির কথা চিকিৎসকরা উল্লেখ করে থাকেন। অনুরূপভাবে বিভিন্ন মানসিক ক্ষতি; যেমন- উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, মানসিক পীড়া অনুভব করা। এর চেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে- নামায নষ্ট করা। যেহেতু বারবার গোসল করা লাগে, যা করা কঠিন। বিশেষতঃ শীতের রাত্রিতে। অনুরূপভাবে রোযা নষ্ট করা।
ভুল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি পরিতুষ্টি দূর করা। কারণ কিছু কিছু যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার ধুয়া তুলে এই কু-অভ্যাসকে জায়েয মনে করে। অথচ হতে পারে সে যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতার নিকটবর্তী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।
কঠিন ইচ্ছা ও শক্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। শয়তানের কাছে হার না মানা। একাকী না থাকা; যেমন একাকী রাত কাটানো। হাদিসে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন।[মুসনাদে আহমাদ, হাদিসটি ‘সহিহুল জামে’ তে রয়েছে]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশিত প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করা; সেটা হচ্ছে– রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে এবং যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে। এর সাথে উদ্ভট আচরণ থেকে সাবধান থাকা; যেমন- হস্তমৈথুন পুনরায় না করার ব্যাপারে শপথ করা কিংবা মানত করা। কারণ যদি কেউ পুনরায় করে ফেলে তাহলে সে ব্যক্তি পাকাপোক্ত-শপথ ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবে। অনুরূপভাবে যৌন উত্তেজনা নিরোধক ঔষধ সেবন না করা। কেননা এসব ঔষধ সেবনে শারীরিক ঝুঁকি আছে। তাছাড়া যৌন উত্তেজনা একেবারে নিঃশেষ করে ফেলে এমন কিছু সেবন করা থেকে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা সাব্যস্ত হয়েছে।
ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলা। যেমন- ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিষেধ আছে।
ধৈর্য ও সংযমের গুণে নিজেকে ভূষিত করা। কারণ হারাম কাজ থেকে ধৈর্য রাখা আমাদের উপর ফরয; যদিও আমাদের মাঝে সেগুলো করার চাহিদা থাকে। আমাদের জানা উচিত, যদি আমরা নিজেকে সংযমী রাখার চেষ্টা করি তাহলে পরিশেষে সেটা ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য আখলাকে পরিণত হবে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সংযম অবলম্বন করে আল্লাহ্‌ তাকে সংযমী বানিয়ে দিবেন, যে ব্যক্তি অমুখাপেক্ষী থাকার চেষ্টা করবেন আল্লাহ্‌ তাকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দিবেন, যে ব্যক্তি ধৈর্য রাখার চেষ্টা করবেন আল্লাহ্‌ তাকে ধৈর্যশীল বানিয়ে দিবেন। কোন মানুষকে ধৈর্যের চেয়ে প্রশস্ত ও কল্যাণকর আর কোন দান দেয়া হয়নি।”[সহিহ বুখারী (১৪৬৯)]
কেউ যদি এই গুনাহটি করে ফেলে তাহলে তার উচিত অনতিবিলম্বে তওবা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, নেকীর কাজ করা এবং ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে হতাশ না হওয়া। কেননা এ পাপটি একটি কবিরা গুনাহ।
সর্বশেষ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র কাছে ধর্ণা দেয়া, দোয়ার মাধ্যমে তাঁর কাছে মিনতি করা, তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এই কু-অভ্যাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায়। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা দোয়াকারীর ডাকে সাড়া দেন।

৩. আর কোন কাজে নিয়মিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে আপনি পড়াশুনার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সব থেকে কার্যকরী বিষয় হলো রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী চলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। রুটিন ছুটে গেলে নিজের উপর কোন শাস্তি নির্ধারণ করা। সেটা হতে পারে, কয়েক রাকাত নফল নামায বা দান সদকা। আর নির্ধারিত শাস্তি হালকা মনে হলে আস্তে আস্তে পরিমাণ বাড়ানে।
মোটকথা সবচে বড় বিষয় হলো আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব নিজের ভিতর জাগ্রত রাখা। আর তার জন্য নিজস্ব চেষ্টার পাশাপাশি মুত্তাকি কোন আলেমের সরনাপন্ন হতে পারে এবং এটিই সবচে কার্যকরী প্রমাণিত হবে আশা করি।
আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
উস্তাযুত তাফসির, মারকাযুল বুহুসিল ইসলামিয়া, বাড্ডা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯৪৯১৯

মোবাইলের ব্লুটুথে মাগরিবের আজান চালিয়ে দিয়ে ইফতার করতে চাওয়া


১১ মার্চ, ২০২৫

সিন্দুর পুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

৪১১৫৬

বিয়ের আগে যিনা করা নারীকে বিয়ে করা কি আবশ্যক?


২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

Al-Madinah al-Munawwarah ৪২৩১৬

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪১৮৪৬

চিঠিপত্রে বা ম্যাসেজে পাঠানো সালামের জবাব


৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৯৭৫৩

স্বামীর পকেট থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে??


১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy