প্রশ্নঃ ১২৪৯০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের দেশে প্রতি নিয়ত বিভিন্ন NGO প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে ।সম্প্রতি কালে সমাজ উন্নয়ন এর নাম দিয়ে সুদে অর্থ লেনদেন করছে।সমাজের মানুষ বুঝতে চেষ্টা করছেনা যে কোরআন এ সুদ হারাম করা হয়েছে ।সুদ সাথে জড়িত লোক জন অর্থের লেনদেনে সাথে জড়িত থাকায় আমাদের কথা তোয়াক্কা করে না । এই সব মুসলিম কে কোরআন এ সুদের আয়াত পাঠ করে শুনালেও কোন বুঝ আসেনা।এই সব মুসলিম ভাই দের কোন হিকমা দিয়ে বুঝাব যে সুদ বর্জন করুন ?
৮ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। একটি জীবনবিধান দিয়েছেন। যারা তা মেনে চলেবে সফলকাম হবে। আর যারা মানবে না বিফল হবে। আখেরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হবে। সংশোধন ও বাঁচার ক্ষেত্রে মানুষ সর্বপ্রথম তার নিজের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। তার দায়িত্ব হলো, নিজেকে পরিপূর্ণ দ্বীনের মধ্যে প্রবেশ করানো। আল্লাহ তাআলা কুরআনের এক আয়াতে বলেন,
{ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ } [البقرة: 208]
অর্থাৎ, হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।
অপর এক আয়াতে বান্দার দায়িত্বের ধারাবাহিকতা বর্ণন করেন এভাবে,
{ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا } [التحريم: 6]
অর্থাৎ, হে মুমিনগণ তোমরা নিজেকে ও তোমাদের পরিবারকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করো। [আত-তাহরিম : ৬]
নিজেকে দ্বীনের পথে আনার পর। নিজের পরিবারের কেউ দ্বীন না মানলে, প্রতিবেশি কেউ দ্বীন না মানলে, নিজের কোন মুসলিম ভাই দ্বীন না মানলে, আমাদের করণীয় কী হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন,
{ ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ} [النحل: 125]
অর্থাৎ, তুমি তোমার রবের দিকে আহ্বান করো হিকমত ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করো উত্তম পন্থায়। [নাহল : ১২৫।
সুতরাং স্থান-কাল-পাত্র ভেদে অন্যদেরকে দ্বীনের কথা বুঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যদি না মানে। ফিরে না আসে। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কেননা, হিদায়াত কোন মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয় নয়। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সা.-কে সম্বোধন করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি যাকে মহব্বত করেন তাকে হিদায়াত দান করতে পারবেন না; বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন।
সুতরাং আমাদের কাজ হবে নিজে দ্বীনের উপর অটল থাকা, থাকার চেষ্টা করে যাওয়া এবং নিজের সাধ্যের ভিতরে প্রজ্ঞার সাথে দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি হিদায়াতের দুআ করতে থাকা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন।
والله اعلم بالصواب
মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
উস্তাযুত তাফসির, মারকাযুল বুহুসিল ইসলামিয়া, বাড্ডা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১