আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১২৪৮৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সূরা ইয়াসিন, সূরা ওয়াকিয়া, সূরা তাবারাকাল্লাযি, শুক্রবারে সূরা কাহাফ এগুলো পড়ার যে ফজিলত আছে,এখানে কেউ যদি পড়ে একজন পাশে বসে মনোযোগের সাথে শুনে সেও কি এটার আওতাভুক্ত হবে ? নাকি শুধু তেলাওয়াতকারী আমলের সওয়াব পাবে, যে শুনবে সে সমান আমলের সওয়াব পাবে ? নাকি তার জন্য কমবেশি হতে পারে, নাকি নিজেই তেলাওয়াত করা জরুরি ? এমনিতেতো যে তেলাওয়াত করে যে শোনে সে নাকি সমান সওয়াব পায় এরকম জানি তবে এগুলো যে বিশেষ আমল এক্ষেত্রে কি শুনলে হবে কিনা,

৮ জানুয়ারী, ২০২২

ঢাকা ১২১২

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




কুরআন তিলাওয়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কুরআনের অনেক আয়াত ও রাসূল সা.-এর অনেক হাদিসে কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
{ الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلَاوَتِهِ أُولَئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ} [البقرة: 121]
অর্থাৎ, আমি যাদেরকে কিতাব দান করেছি, তারা সেটাকে যথাযথভাবে তিলাওয়াত করে, তারা তার উপর বিশ্বাস করে। আর যারা তা অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। [আল-বাকারা : ১২১]
অন্য এক আয়াতে বলেন,
{ وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ} [الأعراف: 204]
অর্থাৎ, আর যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং চুপ থাকবে, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হতে পারো। [আরাফ : ২০৪]
রাসূল সা. হাদিসে বলেন,
عبدالله بن مسعود رضي الله عنه أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قال: «من قرأ حرفًا من كتاب الله فله به حسنة، والحسنة بعشر أمثالها، لا أقول: ألم حرف بل ألف حرف ولام حرف وميم حرف (صحيح) صحيح الترمذي ج3 حديث 2327.
অর্থাৎ, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন থেকে একটি হরফ পড়বে তার কারণে তাকে একটি নেকি দান করা হবে, এবং তা আরও দশগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আমি বলছি না ‘আলিফ লাম মিম’ একটি হরফ; বরং ‘আলিফ’ একটি হরফ, ‘লাম’ একটি হরফ এবং ‘মিম’ আরেকটি হরফ। [তিরমিযি : ৩/২৩২৭]
এমনিভাবে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণেরও ফজিলত রয়েছে। যেমনটি আমরা উল্লেখিত প্রথমে আয়াতে দেখতে পাই, তাতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা মনোযোগ দিয়ে শুনলে এবং চুপ থাকলে অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবে।
এছাড়া হাদিসেও কুরআন তিলাওয়াত শুনার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
তবে শুনার সাওয়াব তিলাওয়াতকারীর সাওয়াবের মত হবে না; কেননা যে তিলাওয়াত করে সে শুনেও। তবে হ্যা, প্রত্যেকের সাওয়াবের পরিমাণ নির্ধারণ হবে প্রত্যেকের ইখলাসের ভিত্তিতে। সুতরাং যেখানে সরাসরি কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে ওই ফজিলত অর্জন করার জন্য তিলাওয়াতই করতে হবে। তবে হ্যাঁ শ্রবণ করলে তার সাওয়াব অবশ্যই পাওয়া যাবে; কেননা এটিও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত; কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআন তিলাওয়াত হলে শুনতে বলেছেন এবং চুপ থাকতে বলেছেন। এমনিভাবে যে তিলাওয়াত করতে পারে না সে একেবারে কিছু না করার চেয়ে শ্রবণ করাই উত্তম হবে। والله أعلم بالصواب।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
উস্তাযুত তাফসির, মারকাযুল বুহুসিল ইসলামিয়া, বাড্ডা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৫৯৭৬

স্ত্রীর সাথে কথা বন্ধ রাখা


২২ জানুয়ারী, ২০২৫

১৭০২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

৫০৮৫৫

মিম্বার ছাড়া কি খুতবা দেওয়া জায়েজ হবে?


৫ জানুয়ারী, ২০২৪

Jharka

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪৫২৩৬

forses.i এটা কি হালাল না হারাম?


৮ নভেম্বর, ২০২৩

কালিয়াকৈর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৬৬৪৩৬

তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে ফেললে!


৪ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy