আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১২০৮৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১) মসজিদে দুনিয়াবি কথা বললে ৪০ বছরের ইবাদাত নষ্ট হয়ে যায় কথাটা কতটুকু সত্য? হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হতাম। ২) মিম্বরের ভিতরে নামাজ পড়ার হুকুম কি? ৩) কি কি বস্তু দ্বারা মহরানা আদায় করা যায়?

২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
বাঁশখালী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم



 প্রশ্নে উল্লেখিত কথাটি লোকমুখে হাদীস হিসেবে প্রসিদ্ধ হলেও বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। ‘মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলার দ্বারা নেক আমলসমূহ এমনভাবে নষ্ট হয়ে যায় যেমন আগুন শুকনো কাঠকে ধ্বংস করে দেয়’- এ বর্ণনাকে মোল্লা আলী কারী রাহ. ও আল্লামা সাফারীনী রাহ. জাল বলেছেন। আর ‘যে ব্যক্তি মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলে আল্লাহ তাআলা তার ৪০ (চল্লিশ) বছরের আমল নষ্ট করে দেন’- এ বর্ণনাটিকে আল্লামা সাগানী রাহ. এবং আল্লামা কাউকজী রাহ. এবং মোল্লা আলী কারী রাহ.সহ আরো অনেক মুহাদ্দিস জাল বলে উল্লেখ করেছেন। তাই ঐ দু’টিকে হাদীস হিসেবে বর্ণনা বা প্রচার করা জায়েয হবে না।

উল্লেখ্য যে, মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদের ভিত্তিই হল নামায, যিকির, তালীম ও অন্যান্য দ্বীনী আমলের জন্য। তাই দুনিয়াবি অনুষ্ঠান, মিটিং কিংবা নিছক দুনিয়াবি কথাবার্তা ও কাজকর্মের জন্য মসজিদে যাওয়া এবং সেখানে অবস্থান করা নাজায়েয। তবে কোনো দ্বীনী কাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়ার পর প্রসঙ্গক্রমে অন্যের বিঘ্ন না করে দুনিয়াবি কোনো বৈধ কথাবার্তা বলা জায়েয আছে। এক্ষেত্রে কারো নামায বা ইবাদতে বিঘ্ন না হওয়া শর্ত। আর অন্যান্য ইবাদতকারীর অসুবিধা করে জোরে জোরে যিকির বা তিলওয়াত করাও নাজায়েয।

-আলমাসনূ, মোল্লা আলী আলকারী পৃ. ৯২, ১৮২; গিযাউল আলবাব ২/২৪২; আলবাহরুর রায়েক ২/৬৩; শরহুল মুনয়া পৃ. ৬১০; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬২

বাকি প্রশ্ন গুলো আলাদা ভাবে করুন।


والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন