আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

হিংস্র বিড়াল পালনের বিধান

প্রশ্নঃ ১২০৬২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একটি বিড়াল পালন করি।বিড়ালটি এখন অত্যন্ত হিংস্র হয়ে গেছে এবং কামড় ও আচর দিয়ে রক্তান্ত করে।আসল সমস্যা হচ্ছে বিড়ালটি যেখানে সেখানে প্রসাব পায়খানা করে, যার ফলে আমার নামাজ হয়না।অনেক চেষ্টা করেছি তাকে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রসাব পায়খানা করানোর কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা।যেখানে সেখানে যখক্ন তখন প্রসাব পায়খানা করে ফলে নামাজ হয়না।এমন অবস্থায় আমার করনীয় কি?আমি যদি বিড়ালটাকে দূরে কোথাও ফেলে আসি তাহলে আমার কি কোনো গুনাহ হবে? বিড়ালটা আমার অনেক আদরের কিন্তু এখানে তার জন্য আমার ফরজ ইবাদত হচ্ছেনা এমতাবস্থায় তাকে ফেলে আসলে আমার গুনাহ হবে?আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সে দিন দিন হিংস্র হচ্ছে এবং তার যেখানে সেখানে প্রসাব পায়খানা করার অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন হচ্ছেনা।এমন অবস্থায় আমার কি করা উচিত দয়া করে জানাবেন।

১৯ মে, ২০২৫
গোবিন্দগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


বিড়ালটিকে পাকড়াও করে দূরে বহুদূরে ছেড়ে আসুন। বিড়ালের হিংস্রতা ও নাপাকি থেকে বাঁচা আপনার জন্য জরুরী।
প্রাণীটিকে কোথাও ছেড়ে আসলে আপনার গুনাহ হবে না।
আল্লাহর মাখলুককে খাদ্য পানীয় না দিয়ে বন্দী করে রাখলে গুনাহ হয়। আপনি তো তাকে বন্দী করছেন না। বরং ছেড়ে দিয়ে আসবেন। সে তার মত করে আল্লাহর জমিনে থেকে তার রিজিক অন্বেষণ করে গ্রহণ করবে।

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ دَخَلَتِ امْرَأَةٌ النَّارَ فِي هِرَّةٍ رَبَطَتْهَا، فَلَمْ تُطْعِمْهَا، وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خِشَاشِ الأَرْضِ ‏"‏‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ‏.‏

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত।
আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।
—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩১৮

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন