و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

: পরিবারের প্রধান অভিভাবক বা কোন মহিলার স্বামীর উপার্জন যদি হারাম হয়,,,,

 এই অবস্থায় ওই ব্যক্তির স্ত্রীর ওপর ওয়াজিব হবে স্বামীকে হারাম ও অবৈধ জীবিকা উপার্জনের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সাধ্যানুযায়ী চেষ্ট-প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। কিন্তু স্ত্রীর আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও যদি স্বামী এই হারাম ব্যবসা বা চাকরি ছাড়তে রাজি না হয়, এই অবস্থায় স্ত্রী যদি বৈধ পন্থায় নিজের জীবিকানির্বাহের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়, তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর হারাম সম্পদ খাওয়া জায়েয হবে না। কিন্তু যদি স্ত্রীর জন্য জীবিকানির্বাহ করা অসম্ভব হয়, তাহলে এই অবস্থায় স্বামীর সম্পদ থেকে খাওয়া তার জন্য জায়েয হবে। তবে হারাম সম্পদ খাওয়ার গোনাহ স্বামীর স্কন্ধে অর্পিত হবে। নাবালেগ, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-সন্তানদের ক্ষেত্রেও এই একই হুকুম।

তবে বালেগ, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানরা নিজে উপার্জন করে খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করবে। পিতার সম্পদ থেকে খাওয়া-দাওয়া করবে না। এই অবস্থায় স্ত্রীর জন্য হারাম সম্পদ খাওয়া জায়েয হওয়ার ব্যাপারে

ফুকাহায়ে কেরামের সুস্পষ্ট ব্যক্তব্য রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে আবেদীন

(রহ.) লেখেন :

إمرأة زوجها في أرض الـجـوار ، إذا اكـلـت مـن طـعـامـه ولـم يـكـن عـيـنـه

عصبا، أو اشـتـرى طـعـامـا أو كـسـوة مـن مـال أهـلـه لـيـس يـطـيـب، فهي في

سعة من ذلك، والا ثم على الزوج.

'যদি স্বামী খাবার-দাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম সম্পদের দ্বারা কিনে নিয়ে আসে, তাহলে স্ত্রীর জন্য তা খাওয়া এবং পরিধান করা জায়েয হবে। তবে এই কাজের গোনাহ বর্তাবে স্বামীর ওপর।' (ফাতাওয়া শামী: খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ১৯১)

والله اعلم بالصواب