আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১৭৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, তিন শুক্রবার জুম্মা নামাজ আদায় না করলে সে কী ইসলামে মধ্যে থাকবে?

২০ ডিসেম্বর, ২০২১
Maharashtra ৪১২১১৪

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





মুসলমানের খাতা থেকে নাম কেটে যাওয়া মানে কাফির হয়ে যাওয়া নয়। মুসলিম কম্যুনিটি থেকে দূরে সরে যাওয়া। অতএব, মারাত্মক অসুস্থতা, দূরের ভ্রমন, যে দেশ বা সমাজে জুমার ব্যবস্থা নেই বা শরীয়তসম্মত অন্য কোনো কারণ ছাড়া একাধারে তিন জুম্মা ছেড়ে দেওয়া খুবই নিন্দনীয় কাজ। অনেকটা ইসলাম থেকে খারিজ হওয়ার মতই। বিশেষ করে মুসলিম শাসন এলাকার যখন সামাজিকভাবে জুমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় আদায় করা হয়। আর যে জনপদে খেলাফত বা শরীয়তী শাসন কায়েম থাকে এবং শাসক বা তার প্রতিনিধি জুমা পড়ান, সেখানে উপস্থিত থাকা অনেক বেশি জরুরী। এটি কেবল সওয়াবের জন্য নয়, জাতীয় সংহতি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওয়াজিব হুকুম, তখন সেই জুমার নামাজকে আরও বেশি ভাবগম্ভীর ও অবশ্য পালনীয় করে তোলে। সে জুমা হাজারগুণ অধিক মহিমান্বিত। সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহতায়ালা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)। আর এর পর তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)। তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।৷

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন