আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১৪৭০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি মাসায়েল অংশে প্রশ্ন করেছিলাম ওয়াজ মাহফিলের বিকট আওয়াজ নিয়ে। আমাকে উত্তর দেয়া হয়েছে গান-বাদ্য ইত্যাদির আওয়াজের সাথে তুলনা করে। আমার প্রশ্ন হল গান-বাদ্য তো হারাম। ইসলামের নামে এগুলো তো কেউ করে না, করলেও ইসলাম সেটা সমর্থন করে না। কিন্তু ওয়াজ মাহফিলের বিকট আওয়াজ, সেটা তো ইসলামের নামে করা হয়। তাহলে ইসলাম কীভাবে এটা সমর্থন করে ? ইসলাম সমর্থন না করলে আলেম সমাজ কিভাবে সেখানে বয়ান করেন ? ইসলাম তো অনুকরণীয় আদর্শ। চাইলে ইনডোর সাউন্ড সিস্টেম করা যায়। না করা গেলে বন্ধ থাকবে। কিন্তু মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে কষ্ট দেওয়া কীভাবে শরীয়তে জায়েজ হতে পারে ?

১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
মৌলভীবাজার

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আগের উত্তরটি বুঝে থাকলে আপনার এই বিষয়টি নিয়ে আবার প্রশ্ন করার কথা নয়। আগের উত্তরের প্রথম প্যারার কথা নিশ্চয় আপনি লক্ষ করেছেন। বিষয়টি যে ক্ষতিকর এবং নিন্দনীয় সেটা কি ওখানে বলা হয়নি? এর কারণে যে, মানুষের কষ্ট হয় সেটা কারো ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নাই। এবং প্রচলিত এই পদ্ধতি বন্ধ করার ব্যাপারে সাধ্যের মধ্যে থেকে আমরাও চেষ্টা করছি সেই কথাটাও কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে। তবে আপনি হয়তো ভেবেছেন আমরা আপনার কথা মতো এটাকে সরাসরি হারাম বলে দিই!

দীর্ঘদিনের চলে আসা জনগণ, সরকার, পরিবেশ ও সংস্কৃতির সাথে মিশে থাকা একটি ফায়দাজনক রীতিকে সরাসরি হারাম করে দিই!! এর কারণে তার খারাপ দিকটা কি সামনে চলে আসবে না। মাহফিলের মতো একটি মহতী ধারা বন্ধ হয়ে যাবে না!!


পরবর্তী উদাহরণগুলো আপনার সদয় অবগতির জন্যই পেশ করা হয়েছে। কারণ মাহফিলের চলমান এই শব্দদূষণের জন্য সমাজের ওই অপসংস্কৃতিগুলোর দায়ও কোনো অংশে কম নয়। পরিশেষে এই কথা বলবো মাহফিলের এই বিকট আওয়াজ কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

আমাদের উপস্থাপনের সাথে আপনি একমত নাও হতে পারেন। সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। তবে আমারা বিষয়টিকে এভাবেই সমাধান করতে চাই যেন একটা ক্ষতিকর দিক বন্ধ করতে গিয়ে আরও বড়ধরণের কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৯৯৫১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমরা ৪বোন ১ভাই, ভাই সবার ছোট, বাবা মা বেচে আছেন আলহামদুলিল্লাহ, ৪বোনই বিবাহিতা, ভাই এখনো ছাত্র(২৬)।
আমাদের ঢাকায় একটি ৩তলা বাড়ি আছে, গ্রামে পাকা ১তলা বাড়ি আছে শহরে, এ ছাড়াও কিছু ধানী জমি আছে আমার বাবার। গ্রামে আমার ভাই এর নামে বাবা আলাদা জমি কিনে রেখেছেন। গ্রামের বাড়ির জমিসহ বর্তমান মূল্য ২কোটির মতো বার আরও বেশি। গ্রামের বাড়ির জমিতে চাচার অংশ আছে।
২০১৮ সালে আমার বাবা ঢাকার বাড়িটি আমার ভাইয়ের নামে হেবা আইন অনুযায়ী লিখে দেয় কিন্তু এই বিষয়ে কেউ কিছু জানে না এমনকি আমার ভাইও, আমি জেনেছি শুধু। আমার বাবা মা ওই বাড়িতেই থাকেন।
আমি জানতে চাচ্ছি,

১. আমার বাবা মা ভাইকে যে বাড়িটি লিখে দিয়েছেন তাতে আমরা বোনেরা কষ্ট পেয়েছি যে ওনারা আমাদের সমান চোখে দেখেননা আর আমাদের বঞ্চিত করেছেন। এতে করে আমার বাবা মায়ের কি কোন গুনাহ হবে? ইসলাম কি এমন দানকে সায় দেয়?

২. আমার ভাইয়ের হাতে মালিকানা হস্তান্তর হয়নি এখনো, যা বুঝলাম বাবা মা বেচে থাকতে তা হবে না। এমন দান কি বৈধ?

**আমাদের বাকি জমিগুলোতে কোন না কোন সমস্যা আছে যা আমাদের জীবদ্দশায় ভোগ করা বা মালিকানা ঠিক করা অসম্ভব বলতে গেলে। এই বাড়িটিতে কোন সমস্যা নেই শুধু।

ধন্যবাদ
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৪ জুলাই, ২০২২
ঢাকা