و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রিয় প্রশ্নকারী!
আপনার প্রশ্নের জবাব দেবার আগে একটি হাদিস উল্লেখ করছি। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال :
(لا تزولُ قَدَمَا عبدٍ يومَ القيامةِ حتَّى يُسألَ عن أربعٍ عَن عُمُرِه فيما أفناهُ وعن جسدِهِ فيما أبلاهُ وعن عِلمِهِ ماذا عَمِلَ فيهِ وعن مالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وفيما أنفقَهُ “)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)

এই হাদিসে যেসব বিষয়ে সতর্ক করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সময়ের হেফাজত।

গল্প-উপন্যাসের বিষয়ে শরিয়তের নীতিমালা হলো, দুইটি শর্তসাপেক্ষে সেগুলো পড়া জায়েজ আছে।

প্রথম শর্ত: অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে পারবে না। কারণ, এগুলো পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। অনেক গল্প আছে, যেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

দ্বিতীয় শর্ত: ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় না হতে হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, অবৈধ যৌনতা শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু থাকে, তাহলে সেগুলোও পড়া জায়েজ হবে না।
কিন্তু এমন গল্প, যেখানে সামাজিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সমাজের হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে বা বিজ্ঞানের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। অথবা প্রাণিজগৎ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে যা পড়লে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয় এবং অন্যের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। এজাতীয় গল্প উপন্যাস পড়া জায়েজ।

আর যেসমস্ত বই নিজে পড়া জায়েজ সেগুলো বিক্রি করাও জায়েজ।

প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা প্রশ্ন করুন।

والله اعلم بالصواب