প্রশ্নঃ ১১০২৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার নাম সামিয়া জান্নাত। আমি হেফজ খানায় পড়ি। আমার আব্বু একজন ড্রাইভার। তার মাসিক বেতন ১৭০০টাকা। আমরা তিন ভাই-বোন। আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আমাদের পড়াশোনা, খাবার খরচ ইত্যাদি সবই আল্লাহর রহমতে এই টাকার উপরই নির্ভর করে। তাই আমি নানু বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করি। আমি আগে স্কুলে পড়তাম। ক্লাস ৭ পর্যন্ত স্কুলে পড়ি। আমি তখনও পর্দা করতাম। তখন সবার সাথে দেখা দিতাম, কথা বলতাম। পর্দার ৩য় স্তর অবলম্বন করতাম। তখন সবাই আমাকে খুব আদর করত অনেক ভালোবাসত। আমি যার কাছে কুরআন তিলওয়াত শিখতাম তিনি খাস পর্দা করে। তার কাছ থেকে পর্দা করা শিখিলাম পর্দার গুরুত্ব সম্পর্কে জানলাম। তারপর থেকে পর্দা করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি পর্দাকে খুব ভালোবাসি। তাই গত কয়েক মাস ধরে আমি খাস পর্দা করতে শুরু করি। কোনো গায়ের মারহামদের সাথে দেখা দেই না, কখা বলি না। তাই আমার আত্মীয় স্বজন আমার প্রতি অসন্তুষ্ট। তারা আমার পর্দা পছন্দ করে না। আমি নানু বাড়িতে থাকি তাই আমার পর্দা করতে অসুবিধা হয়। সেখানে আমার খালু, খালাতো ভাই ইত্যাদি সবাই আসে তখন আমি আড়ালে চলে যায় বা বেলকুনিতে চলে যায়। কিন্তু মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে তারা ঘরে ঢুকে পড়ে দরজায় নক করে না। তখন তাদের সামনে পড়ে যাওয়া লাগে। তাদের সামনে পড়লে আমি আড়ালে চলে যায়। কিন্তু তখন আমার খুব কষ্ট হয়। তখন আমি খুব কান্না করি। কান্না করার কারণে সেবা আমাকে অনেক বকে আর বলে নিজের আত্মাীয়রাই তো দেখছে বাহিরের মানুষ তো দেখে নাই। তখন যদি আমি কিছু বলি তাহলে বলে, আমি ফাজিল, আমি বেয়াদব, আমার ধৈর্য নাই, আমি বড়দের মুখে মুখে তর্ক করি। এবং আমাকে নানা রকম অভিশাপ দেয়। এখন আমি কীভাবে আমার পর্দা হেফাজতে রাখব? এবং আমার পরিবাকে কীভাবে বোঝাবো? Please একটু তাড়াতাড়ি উওর দেওয়ার অনুরোধ রইল এবং আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার পর্দা হেফাজতে রাখতে পারি।,

উত্তর