আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ছাএদের দিয়ে শারীরিক খেদমত নেয়া যাবে কি?

প্রশ্নঃ ১০৫০৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার জানার বিষয় হলো ছাএদের দিয়ে খেদমত নেওয়া যেমন হাত পা টিপানো মথা বানানো মাথায় তেল দিয়ে মালিশ করে দেওয়া শরীয়াত বা কুরআনে এর হুকুম কি?,

২৮ মে, ২০২৫

মণিরামপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


যে শিক্ষার্থী দ্বীনি ইলম অর্জন করছে, সে তার উস্তাযের নিকট থেকে বরকত ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে উস্তাযকে স্বাভাবিকভাবেই শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। সে সদা প্রস্তুত থাকে উস্তাযের খিদমতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য ও ফয়েজ লাভের জন্য। অন্যদিকে, উস্তাযও শিক্ষার্থীকে রুহানী সন্তানের মতো স্নেহ ও কল্যাণকামিতার দৃষ্টিতে দেখে থাকেন।

অতএব, এই আন্তরিক সম্পর্ক ও আত্মিক টানের ভিত্তিতে যদি কোনো শিক্ষার্থী নিজের উস্তাযের খিদমত করে, তবে তা অনুমোদিত (শরীয়তের দৃষ্টিতে এর অনুমতি রয়েছে)। তবে এর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যেগুলো পালন করা অপরিহার্য।

১। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও আনন্দচিত্তে এই খিদমত সম্পাদন করবে; অনিচ্ছা বা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে নয়।
২। যারা শারীরিক খিদমত করবে, তারা যেন আমরদ (অল্পবয়সী, গোঁফ-দাড়িহীন) না হয়।
৩। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো ধরনের জোর-জবরদস্তি করা যাবে না, আর কেউ খিদমত না করলে তার ওপর উস্তাযের অসন্তুষ্টি, রাগ বা মনঃক্ষুণ্নতার প্রকাশ চলবেনা। ইঙ্গিতে বা পরোক্ষে কোনোভাবেই করা যাবে না।
৪। এই খিদমতের মাধ্যমে কোনো প্রকার ফিতনা বা কুপ্রবনতার আশঙ্কা যেন না থাকে।

তবে সর্বোত্তম হচ্ছে যতটা সম্ভব শারীরিক খিদমত গ্রহণ থেকে বিরত থাকা, এবং কেবল ইলম ও আদবের মাধ্যমে ফয়েজ লাভের প্রচেষ্টা চালানো।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّوسلم أَتَى الْخَلاَءَ فَوَضَعْتُ لَهُ وَضُوءًا فَلَمَّا خَرَجَ قَالَ " مَنْ وَضَعَ هَذَا " . فِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ قَالُوا . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ قُلْتُ ابْنُ عَبَّاسٍ . قَالَ " اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ " .ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ইস্তিঞ্জায় গেলেন। আমি তাঁর জন্য উযুর পানি রাখলাম। তিনি হাজত সেরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, এই পানি কে রেখেছে? [যুহাইর (রাহঃ) এর বর্ণনায়] ‘তারা বলল’ অথবা [এবং আবু বকর (রাযিঃ) এর বর্ণনায়] আমি বললাম’ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) (রেখেছে)। নবী (ﷺ) দুআ করলেন, اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ “হে আল্লাহ! তাকে দ্বীনের ‘ফিকহ’ (সুক্ষ গভীর জ্ঞান) দান করুন।” (সহীহ মুসলিম, আন্তর্জাতিক নং: ২৪৭৭)

الدر المنثور فی تفسیرالماثور :
" ومن عرض نفسه للتهمة فلا يلومن من أساء الظن به".
(سورۃ الفاطر، رقم الآیۃ:29، ج:7، ص:22، ط:دارالفکر)
https://shorturl.at/GnvGN

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা
লেখক ও গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৪৫২৬৯

সুদখোর বা সুদদাতাকে ঋণ দেওয়ার বিধান


২৮ নভেম্বর, ২০২৩

নামুজা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৬৬৬৯০

শেষ বৈঠকে না বসে, দাঁড়িয়ে গেলে!


৭ জুলাই, ২০২৪

R৮J৫+৪৮W

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৫০৩০৫

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়


৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৪৪৬০৮

মুখের জড়তা দূর করার উপায়


২ নভেম্বর, ২০২৩

ঢাকা ১২০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy