প্রশ্নঃ ১০৩৯৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,ইমাম আবু হানীফা (রহ) সংকলিত কিতাবুল আছর থেকে কোনো হাদীস গ্রহন করা যাবে?,
১০ নভেম্বর, ২০২১
শংকরচন্দ্র
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সহিহ হাদিসের সর্বপ্রথম সংকলন হলো ইমাম আবু হানীফা (রহ) সংকলিত কিতাবুল আছার।
অতএব, কিতাবুল আছর থেকে নির্দ্বিধায় হাদীস গ্রহন করা যাবে।
কিতাবুল আছার সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোচনাঃ
যুগের ফকীহ হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমান-এর মৃত্যুর পর (১২০ হিঃ) ইমাম আবু হানিফা যখন কুফার জামে মসজিদের বিখ্যাত ইলমী দরসগাহ এর ফিকহী ও ইলমী মাসনাদে আসীন হলেন যে দরসগাহ হযরত আঙ্গুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর সময় থেকে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে চলে আসছিল। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এখানে বিভিন্ন ইলম-এর ভিত্তি স্থাপন করেন, ফিকহ-এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংকলন করেন, এখানেই ইলমে হাদীসের এক গুরুত্বপূর্ণ খিদমত এভাবে আনজাম দিয়েছেন যে, আহকামের হাদীস সমূহ থেকে সহীহ (বিশুদ্ধ) ও মা'মুল বিহী বর্ণনা সমূহ চয়ন করে একটি পূর্ণাঙ্গ কিতাবের মধ্যে ফিকহী বাবের উপর বিন্যাস করেছেন। যার নাম كتاب الآثار এবং আজও উম্মতের মধ্যে সহীহ হাদীসের সবচাইতে পুরানো কিতাব এটাই, যা দ্বিতীয় হিজরী শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগের সংকলন।
ইমাম আবু হানিফার (র.) পূর্বে হাদীসে নববীর যত ছহীফা ও কিতাব লেখা হয়েছে। তার তরতীব বিষয় আকারে ছিল না। বরং ঐ সমস্ত ছহীফা ও কিতাবের লেখকগণের যেভাবে তাদের হাদীস মুখস্ত ছিল সেইভাবে তারা লিখেছেন। ইমাম শা'বী কয়েক বিষয়ের হাদীস গুলি একই অধ্যায়ে লিখেছেন। কিন্তু বাব করে লেখার এটা প্রথম প্রচেষ্টা ছিল, যা সম্ভবত কয়েকটি অধ্যায়ের বেশী হবে না। ইমাম শা'বীর শব্দ দ্বারা বুঝা যায় তিনি باب কে ঐ অর্থে ব্যবহার করেছেন, যে অর্থে পরবর্তী লিখকরা كتاب কে ব্যবহার করেছেন।
এজন্যে হাদীস সমূহকে ও ভিত্তিক বিন্যাস করার কাজ পুরাপুরী ভাবে এখনো বাকী ছিল। সে কাজটি ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) كتاب الآثار সংকলন করে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুন্দর পদ্ধতিতে সমাধান করেছেন। এবং পরবর্তী ইমামদের জন্য বিন্যাস ও অধ্যায়ের এক উত্তম রূপ সৃষ্টি করেছেন।
সম্ভবত কিছু লোক كتاب الآثار কে ছহীহ হাদীসের প্রথম সংকলন বলার ব্যাপারে সংকোচবোধ করেন। এ জন্য এ বাস্তবতা প্রকাশ করা একান্ত জরুরী। যে সকল লোক এ ধারণা করেন যে ছহী বুখারীর পূর্বে কোন ছহী হাদীসের কিতাব সংকলিত হয় নাই তারা কঠিন ভুলের মাঝে রয়েছে। হাফিয সূয়ুতী (রহঃ) (تنوير الحوالك ও تبييض الصحيفة في مناقب الإمام أبي حنيفة) নামক গ্রন্থে লেখেন:
الإمام أبو حنيفة أول من دون علم الشريعة ورتبه أبوابًا، ثم تبعه مالك بن أنس في ترتيب الموطأ، ولم يسبق أبا حنيفة في ذلك أحد
অর্থঃ ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর বিশেষ গুনাবলী, যে গুনাবলীতে তিনি অদ্বিতীয়, তার একটি হলো এই, তিনিই সর্ব প্রথম মনীষী যিনি ইলমে শরীয়তকে সংকলন করেছেন, এবং ইলম হাদীসকে অধ্যায় অধ্যায় করে বিন্যস্ত করেছেন। অতপর ইমাম মালিক ইবনে আনাছ মুয়াত্তার বিন্যাস করতে গিয়ে ইমাম আবু হানিফা (র.)-এর বিন্যাসের অনুসরন করেছেন এবং এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফাই সর্বাগ্রে, তার অগ্রে কেউ নেই।
ইমাম আবু হানিফার লিখনী থেকে ইমাম মালেক যে ইস্তিফাদা করেছেন, তার আলোচনা ইতিহাসের কিতাব সমূহে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। কাযী আবুল আব্বাস আহমাদ বিন মুহাম্মদ নামক কিতাবে সনদে মুত্ত্বাছেলের সাথে আব্দুল আযীয ইবনে মুহাম্মদ দারাওয়ারদী থেকে বর্ণনা করেন যে, ইমাম মালিক, ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর কিতাব মুতা'আলা করতেন এবং তা থেকে উপকৃত হতেন।
কিতাবুল আছরে যে হাদীস রয়েছে তা ইমাম মালিক রহঃ এর মুওয়াত্তা থেকে শক্তি ও শুদ্ধতার ক্ষেত্রে কম নয়।
আল্লামা আব্দুর রাশীদ নোমানী রহঃ(১৪২০হিঃ) বলেন, আমি নিজে তার এক একটি বর্ণনাকারী ও বর্ণনাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। সুতরাং হাফেয মুগলতায়ী ও হাফিজ সুয়ুতী ছহীর যে মাপকাঠির ভিত্তিতে মুয়াত্তাকে ছহীহ বলেছেন, ঠিক সেই মাপকাঠির ভিত্তিতে কিতাবুল আছর ও ছহীর পর্যায়ে পড়ে। মুয়াত্তা এবং কিতাবুল আছর -এর এমন সম্পর্ক যে সম্পর্ক ছহী মুসলিম ও ছহী বুখারীর মধ্যে রয়েছে।
সনদ ও বর্ণনার ক্ষেত্রে কিতাবুল আছর এর হাদীস সমূহের কি মর্যাদা, তার অনুমান এ থেকে নেয়া যায় যে, ইমাম আবু হানিফা (র.) তীক্ষ্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ৪০ হাজার হাদিস থেকে এ কিতাব রচনা করেছেন। ছদরুল আয়িম্মাহ লিখেনঃ ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) ৪০ হাজার হাদীস থেকে বাছাই করে এই কিতাব কে রচনা করেছেন।
এবং ইমাম হাফিয আবু ইয়াহিয়া যাকারিয়া ইবনে ইয়াহিয়া নিশাপুরী (মৃত্যু ২৯৮ হিঃ), যিনি ছিহা সিত্তার সংকলকদের সময়কালের। তিনি নিজের কিতাবে স্বয়ং ইমাম আজম থেকে সনদসহ বর্ণনা করেন,
سمعت أبا حنيفة رحمه الله يقول : عندى صناديق من الحديث ما أخرجت منها الا اليسير الذي ينتفع به.. مناقب الامام الاعظم ج ۱، ص ۹۵
অর্থঃ আমার নিকট সিন্দুক ভরপুর হাদীস রয়েছে। কিন্তু তন্মধ্যে আমি সামান্য কিছু হাদীস বের করেছি। যেগুলি মানুষের উপকারে আসবে।
হাদীস বর্ণনায় ইমাম আজম (রহঃ)-এর এ সতর্কতার কথা বড় বড় মুহাদ্দিসগণ স্বীকার করেছেন।
হাফিয আবু মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ হারেছী সনদে মুত্তাছেলের সাথে ওকী রহঃ থেকে বর্ণনা করেন, যিনি হাদীস শাস্ত্রের অনেক বড় ইমাম ছিলেনঃ
اخبرنا القاسم بن عباد سمعت يوسف الصفار يقول سمعت وكيعا يقول لقد وجد الورع عن أبي حنيفة في الحديث ما لم يوجد عن غيره (مناقب صدر الائمة موفق ح )
অর্থঃ হাদীসের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর যেরূপ সতকর্তা পাওয়া গিয়াছে। এরূপ সতর্কতা অন্যদের থেকে পাওয়া যায় নাই।
মূলকথা কিতাবুল আছর কুরআন মজিদের পর ইসলামী পাঠাগারের দ্বিতীয় কিতাব ছিল। যে কিতাব ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়রূপে সংকলিত হয়েছে। এবং সে কিতাবে ঐ সকল হাদীস, আছার এবং ফতওয়া সমূহ স্থান পেয়েছে, যার বর্ণনা নির্ভরযোগ্য এবং মুত্তাকী উম্মতের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আযম (রহঃ) এ কিতাবে রাসূল (সাঃ)-এর শেষ কার্য সমূহ এবং হিদায়াতকে প্রথম স্থান দিয়েছেন এবং ছাহাবী ও তাবীয়ীনদের আছার ও ফতওয়াকে দ্বিতীয় স্থান দিয়েছেন।
কিতাবুল আছর-এর আলোচ্য বিষয় হলো আহকামে আহাদীস অর্থাৎ সুনান সম্পর্কিত যার দ্বারা ফিকহী মাসায়িল বের করা যায়। বুখারী, মুসলিম জামে
তিরমিযী এবং হাদীসের অন্যান্য কিতাবে শতাধিক বিভিন্ন অধ্যায়ের উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু এ অধ্যায়গুলো পাওয়া যাবে না। কারণ অধ্যায়গুলোর সাথে ফিকহী সম্পর্ক নেই। এ জন্য মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় (কিতাবুল আছর কে السنن -এর মধ্যে শামিল করা হয়। কতেক মুহাদ্দিস কিতাবুল আছর কে كتاب السنن করে নামকরণ করেছেন।
(কিতাবুল আছর-এর এক বড় বৈশিষ্ট্য হলো এই যে এর হাদীসগুলো অন্যান্য হাদীসের কিতাবের মত স্বীয় শহর ও এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং তার বর্ণনাগুলো মক্কা, মদিনা, কুফা, বছরা, মূলকথা হিজায ও ইরাক উভয় স্থানের সংকলনগুলো একস্থানে একত্রিত হয়েছে।
পরিশেষে, কিতাবুল আছার সম্পর্কে হাদীস বিশারদদের অসংখ্য বক্তব্য থেকে কিছু উল্লেখ করা হলো:
كتاب الآثار أول مصنف في الصحيح جمع فيه الإمام أبو حنيفه رحمه الله تعالـى صـحـاح الاحاديث واختـارهـا مـن أربـعـيـن ألـفحـديـث
مناقب الامام أبي حنيفة ، ج ا م ۹۵
কিতাবুল আছার সহিহ হাদিসের সর্বপ্রথম সংকলিত গ্রন্থ । ইমাম আজম আবু হানিফা র. এতে কেবল সহিহ হাদিসের স্থান দিয়েছেন এবং চল্লিশ হাজার হাদিস থেকে গ্রন্থটি নির্বাচন করেছেন। -মানাকেবে ইমাম আবু হানিফা, খণ্ড ১ম, পৃষ্ঠা ৯৫
قال يحي رحمه الله تعالى : سمعت أبا حنيفة رحمه الله يقول : عندى صناديق من الحديث ما أخرجت منها الا اليسير الذي ينتفع به.. مناقب الامام الاعظم ج ۱، ص ۹۵
ইয়াহইয়া ইবনে নছর ইবনে হাজেব র. বলেন, আমি ইমাম আবু হানিফা র. কে বলতে শুনেছি, আমার নিকট হাদিসের ভাণ্ডার রয়েছে। স্বল্পসংখ্যক উপকারী হাদিসই কেবল তা থেকে বর্ণনা করেছি । -মানাকেবে ইমাম আজম, খণ্ড ১ম, পৃষ্ঠা ৯৫
ইলমে হাদিসে ইমাম আবু হানিফা র.-এর মাকাম ও মর্যাদাঃ
ইমাম আবু হানিফা র. একজন স্বীকৃত হাফেজে হাদিস ছিলেন। হাফেজ যাহাবি, ইবনে হাদী, ইবনে নাসিরুদ্দীন, ইবনুল বাররাদ, সাখাবী ও সুয়ূতী প্রমুখ আলেমগণ রহঃ তাদের রচিত ও হাফেজে হাদিসের জীবনী বিষয়ক গ্রন্থে ইমাম আবু হানিফাকে একজন স্বনামধন্য হাফেজে হাদিস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তদ্রূপ বর্ণনাকারীদের বিশ্বস্ততা যাচাই- জারাহ ও তাদীলের ক্ষেত্রে এমনকি ইলালুল হাদিসের মত শাস্ত্রীয় সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদিতেও তাঁর দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা ইমাম তিরমিযি, বাইহাকি, ইবনে তাইমিয়া, যাহাবি, সাখাবি ও ইবনে সালাহ সহ অনেকেই এক বাক্যে মেনে নিয়েছেন।
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সামায়াহ বলেন, আবু হানিফার তার রচিত কিতাবসমূহে সত্তর হাজারেরও বেশি হাদিস উল্লেখ করেছেন। সর্বোপরি, মোল্লা আলী কারী র. ও বলেছেন, সহিহ-যয়িফ প্রায় সব হাদিসই আবু হানিফার নখদর্পণে ছিল। - মানাকিবু আবি হানিফা, মোল্লা আলী কারী: ৪৭৪পৃ. ও মাকানাতুল ইমাম আবি হানিফা ফিল হাদিস : ৩৫ পৃ.।
ইমাম আবু হানিফা হাদিসের কত বড় হাফেজ ছিলেন, তা তার মুসনাদসমূহ দেখার দ্বারা কিছুটা অনুমান করা যেতে পারে।
নিম্নে তার সূত্রে বর্ণিত হাদিসসমূহের যে সমস্ত সংকলন বিভিন্ন মুহাদ্দিস তৈরি করেছেন, যা পরিভাষায় মুসনাদ বলা হয়, তার একটি তালিকা পেশ করা হলো :
১. মুসনাদু আবি হানিফা আবু ইউসুফ র. (১৮২ হি.)
২. মুসনাদু আবি হানিফা ইমাম মুহাম্মদ র. (১৮৯ হি.)
৩. মুসনাদু আবি হানিফা ইমাম মুহাম্মদ র. (কিতাবুল আছার)
৪. মুসনাদু আবি হানিফা: হাম্মাদ ইবনে আবি হানিফা র. (১৭৬ হি.)
৫. মুসনাদু আবি হানিফা: হাসান ইবনে যিয়াদ র. (২০৪ হি.)
৬. মুসনাদু আবি হানিফা : আবুল কাসেম ইবনে আবি আওয়াম (৩৩৫ হি.)
৭. মুসনাদু আবি হানিফা ওমর ইবনে হাসান আল উশনানি (৩৩৯ হি.)
৮. মুসনাদু আবি হানিফা : আবু আব্দুল্লাহ আল হারেসি ( ৩৪০ হি.)
৯. মুসনাদু আবি হানিফা: আব্দুল্লাহ ইবনে আদি (৩৬৫ হি.)
১০. মুসনাদ আবি হানিফা মুহাম্মদ ইবনে মুযাফফর ( ৩৭৯ হি.)
১১. মুসনাদু আবি হানিফা: আবুল কাসেম তালহা ইবনে মুহাম্মদ (৩৮০ হি.)
১২. মুসনাদু আবি হানিফাঃ আবু নুয়াঈম আল আসফাহানি (৪৩০ হি.)
১৩. মুসনাদু আবি হানিফা মুহাম্মদ ইবনে খালেদ আলওয়াহাবি (১৯০ হি.) : আবু আব্দুল্লাহ ইবনে খসরু (৫২২ হি.)
১৪. মুসনাদু আবি হানিফা
১৫. মুসনাদু আবি হানিফা : আবু বকর আব্দুল বাকি আল আনসারি (৫৩৫ হি.)
এ পনেরটি মুসনাদকে ইমাম খাওয়ারেমি তার প্রণীত জামেউল মাসানিদে একসাথে সন্নিবেশিত করেছেন।
জামেউল মাসানিদ ১/৭৮-৮৫পৃ. ও ২/৫৫২পৃ.।
এবং অবশ্যই কিতাবুল আছার।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
১১৪১৭
১৪ ডিসেম্বর, ২০২১
ঢাকা ১২১২

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
১২২৫১
৩ জানুয়ারী, ২০২২
মহাদেবপুর

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৯৮০০৬
কানযুল উম্মাল কিতাবটি কেমন?
৫ এপ্রিল, ২০২৫
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে