আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০৩২৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার ২ জন স্ত্রী রয়েছে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে আমার প্রথম স্ত্রী আমার সাথে সহবাস করতে রাজি না আমি যখন প্রথম স্ত্রীর কাছে কিছু দিনের জন্য থাকতে আসি আমার সাথে কোন ধরনের শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় না যা ৮-১০ বছর এই ভাবে চলতেছে আমি কি করে বুঝবোবুঝতেছি না,

২২ নভেম্বর, ২০২১

ঢাকা ১২২৯

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





স্বামী নিজ প্রয়োজনে স্ত্রীকে বিছানায় আহ্বান করলে স্ত্রী যদি তাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে এই স্ত্রীর প্রতী আল্লাহর ফেরেশতাদের অভিশাপ রয়েছে। এটি মারাত্মক অন্যায়। স্ত্রীকে এই বলে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ، فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا، لَعَنَتْهَا الْمَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ شُعْبَةُ وَأَبُو حَمْزَةَ وَابْنُ دَاوُدَ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ‏.‏

আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন লোক যদি নিজ স্ত্রীকে নিজ বিছানায় আসতে ডাকে আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর দুঃখ নিয়ে রাত্রি যাপন করে, তাহলে ফেরেশতাগণ এমন স্ত্রীর উপর সকাল পর্যন্ত লা‘নত দিতে থাকে।
—সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩২৩৭

একাধিক বিবাহ করা আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনুমোদন রয়েছে। আপনি আল্লাহর অনুমোদিত একটি হালাল কাজ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রথম স্ত্রীর পক্ষ থেকে যদি এমন আচরণ হয়, সেটি আল্লাহর হালালকে হারাম জ্ঞান করার গুনাহ হবে।

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُحَرِّمُوۡا طَیِّبٰتِ مَاۤ اَحَلَّ اللّٰہُ لَکُمۡ وَلَا تَعۡتَدُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡمُعۡتَدِیۡنَ

হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্যযে সকল উৎকৃষ্ট বস্তু হালাল করেছেন, তাকে হারাম সাব্যস্ত করো না এবং সীমালংঘন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের ভালোবাসেন না।
—আল মায়িদাহ - ৮৭

খুব ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে, যারা একাধিক বিবাহ করেছে তারা সকল স্ত্রীর সঙ্গে ন্যায়-ইনসাফ পরিপূর্ণ বজায় রাখতেই হবে। একজন স্ত্রীকে বেশি সময় দেয়া, অপর স্ত্রীর কাছে মাঝে মাঝে আসা, তার প্রতি জুলুম। এই জুলুমের জন্য কিয়ামতের দিন আজাবের সম্মুখীন হতে হবে। আল্লাহ তাআলা হেফাজত করুক। আমীন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৭১৯৫

স্ত্রীর দুধ পান করার হুকুম


৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৪৭৯৪

স্ত্রীর স্তন মুখে নেওয়া জায়েজ?


১৪ জুন, ২০২৩

খুলনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৬৪৮৯

স্ত্রীসহবাসের হুকুম


২১ জুলাই, ২০২৩

শেরপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩২৩২৪

স্বামী নামাজ পড়ে না, মারধর করে; স্ত্রীর করণীয় কী?


৪ এপ্রিল, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy