আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০২৭৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার শুরু থেকেই পিরিয়ড নিয়ে সমস্যা,ইররেগুলার।দেখা যায় অল্প অল্প করে ১০ দিনেরও বেশি পিরিয়ড হয়।কখনো ১৫ দিনও থাকে বা এর বেশি। নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।কাজেই আমার প্রশ্ন হলো আমি কতো দিন পর থেকে নামাজ, কোরআন পড়তে পারব?এবং সেক্ষেত্রে নামাজ পড়ার আগে আমার করনীয় কি এমতাবস্থায়?,

১৬ নভেম্বর, ২০২১

Dhaka ১৩৬১

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

যদি কোন নারী কোন নির্দিষ্ট সময় ঋতুস্রাব হওয়ার নিয়মে অভ্যস্ত থাকে , আর তার যদি দশ দিনের বেশী স্রাব হয় , তবে তার নিয়ম মোতাবেক সময়কে হায়েয গণ্য করা হবে আর অতিরিক্ত সময়কে ইসতেহাযা বলে গণ্য করা হবে ।( হেদায়া -১ / ৬৭ পৃঃ)
যেমন- কোন মহিলার প্রতি মাসে ৭ দিন করে হায়েয আসে কিন্তু পরবর্তী মাসে তার হায়েযের রক্ত ১২ দিন আসল এমতাবস্থায় সে পূর্বের অভ্যাস অনুযায়ী ৭ দিনকে হায়েয ধরে বাকি ৫ দিনকে ইস্তেহাযা বলে ধরে নিবে !

আর যদি কোন নারী বালিগা হওয়ার সময় প্রথম হায়েযের কালেই ইসতেহাজা বা রোগ আক্রান্ত হয় , তবে প্রত্যেক মাসেই ( হায়েযেই ) দশ দিন হায়েয ধরতে হবে এবং বাকি বাড়তি দিনগুলো ইসতেহাযা বলে গণ্য হবে । ( হেদায়া -১ / ৬৭ পৃঃ ) যেমন- কোন মেয়ের মাসের ১ তারিখে হায়েয আসা শুরু হল এবং তা ১০ দিন পরেও বন্ধ না হয়ে লাগাতার চলতে থাকল , এমতাবস্থায় সে প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত হায়েয এবং ১১ থেকে পরের বাড়তি দিনগুলো ইস্তেহাযা বলে ধরে নিবে ।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

প্রসঙ্গসমূহ: