আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০২৩৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, السلام علیکم ورحمة الله وبركاته.শায়েখ আমি একটু ধিরে সুস্থে সলাহ আদায় এর কারনে ইমাম এর সাথে রুকু করলাম বা সেজদাহ করলাম এখন ইমাম এর তারাহুরা বা আমার ধির স্থির এর কারনে আমি একবার তাজবিহ আদায় শেষ করার আগেই ইমাম তাগবির দিয়ে দিলে ওই রাকাত কি আবার আদায় করতে হবে? আজকে মাগরিব এর সালাতে এমন হয় তো আমি ওই রাকাত বাতিল মনে করে ওই রাকাতটা আদায় করে দেই আমার নামাজটা কি হয়েছে?প্রায়ই এমন হয় করনিয় কি?,

১৫ নভেম্বর, ২০২১

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সাধারণত আমাদের দেশে জামায়াতের নামাজ আদায়ের সময় ইমাম সাহেবগমন যেভাবে নামাজ আদায় করেন তার মধ্যমপন্থায় আদায় করে থাকেন, তাই আপনি যখন জামাতের সহিত নামাজ আদায় করবেন তখন ইমামের সাথে তাল মিলিয়ে তাসবীহ গুলো আদায় করে নিবেন! সাধারণত ইমাম সাহেব গণ এত দ্রুত নামাজ পড়ান না যে, আপনি চেষ্টা করলেও তাসবীহ গুলো আদায় করতে পারবেন না! হাঁ, ধীরস্থিরতার সহিত নামায আদায় করার অভ্যাসটা অনেক ভালো, তবে আপনি যখন একাকী নামায আদায় করবেন তখন এভাবে খুব আস্তে আস্তে নামায আদায় করবেন, এটা উত্তম! তবে জামাতের সহিত যখন নামায আদায় করতে হয় তখন ইমামদের জন্য মধ্যপন্থায় নামাজ আদায় করাই উত্তম ! তাই আপনি যখন ইমামের সাথে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করবেন, ইমামের সাথে তাল মিলিয়ে তাসবীহগুলো আদায় করে নিবেন, এরচেয়ে পিছনে পড়া উচিত নয়! এরপরও যদি জামাতে নামাজ পড়াকালীন যদি আপনি কখনো তাসবিহ আদায় করতে না পারেন তাহলে আপনার নামাজ আদায় হয়ে যাবে! এটাকে বাতিল মনে করে পুনরায় পড়তে হবেনা! আর প্রশ্নে উল্লেখিত যে নামাজের কথা আপনি বলেছেন , ওই এক রাকাত বাড়তি পড়ার কারণে আপনার পুরো নামাজ আবার পুনরায় আদায় করতে হবে!

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

প্রসঙ্গসমূহ: