আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ঋতুবতী নারীর তামাত্তু হজ্বের ইহরাম

প্রশ্নঃ ১০১৬০৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হায়েয অবস্থায় হজ্বের ফ্লাইটের তারিখ এসে গেলে তামাত্তু হজ্ব পালনকারী কিভাবে তামাত্তু হজ্বের উমরা করবে?,

১ মে, ২০২৫

ঢাকা ১২০৭

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

মাসিক অবস্থায় হজ্ব অথবা উমরার ফ্লাইটের সময় এসে গেলে ঐ অবস্থায় ইহরাম করে বাইতুল্লায় পৌঁছবে। মাসিক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করবে না। নামায পড়বে না। এভাবে পবিত্র হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকবে।
মাসিক থেকে পবিত্র হওয়ার পর হজ্বে তামাত্তু এর উমরা সম্পন্ন করবে।
এদিকে মাসিক শেষ হতে হতে যদি ৮ যিলহজ্ব এসে যায়, যখন মিনায় যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, অথচ এখনো পবিত্র হয়ে উমরা করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে উমরার ইহরাম ভেঙে দিয়ে হজ্বের ইহরাম করে মিনায় চলে যাবে। হজ্বের পর পূর্বের উমরা কাজা করে নিবে।
আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সঙ্গে বিদায় হজ্বের ইহরাম বেঁধেছিলাম। আমিও তাদেরই একজন ছিলাম যারা তামাত্তুর নিয়ত করেছিল এবং কুরবানীর পশু নেয়নি। তিনি বলেন, তাঁর হায়েয শুরু হয় এবং আরাফা-এর রাত পর্যন্ত তিনি পাক হননি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ তো আরাফার রাত, আর আমি হজ্বের সঙ্গে উমরারও নিয়ত করেছি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, মাথার বেণী খুলে ফেল। চুল আঁচড়াও। আর উমরা থেকে বিরত থাক। আমি তা-ই করলাম। হজ্ব সমাধা করার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে ‘হাসবায়’ অবস্থানের রাতে (আমাকে উমরা করানোর) নির্দেশ দিলেন। তিনি তানঈম থেকে আমাকে উমরা করালেন, যেখান থেকে আমি উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৬

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ: