আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

উকূফ অবস্থায় সুন্নত, মুস্তাহাব এবং মাকরূহ সমূহ

প্রশ্নঃ ১০১৩৭৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, উকূফ অবস্থায় সুন্নত, মুস্তাহাব এবং মাকরূহ গুলো কি কি?,

৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকা ১২০৭

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


উকূফ অবস্থায় যেকাজগুলো সুন্নত
১. অবস্থানের জন্য গোসল করা।
২. যুহরের সময় দুই খুতবা প্রদান করা।
৩. যুহর ও আসরের নামায একত্রে আদায় করা।
৪. নামাযের পরপরই আরাফার ময়দানে উকূফ (অবস্থান) শুরু করা।
৫. ইমামের সঙ্গে সূর্যাস্তের পর যাত্রা করা। তবে ভিড়ের আশঙ্কায় কেউ যদি সূর্যাস্তের পরে ইমামের আগে চলে যায়, তাতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি কেউ যদি সূর্যাস্তের আগেই চলা শুরু করে এবং সূর্যাস্তের পরে আরাফার সীমানা অতিক্রম করে, তাহলেও সমস্যা নেই।

উকূফ অবস্থায় যেকাজগুলো মুস্তাহাব
১. অধিক পরিমাণে তাসবিহ, তাকবির, তহলিল, দু‘আ, ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত ও দরুদ পড়া।
২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দাঁড়ানোর স্থানে দাঁড়ানো।
৩. বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে আল্লাহর প্রতি মনোযোগী হওয়া।
৪. ইমামের পেছনে এবং তাঁর কাছাকাছি অবস্থান করা।
৫. কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো।
৬. যাওয়ালের পূর্বে অবস্থানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ এবং নিয়ত করা।
৭. দু‘আ করার সময় হাত তোলা এবং তিনবার দু‘আ করা।
৮. দু‘আ শুরু ও শেষ করার সময় আল্লাহর প্রশংসা এবং রাসুলের প্রতি দরুদ পড়া।
৯. পবিত্র থাকা।
১০. যারা রোজা রাখতে পারে, তারা রোজা রাখা। তবে রোজার কারণে দুর্বলতা অনুভব করলে এবং হজ্বের কার্যক্রম সম্পাদনে অসুবিধা হলে রোজা না রাখাই উত্তম। (রাসূলুল্লাহ ﷺ বিদায় হজ্বের এই দিন রোযা রাখেননি)
১১. খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা, যদি না কোনো শারীরিক অসুবিধা থাকে।
১২. ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলা।
১৩. ভালো কাজ করা, যেমন দান-খয়রাত ইত্যাদি।

উকূফ অবস্থায় যেকাজগুলো মাকরূহ
১. যুহর ও আসরের নামায একত্রে আদায়ের পর উকূফ বিলম্ব করা।
২. রাস্তার মধ্যে অবস্থান করা।
৩. কোনো ওজর ছাড়া উকূফের সময় শুয়ে থাকা।
৪. যুহরের আগে খুতবা প্রদান করা।
৫. গাফিল হয়ে (অমনোযোগী অবস্থায়) অবস্থান করা।
৬. সূর্যাস্তের পর আরাফা থেকে বের হতে বিলম্ব করা।
৭. সূর্যাস্তের আগে আরাফা থেকে যাত্রা শুরু করা।
৮. মাগরিব ও ইশার নামায আরাফা বা পথের মধ্যে আদায় করা।
৯. এত দ্রুত যাত্রা করা যাতে অন্যদের কষ্ট হয়। বর্তমান সময়ে অনেকেই এমন দ্রুত যাত্রা করে থাকেন, যা অন্যদের জন্য কষ্টদায়ক এবং আঘাতের কারণ হয়। এটি সম্পূর্ণ হারাম।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৫৮০১

ইহরাম অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে চুল বা পশম ওঠে গেলে করণীয়


২৭ জুন, ২০২৩

রংপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২০৫৩৬

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হজের খুতবা না শুনলে কী হজ হবে না ?

১৪ জুলাই, ২০২২

কালিহাতী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩১৯৯৯

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বদলি হজ্ব করানো


৫ এপ্রিল, ২০২৩

Abdullapur Banati

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy