আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইহরাম অবস্থায় যেকাজগুলো করা যায়

প্রশ্নঃ ১০১০১৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইহরাম অবস্থায় কোন কাজগুলো করা যায়?,

২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১. শরীরের ময়লা পরিষ্কার না করে বা সাবান না লাগিয়ে গোসল করা।
২. ইহরামের পোশাক পরিবর্তন করা। ময়লা বা নাপাক না হলেও পরিবর্তন করা।
৩. মাথা ও দাঁড়ি চুলকানো। অবশ্য চুল, দাঁড়ি পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে কম চুলকাবে বা সতর্কতার সঙ্গে চুলকাবে। চুল পড়ে যাওয়ার আশংকা হয় এমনভাবে চুলকানো মাকরূহ।
৪. আয়না দেখা।
৫. ছাতা ব্যবহার করা।
৬. ঘড়ি, চশমা, আংটি ও মাফলার পরিধান করা।
৭. সেলাইযুক্ত বেল্ট ও ব্যাগ ব্যবহার করা।
৮. কান, ঘাড় ও পা ঢাকা।
৯. মাথা ও গাল বালিশে রেখে শোয়া। তবে পুরো মুখ বালিশের উপর রেখে (উপুড় হয়ে) শোয়া যাবে না। এরূপ শোয়া মাকরূহ।
১০. ঠোঁটে বা কোনো জখমে কিংবা হাত পায়ের ফাটলে সুগন্ধিবিহীন তেল এমনিভাবে জেল, ভ্যাসলিন ব্যবহার করা।
১১. ইহরামের কাপড় ছিঁড়ে গেলে সেলাই করে পরা।
১২. সুঘ্রাণযুক্ত ফল-মূল, মালটা-কমলা ইত্যাদী খাওয়া যাবে। তবে ইচ্ছাকৃত ফল বা ফুলের ঘ্রাণ নিবে না।
১৩. ইহরাম আবস্থায় গৃহপালিত পশু যেমন: হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ইত্যাদি জবাই করা যাবে এবং মাছ শিকার করা যাবে।
১৪. দাঁত উঠানো। ফোঁড়া, বিচি ইত্যাদি গালা, ভাঙ্গা নখ কেটে ফেলা, ব্রাশ করাও যাবে, তবে সুগন্ধিযুক্ত পেস্ট ব্যবহার করা যাবে না।
১৫. ইহরাম অবস্থায় মশা-মাছি, সাপ-বিচ্ছু, পিঁপড়া, পোকা-মাকড়, হিংস্র জানোয়ার মারা যাবে। পিঁপড়া কষ্টদায়ক না হলে মারা যাবে না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ: