আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

হজ্ব কাকে বলে? হজ্বের ফযীলত কি? এবং হজ্ব কত প্রকার ও কী কী?

প্রশ্নঃ ১০০৭৩৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হজ্ব কাকে বলে? হজ্বের ফযীলত কি? এবং হজ্ব কত প্রকার ও কী কী?,

২৬ এপ্রিল, ২০২৫

রংপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১. হজ্ব এর আভিধানিক অর্থ হলো- ইচ্ছা করা, সংকল্প করা।
শরিয়তের পরিভাষায় হজ্ব হলো- আল্লাহ তা‘আলার রেজামন্দি ও নৈকট্যতা লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে নির্দিষ্ট কিছু আমল সম্পাদন করার সংকল্প করাকে হজ্ব বলে।

২. হজ্বের ফযীলত
১. হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত যে, নবী ﷺ কে জিজ্ঞাসা করা হল, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হল, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হল, তারপর কোনটি? তিনি বলেনঃ হজ্ব–ই–মাবরূর (অর্থাৎ এমন হজ্ব যার মধ্যে কোন গুনাহ হয় না)। সহীহ বুখারী- হাদীস নং: ১৫১৯.
২. হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্ব করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে নবজাতক শিশু, যাকে তাঁর মা এ মুহূর্তে প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে। সহীহ বুখারী- হাদীস নং: ১৫২১.
৩. দীর্ঘ একটি হাদীসের অংশ বিশেষ, রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ আমর ইবনুল আস! তুমি কি জানো না যে, ইসলাম পূর্ববর্তী সকল অন্যায় মিটিয়ে দেয়। হিজরত পূর্বেকৃত গুনাহসমুহ মিটিয়ে দেয় এবং হজ্বও পূর্বের সকল গুনাহ মিটিয়ে দেয়। সহীহ মুসলিম- হাদীস নং: ১২১.
৪. হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেন: হাজ্বী এবং হাজ্বী যার জন্য ক্ষমা চায় তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সহীহ ইবনে খুযাইমা- হাদীস নং: ২৫১৬.

হজ্ব মোট তিন প্রকার

১. حج افراد (হজ্বে ইফরাদ)

২. حج قران (হজ্বে ক্বিরান)

৩. حج تمتع ( হজ্বে তামাত্তু)

হজ্বে ইফরাদ হলো- শুধুমাত্র হজ্ব পালনের নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কায় যাওয়া এবং সেই ইহরামেই হজ্ব সম্পাদন করা।

হজ্বে ক্বিরান হলো- উমরা ও হজ্ব একত্রে পালনের নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কায় যাওয়া এবং হজ্ব-উমরা উভয়টা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাথা না মুণ্ডানো এবং হালাল না হওয়া।

হজ্বে তামাত্তু হলো- প্রথমে উমরার নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কায় যাওয়া এবং উমরা করে হালাল হয়ে যাওয়া। এরপর হজ্বের সময়ে ৮ই যিলহজ্ব মিনায় রওয়ানা হওয়ার পূর্বে নতুনভাবে হজ্বের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজ্ব পালন করা।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৫১৯৯

ঋণ করে হজ্জ করা যায়?


১৩ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৫৮০১

ইহরাম অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে চুল বা পশম ওঠে গেলে করণীয়


২৭ জুন, ২০২৩

রংপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৪২০০

নারীর হজ ফরজ হওয়ার শর্ত


২২ জুন, ২০২৩

আশুগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৬৯৮১

হজ্বের সময় কোনো মহিলার হায়েজ এসে গেলে করণীয় কী?


৭ মে, ২০২৪

অভয়নগর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy