আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

এক সফরে একাধিকবার ওমরা করলে, বারবার হালাল হওয়া কীভাবে সম্ভব?

প্রশ্নঃ ১০০৩০৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি তো অনেকগুলা ওমরা করব। প্রথমবার মাথা মুন্ডানোর পরে মাথায় চুল থাকবে না। দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার কিভাবে হালাল হব?,

২২ এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকা ১২০৫

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


কারো মাথা পূর্ব থেকে মুণ্ডানো থাকলে কিংবা পুরো মাথা টাক থাকলে হালাল হওয়ার জন্য মাথায় ক্ষুর বুলিয়ে নেওয়াই যথেষ্ট।
বাদায়েউস সানায়ে ২/২১২, রদ্দুল মুহতার ২/৫১৬, ফতোয়া হিন্দিয়া ১/২৩১
বিখ্যাত তাবেয়ী মাসরুক রাহ.-কে জিজ্ঞাসা করা হল, যে ব্যক্তি উমরা করে চুল মুণ্ডন করেছে এরপর হজ্ব করেছে সে কী করবে? তিনি বলেন, ‘সে তার মাথায় ক্ষুর বুলিয়ে নিবে।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৩৭৯৯
নাফে রাহ. বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর পুরো মাথা কেশবিহীন ছিল । তাই তিনি হজ্ব-উমরার পর মাথার ওপর ক্ষুর বুলিয়ে নিতেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৩৮০৩

হজ্বের সফরে রাসূলুল্লাহ ﷺ একবারের বেশি উমরা পালন করেননি এবং তার সাথে যত সাহাবী হজ্ব করেছেন, তাদের কেউই ওই সফরে একবারের বেশী উমরা করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও রাসূলুল্লাহ ﷺ যতবার উমরা করেছেন, তিনি মক্কার বাইরে থেকে মক্কায় প্রবেশের পূর্বে মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে উমরা করেছেন। কিন্তু মক্কায় প্রবেশের পর মক্কা থেকে বের হয়ে হারাম এলাকার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে, তিনি কখনো উমরা করেননি। এমনকি হিজরতের পূর্বে রাসূলুল্লাহ ﷺ তেরো বছর মক্কায় অবস্থান করেন। এ সময় তিনি কখনো মক্কার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে উমরা করেননি। হজ্বের সফরে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সাথে আগত তামাত্তু হজ্বকারীদের উমরা আদায়ের পর মক্কায় হালাল অবস্থায় অবস্থান করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, وَأَقِيمُوا حَلَالًا حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ فَأَهِلُّوا بِالْحَجِّ অর্থাৎ, তোমরা হালাল অবস্থায় মক্কায় অবস্থান কর। অতঃপর আট তারিখ ইয়ামুত তারবিয়ার দিন তোমরা হজ্বের ইহরাম বাঁধ। মুসলিম ২১৬
তাই সুন্নত হচ্ছে, হাজ্বীগণ হজ্বের সময় তামাত্তুর উমরা শেষ করে, হালাল অবস্থায় মক্কায় অবস্থান করবেন; হজ্বের সফরে একাধিক বা বারবার উমরা না করে বারবার তাওয়াফ করাই হল অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে যখন উমরাকারীদের খুব ভীড় থাকবে তখন বেশি বেশি নফল তাওয়াফ না করে বেশি বেশি নামায, কুরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকা উত্তম।
তদুপরি যদি কোনো মানুষ উমরা করতে চায় তাহলে জমহুর মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরামের মতে এর অবকাশ আছে। তার জন্য নতুন করে ইহরাম বাঁধতে হবে। সেক্ষেত্রে তানয়ীম নামক স্থানে অবস্থিত মসজিদে আয়েশা থেকে উমরার ইহরাম করতে পারবে। যদি কেউ মীকাতের বাইরে থেকে তথা মদীনা /তায়েফ ইত্যাদী স্থান থেকে আবার মক্কায় ফিরে আসে তাহলে তিনি আরেকটি উমরা করার সুযোগ পাবেন। এর জন্য তিনি মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কায় প্রবেশ করবেন। হিদায়া ১/২৩৫

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৩০০৪

হজ ফরজ হওয়ার আগেই যদি হজ করা হয় তহলে কি পূণরায় হজ করতে হবে?


২ মে, ২০২৩

রংপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৪২০০

নারীর হজ ফরজ হওয়ার শর্ত


২২ জুন, ২০২৩

আশুগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৫০০৭

অসুস্থতার কারণে মিনা এবং মুজদালিফায় অবস্থান করতে সক্ষম না হলে করণীয় কী?


২৭ জুন, ২০২৩

বোরহানউদ্দিন

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৪৩৫৮

তামাত্তু হজ পালনকারী সায়ী' কখন করবে?


২২ জুন, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy