আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, গত রমযানে সকালে জরুরি এক কাজে দেশের বাড়ি পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। দুপুর ১টার দিকে যখন গাড়ি সিরাজগঞ্জে হোটেলে বিরতি দিল। তখন মাথায় চিন্তা আসল যে, আমি তো এখন মুসাফির। আর সফর অবস্থায় তো  রোযা না রাখারও অনুমতি রয়েছে। কিছুটা ক্লান্তিও লাগছিল। তাই বিষয়টি চিন্তা করে রোযা ভেঙে ফেললাম। পাবনায় পৌঁছার পর যখন আমার মামাকে উক্ত ঘটনা শোনালাম। তখন তিনি বললেন, রোযা রাখার পর তা ভেঙে ফেলা জায়েয নেই। এখন তোমাকে উক্ত রোযার কাযা-কাফফারা উভয়টিই আদায় করতে হবে। তার এই কথা শোনার পর থেকে আমি বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত। তাই এখন হুজুরের কাছে জানতে চাচ্ছি যে, আসলে সেই রোযার জরিমানাস্বরূপ এখন আমার করণীয় কী?

৮ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সফর অবস্থায় রোযা না রেখে পরে তা কাযা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু রোযা রেখে দিলে শুধু সফরের ওজরের কারণে তা ভেঙে ফেলা জায়েয হয়ে যায় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য উক্ত রোযা ভেঙে ফেলা ঠিক হয়নি। এখন উক্ত রোযার কাযা করে নিতে হবে। কাফফারা লাগবে না। এক্ষেত্রে কাফফারা লাগার কথা ঠিক নয়।


والله اعلم بالصواب

মাসিক আলকাউসার
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন