আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন আমেরিকা প্রবাসী। দীর্ঘদিন যাবত সপরিবারে এখানে আছি। কুরবানী দেশেই করে থাকি। এর একটা কারণ হল আমরা জানি যে, কুরবানীর গোশত তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। এক ভাগ নিজের, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের আর এক ভাগ মিসকিনদের। আর মিসকিনদের অংশ কুরবানীদাতারা কেউ খেতে পারবে না। যদি খেতে হয় তাহলে ঐ পরিমাণ গোশতের মূল্য সদকা করে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, আমাদের এখানে গরীবের অংশ গ্রহণ করার মতো কেউ নেই, তাই আমি এখানে কুরবানী না করে দেশে কুরবানী করে থাকি।

একজন আলেমের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের কুরবানী তিন ভাগে ভাগ করতেন। আবার আরেক হাদীসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যা ইচ্ছা দান কর, যা ইচ্ছা নিজেরা খাও। আমার জানার বিষয় হল-

ক) তিন ভাগ করাটা কি বাধ্যতামূলক?

খ) যদি বাধ্যতামূলক হয় তাহলে মিসকিনদের অংশের হুকুম কী?

গ) যদি বাধ্যতামূলক না হয় তাহলে কুরবানীদাতা কি মিসকীনদের অংশ খেতে পারবেন?

ঘ) আর উপরে উল্লেখিত উভয় হাদীসই কি সহীহ? সহীহ হলে দুই হাদীসের মাঝে সমন্বয় হবে কীভাবে?

আমার মতো এখানের অনেকেরই একই প্রশ্ন। দলীলসহ জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

হজ্বের মধ্যে যদি কেউ ১১  তারিখে কুরবানী করে এবং ১১ তারিখেই হালাল হয়ে যায় তাহলে তার উপর দম ওয়াজিব হবে কি?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কুরবানীর পশুর কান বা লেজ কী পরিমাণ না থাকলে বা কাটা থাকলে এর দ্বারা কুরবানী সহীহ হয় না?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক ব্যক্তি কুরবানীর পশু ক্রয়ের পর ১২ যিলহজ্বের মধ্যে তা কুরবানী করতে পারেনি। এখন তার কী করণীয়? আর কেউ যদি পশু ক্রয়ই না করে এবং কুরবানীর সময় শেষ হয়ে যায় তখন তার কী করণীয়?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের গ্রামের এক ব্যক্তি কুরবানী করার জন্য ঈদের দুদিন আগে হাট থেকে একটি গাভি ক্রয় করে আনে। ঘটনাক্রমে বাড়ির আরেকটা গাভির সাথে ঐ গাভির লড়াই লেগে ক্রয়কৃত গাভির একটি শিং ভেঙ্গে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন শিং ভাঙ্গা গাভি দ্বারা কুরবানী করলে কুরবানী হবে কি না?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা সহোদর তিনভাই মিলে প্রতি বছর একটি গরু কুরবানী করি। বড় ভাই এক ভাগ আর আমরা দুই ভাই তিন অংশ করে মোট ছয় ভাগ নিয়েছি। আমরা দুই ভাই সমান সমান টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু বড়ভাই আমাদের মধ্যে তুলনামূলক অসচ্ছল হওয়ায় তিনি তার অংশের পুরো টাকা দেন না। আমরা দুই ভাই বলেছি, আপনি যা পারেন দেন, বাকিটা আমরা দুজনে দিয়ে দিব। অবশ্য গোশত সকলের অংশ হারেই বণ্টন করা হয়। টাকা কম-বেশির কারণে তাতে ব্যবধান করা হয় না; বরং ধরে নেওয়া হয় যে, আমরা ছোট দুই ভাই বড় ভাইয়ের টাকার আংশিক আদায় করে দিই।

জানতে চাই, উল্লেখিত পদ্ধতিতে আমাদের কুরবানী কি সহীহ হচ্ছে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের পরিবারে আম্মু এবং আমরা তিন ভাই আছি। পিতার মৃত্যুর পর সম্পদ বণ্টন করা হয়নি। ছোট ভাইদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের সকল আয়-ব্যয় অভিন্ন। এমন অবস্থায় আমাদের সকলের পক্ষ থেকে কি একটি ছাগল কুরবানী যথেষ্ট হবে নাকি প্রত্যেকের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এ বছর হজ্বের কাফেলায় এক ব্যক্তি হলক করে হালাল হওয়ার পর তাওয়াফে যিয়ারতের আগেই স্ত্রীর সাথে থেকেছে এবং স্ত্রীসূলভ আচরণ করেছে। এরপর তারা তাওয়াফে যিয়ারত ও তাওয়াফে বিদা করার পর দেশে চলে আসে। এখন তাদের উক্ত ভুলের কারণে জরিমানা দিতে হবে কি? এক ব্যক্তি বলেছে, তাদের উপর উট কুরবানী করা ওয়াজিব। এটা কি ঠিক?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকায় নিয়ম আছে যে, বাচ্চার খতনা করার কিছুদিন পর তার পিতা-মাতা বা অভিভাবক তাদের নিকটাত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের দাওয়াত করে। তাতে বড় আকারে খাবারের আয়োজন করা হয় এবং আমন্ত্রিত মেহমানগণ বিভিন্ন ধরনের উপহার-উপঢৌকন দিয়ে থাকে।

জানার বিষয় হল, শরীয়তের দৃষ্টিতে খতনা উপলক্ষে এ ধরনের দাওয়াতের আয়োজন করার বিধান কী? এবং এমন দাওয়াতে অংশগ্রহণ করার হুকুম কী?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

অনেকে বলে, মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর কিছু সময় ধরে মৃতের জন্য দুআ ও ইস্তিগফার করতে হয়। আবার কেউ কেউ বলে, একটি উট জবাই করে তার গোশত কেটেকুটে বণ্টন করতে যতটুকু সময় লাগে কবরের পাশে ততটুকু সময় অপেক্ষা করতে হয়। সঠিক বিষয় জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা গরুর ভুঁড়ি  খাই না। তাই আমার বাবা প্রতি বছর তা বিক্রি করে দেন। আম্মা কুরবানীর গরু ও খাসির চর্বি জমা করে ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন। জানতে চাই, এই টাকা কি আমাদের ব্যবহার করা হালাল হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকায় কয়েকদিন আগে একজন মহিলা মারা গেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে তার আত্মীয়স্বজনরা জানাযায় শরিক হওয়ার জন্য এসেছিলেন। মৃতের পরিবার অনেক বড়। আত্মীয়-স্বজন অনেক বেশি। আর তারা সম্পদশালীও। আগত আত্মীয়দের খানা খাওয়ানোর জন্য ঐ মহিলার স্বামী একটি গরু জবাই করে খানার ব্যবস্থা করেন। আর অনেকেই এখন এভাবে আয়োজন করে খানার ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঐ দিন আগত আত্মীয়দের জন্য এভাবে খানার আয়োজন করাটা বেদআত। তাদের এ কথা কতটুকু সঠিক? কুরআন-হাদীসের আলোকে প্রমাণসহ জানালে কৃতজ্ঞ হব।

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

শুনেছি, যিনি কুরবানী করবেন তার জন্য যিলহজ্বের ১লা তারিখ থেকে কুরবানী করার পূর্ব পর্যন্ত নখ, চুল না কাটা মুস্তাহাব। কথাটি কি সঠিক? হাদীসে কি এ ধরনের কথা আছে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

হজ্বের মধ্যে কোনো ত্রুটির কারণে দম ওয়াজিব হলে তা কি হেরেমের ভিতরেই জবাই করতে হবে? নাকি দেশে ফিরে জবাই করলেও চলবে? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের পরিবারে কুরবানীর গোশত দিয়ে গরীব মহিলাদেরকে দাওয়াত খাওয়ানোর রেওয়াজ আছে। কিন্তু আমি ছোট বেলা থেকে লক্ষ্য করেছি, হিন্দু মহিলাদেরকে কুরবানীর গোশত দেওয়া হয় না। তাদের জন্য পৃথক গোশত আনিয়ে নেওয়া হয়। জানতে চাই, হিন্দুদেরকে কুরবানীর গোশত দিতে অসুবিধা আছে কি?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার আববু কুরবানীর পশু ঈদের আগের দিন ক্রয় করেন। গত বছর ঈদের দুদিন আগে আমাদের বাসায় ডাকাতি হয়। তাই আববু গত বছর কুরবানী দিতে পারেননি। তবে তখন আববুর হাতে নগদ টাকা না থাকলেও বাড়িতে দেড় বিঘা জমি আছে, যা থেকে বাৎসরিক আয় আসে বিশ হাজার টাকা। ঐ বিশ হাজার টাকা না হলেও আমাদের সংসার ভালোভাবেই চলে যায়। গত বছর কি আববুর উপর কুরবানী করা ওয়াজিব ছিল? যদি হয়ে থাকে তাহলে এখন কী করবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একজনকে বলতে শুনেছি, ছয় মাসের ছাগল যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে এক বছর বয়সী ছাগলের মতো দেখায় তাহলে তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এই কথাটি কতটুকু সঠিক? দয়া করে জানাবেন।

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকায় প্রসিদ্ধ আছে যে, বাকিতে কুরবানীর পশু ক্রয় করলে কুরবানী সহীহ হয় না। কুরবানীর পশু নগদমূল্যে ক্রয় করতে হবে। বাকিতে ক্রয় করলেও কুরবানীর আগে তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় কুরবানী সহীহ হবে না। এই কথাটি কতটুকু সঠিক? দয়া করে জানাবেন।

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি প্রতিবছরই কুরবানী করি। গত বছর কুরবানীর জন্য আঠারো হাজার টাকা দিয়ে একটি গাভি ক্রয় করি। পরে দেখা গেল, গাভিটি অন্তসত্ত্বা। বাচ্চা হওয়ার সময় অতি নিকটবর্তী হয়ে গেছে। আমাদের কেউ কেউ গাভিটি কুরবানী করতে বাধা দিল। তখন বিশ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি গরু কিনে কুরবানী করি। প্রথম ক্রয়কৃত গাভিটি কুরবানী না করে নতুন গরু কিনে কুরবানী করাতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন। এছাড়া ঐ গাভি ও তার বাচ্চার মালিক কি আমি, নাকি তা সদকা করতে হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার পিতা গত বছর ইন্তেকাল করেছেন। আমি তার নামে কুরবানী করার নিয়ত করেছি। প্রশ্ন হল, মৃত ব্যক্তির নামে দেওয়া কুরবানীর গোশত কী করতে হবে? তার অংশের পুরো গোশতই কি সদকা করতে হবে, নাকি নিজেরাও তা খেতে পারব? জানিয়ে বাধিত করবেন।