আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#২০৮৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

ক) আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তি মসজিদের পাশে এক খন্ড জমি ক্রয় করে মাদরাসার নামে ওয়াকফ করে দেয়। কিন্তু মাদরাসা এখনো প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ভবিষ্যতে মাদরাসা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এলাকার কিছু লোক ঐ জমিতে কলা, পেপে ইত্যাদি চাষাবাদ করে থাকে এবং তা বিক্রি করে মসজিদের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করে।

এখন জানার বিষয় হল-

ক. এভাবে মাদরাসার সম্পদ মসজিদের জন্য ব্যয় করা জায়েয হবে কি না? যদি না হয় তবে পূর্বে ব্যয়কৃত অর্থের হুকুম কী?

খ) মসজিদের মাল মসজিদের ভিতরে বিক্রি করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি? জানালে কৃতজ্ঞ হব।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৩৬৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি তার কিছু জমি মসজিদ ও মাদরাসার উন্নয়নের জন্য মৌখিকভাবে ওয়াকফ করেছিলেন। এবং জমিগুলো মসজিদ-মাদরাসার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেছিলেন। তখন থেকে কর্তৃপক্ষ ওয়াকফের স্বার্থে জমিগুলো ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু চেষ্টা সত্ত্বেও দলিল করে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিন-চার বছর পর ওয়াকফকারীর আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখন তিনি নিজের বাড়ি এবং তার ওয়াকফকৃত উক্ত জমিগুলোও বিক্রি করে দেন। তবে ক্রেতাকে এখনো দলিল করে দেননি। প্রশ্ন হল, এ পরিস্থিতিতে তার জন্য ওয়াকফকৃত জমিগুলো বিক্রি করা কি বৈধ হয়েছে? আমাদের দাবি হল, সেই জমি যেন আবার ফিরিয়ে দেয়। দ্রুত উত্তর জানিয়ে বাধিত করবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৩৬৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

সিদ্দীক সাহেব চীন থেকে গার্মেন্টসে তৈরি বিভিন্ন ধরনের মাল নিয়ে এসে মিসরে বিক্রি করেন। যদি চীন থেকে মাল সরাসরি মিসরে নিয়ে আসেন সেক্ষেত্রে তাকে পূর্ণ মূল্যের উপর ৩০% ট্যাক্স দিতে হয়।

পক্ষান্তরে একই মাল আরবের কোনো দেশ থেকে নিয়ে আসলে ট্যাক্স দিতে হয় মাত্র ৫% থেকে ৭%। সেক্ষেত্রে বিক্রির সময়ও মূল্য অনেক কমে যায়, যা ক্রেতার জন্য সুবিধা হয় এবং তার লাভও একটু বেশি হয়। তাই সিদ্দীক সাহেব চীন থেকে মাল প্রথমে দুবাই নিয়ে আসেন। দুবাই এনে মালগুলোর সব লেভেল খুলে নতুনভাবে মেড ইন ইমারত লেভেল লাগান। পরবর্তীতে একই মাল যখন চীনের পরিবর্তে মেড ইন ইমারত লেভেলে মিসরে যায় সেক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হয় মাত্র ৭%। এ ধরনের কাজ জায়েয কি না? দয়া করে দলিলসহ জানাবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৩১৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের দুটি কবুতর ছিল। হঠাৎ একটি কবুতর হারিয়ে যায়। কিছুদিন পর যে কবুতরটি ছিল তার সাথে বাইরের অন্য একটি কবুতর এসে মিলিত হল। এরপর বাইরের কবুতরটি ডিম পেড়ে অনেকগুলো বাচ্চা ফুটিয়েছে। আমরা ঐ বাচ্চাগুলোর কিছু খেয়েছি, কিছু বিক্রি করেছি। এখন আমার জানার বিষয় হল, এ দুটি কবুতরের একটি আমাদের, অন্যটি কার- তা জানা যায়নি। এমন অবস্থায় বাচ্চাগুলি খাওয়া বা বিক্রি করা কি ঠিক হয়েছে? যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি? ঐ কবুতর এবং তার অবশিষ্ট বাচ্চাগুলিই বা কী করব?

বিস্তারিত জানালে খুশি হব।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#২১০৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা তিন ভাই একটি ঘরের সমহারে মালিক। বড় ভাই তার অংশ বিক্রয়ের প্রস্তাব করলে ছোট ভাই খরিদ করতে রাজি হয়। উভয়ে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, উক্ত ঘরের মূল্য নির্ণয় করার জন্য তাদের দুজনের পছন্দমতো দ্বীনদার লোকের সমন্বয়ে পাঁচ জনের একটি কমিটি গঠিত হবে। তারা যে মূল্য নির্ধারণ করবে উভয় পক্ষ তা মেনে নিবে বলে ওয়াদাবদ্ধ হয়। কমিটি যখন মূল্য নির্ধারণ করে তখন ক্রেতা ছোট ভাই ওয়াদা মোতাবেক তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। কিন্তু বড় ভাই ঘরের মূল্য কম হচ্ছে মনে করে কমিটির নিকট পুনরায় আরো সাত লক্ষ টাকা বেশি দাবি করেন। কমিটি মাসলাহাত মনে করে তা আমলে নিয়ে আরো পাঁচ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে দেন। তখন বড় ভাই (বিক্রেতা) বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। তখন কমিটি সকলের উপস্থিতিতে লেনদেন ও রেজিস্ট্রির সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, রেজিস্ট্রির সময় তিনি বলেন আমি উক্ত মূল্যে বিক্রি করব না। আমার বিক্রি শুদ্ধ হয়নি। আমার শরীয়া মোতাবেক ফিরে যাওয়ার এখতিয়ার আছে। আমার প্রশ্ন হল, আমাদের এই ক্রয়-বিক্রয় শুদ্ধ হয়েছে কি না এবং বিক্রেতার ফিরে যাওয়ার এখতিয়ার আছে কি না। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
#১৮৩১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

মান্যবর মুফতী সাহেব, আমার একটি পাঞ্জাবী টেইলার্সের দোকান আছে। লোকেরা কাপড় ও মাপ দিয়ে যায়। বানানো হলে মজুরী দিয়ে পোশাক নিয়ে যায়। জানার বিষয় হল, অনেকে অর্ডার দিয়ে পরে আর পোশাক নিতে আসে না। কেউ কেউ এক বছর পরে নিতে এসেছে- এমনও হয়েছে। এভাবে আমার টেইলার্সে কিছু জামা প্রস্তুত হয়ে পড়ে আছে। অন্যদিকে অর্ডার রসিদে স্পষ্ট লেখা আছে ডেলিভারির তারিখের দুইমাস বা ষাট দিনের মধ্যে জামা না নিলে পরে যদি তা হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তবে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

যেহেতু প্রত্যেকটি প্রস্তুতকৃত জামার মজুরী কারিগরকে পরিশোধ করা দায়িত্ব তাই এসকল কাপড় বিক্রি করে আমার জন্য মজুরী আদায় করার কোনো সুযোগ আছে কি না? পরে অর্ডারকারী আসলে আমার কী করণীয়? আমার অবস্থা বিবেচনা পূর্বক করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ চাই।

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#৮০০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার মরহুম পিতার ক্রয়কৃত কিছু শেয়ার আমার তত্ত্বাবধানে আছে। আমি যাকাত হিসাব করার সময় ঐ শেয়ারগুলোর তাৎক্ষণিক বাজারমূল্য ধরে যাকাত দেই। বর্ণিত পদ্ধতিতে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে কি না?  উল্লেখ্য, শেয়ারগুলো ক্রয়-বিক্রয় করা হয় না ; বরং কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত বাৎসরিক ডিভিডেন্ড গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে বর্ণিত শেয়ারগুলো এজমালী অবস্থায় আছে। এজমালী অবস্থায় শেয়ারগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ২,৯০,৬৮০ টাকা। কিন্তু প্রত্যেক অংশীদারকে যদি অংশ দেওয়া হয় তাহলে-

প্রত্যেক ভাই পাবে- ৫০৮৬৯.০০

প্রত্যেক বোন পাবে- ২৫৪৩৪.৫০

মাতা পাবে- ৩৬৩৩৫.০০

উল্লেখ্য, আমরা ৪ ভাই, ২ বোন এবং মাতা জীবিত আছেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০