আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭৭- স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অধ্যায়
৬৫৩১। সাঈদ ইবনে উফায়র (রাহঃ) ......... খারিজা ইবনে যায়দ ইবনে সাবিত (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল আলা নাম্নী জনৈকা আনসারী মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে বায়আত গ্রহণ করেন। তিনি তাঁকে জানান যে, আনসারগণ লটারির মাধ্যমে মুহাজিরগণকে ভাগ করে নিয়েছিল। আমাদের ভাগে আসলেন উসমান ইবনে মাযউন (রাযিঃ)। আমরা তাকে আমাদের ঘরের মেহমান বানিয়ে নিলাম। এরপর তিনি এমন এক ব্যথায় আক্রান্ত হলেন যে, সে ব্যথায় তার মৃত্যু হল। মারা যাবার পর তাঁকে গোসল দেওয়া হল। তার কাপড় দিয়েই তাকে কাফন পরানো হল। ইত্যবসরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন। উম্মুল আলা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম, তোমার ওপর আল্লাহর রহমত হোক, হে আবু সাইব! আমার সাক্ষ্য তোমার বেলায় এটাই যে, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি করে জানলে যে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার প্রতি আমার পিতা কুরবান হোক! তাহলে কাকে আল্লাহ সম্মানিত করবেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! তার ব্যাপার তো হল, তার মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম! তার জন্য আমি কল্যাণেরই আশাবাদী। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসুল হওয়া সত্ত্বেও জানিনা, আমার সাথে কি ব্যবহার করা হবে? তখন উম্মুল আলা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আগামীতে কখনো কারো বিশুদ্ধতার প্রত্যয়ন করব না।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন