আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
৪৭২৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে উরওয়া (রাহঃ) বলেছেন যে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ) -এর কাছে “তোমরা যদি ভয় কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি ইনসাফ করতে পারবে না”-এই আয়াতের মর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হে ভাগ্নে! এই আয়াত ঐসব ইয়াতীম বালিকার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে, যারা কোন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে আছে। আর অভিভাবক তার ধন-সম্পদ ও সৌন্দর্যের প্রতি আসক্ত; কিন্তু শাদীর পর মোহর দিতে অনিচ্ছুক। এই রকম অভিভাবককে ঐ ইয়াতীম বালিকাদের শাদী বন্ধনে আবদ্ধ করতে নিষেধ করা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ইনসাফের সাথে পূর্ণ মোহর তাদেরকে দিয়ে দেয় এবং এদেরকে ছাড়া অন্যদের শাদী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, পরবর্তীকালে লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেন, ″লোকেরা তোমার নিকট স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বল, আল্লাহ তাদের সম্পর্কে তোমাদের প্রতি এই নির্দেশ দিচ্ছেন এবং সেই সঙ্গে এই হুকুমগুলো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, যা অনেক পূর্ব থেকেই তোমাদেরকে শোনানো হয়েছে। সেই হুকুমগুলো যা এই ইয়াতীম মেয়েদের সম্পর্কে। যাদের হক তোমরা সঠিক মত আদায় কর না। যাদেরকে শাদী বন্ধনে আবদ্ধ করার কোন আগ্রহ তোমাদের নেই।”
ইয়াতীম বালিকারা যখন সুন্দরী এবং ধনবতী হয়, তখন অভিভাবকগণ তার বংশমর্যদা রক্ষা এবং শাদী বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতঃ তারা এদের পূর্ণ মোহর আদায় না করা পর্যন্ত শাদী করতে পারে না। আর তারা যদি এদের ধন-সম্পদ এবং সৌন্দর্যের অভাবের কারণে শাদী বন্ধনে আবদ্ধ করতে আগ্রহী না হত, তাহলে তারা এদের ছাড়া অন্য মহিলাদের শাদী করত। সুতরাং যখন তারা এদের মধ্যে স্বার্থ পেতো না তখন তাদের বাদ দিত। এ কারণে তাদেরকে স্বার্থের বেলায় পূর্ণ মোহর আদায় করা ব্যতীত শাদী করতে নিষেধ করা হয়।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন