দু'আ

সূরা আল-ফাতিহা

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

সূরা আল-ফাতিহা

share dua

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

অর্থঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।

উৎসঃ আল-কুরআন, সূরা-০১

উপকারিতাঃ

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (দারামী) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ إِنِّي أَحْيَانًا أَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ قَالَ يَا ابْنَ الْفَارِسِيِّ فَاقْرَأْهَا فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُومُ الْعَبْدُ فَيَقْرَأُ (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ اللَّهُ حَمِدَنِي عَبْدِي فَيَقُولُ (الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَيَقُولُ اللَّهُ أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي فَيَقُولُ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ فَيَقُولُ مَجَّدَنِي عَبْدِي وَهَذَا لِي وَبَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ وَآخِرُ السُّورَةِ لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُولُ (اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَرَوَى ابْنُ جُرَيْجٍ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا ২৯৫৩ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَيْنَمَا جِبْرِيلُ قَاعِدٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ نَقِيضًا مِنْ فَوْقِهِ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ هَذَا بَابٌ مِنَ السَّمَاءِ فُتِحَ الْيَوْمَ لَمْ يُفْتَحْ قَطُّ إِلاَّ الْيَوْمَ فَنَزَلَ مِنْهُ مَلَكٌ فَقَالَ هَذَا مَلَكٌ نَزَلَ إِلَى الأَرْضِ لَمْ يَنْزِلْ قَطُّ إِلاَّ الْيَوْمَ فَسَلَّمَ وَقَالَ أَبْشِرْ بِنُورَيْنِ أُوتِيتَهُمَا لَمْ يُؤْتَهُمَا نَبِيٌّ قَبْلَكَ فَاتِحَةُ الْكِتَابِ وَخَوَاتِيمُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ لَنْ تَقْرَأَ بِحَرْفٍ مِنْهُمَا إِلاَّ أُعْطِيتَهُ ১৭৫০و

হযরত রাসূলে করীম (সা) এরশাদ করেছেন যে, যাঁর হাতে আমার জীবন-মরণ, আমি তাঁর শপথ করে বলছি—সূরা আল-ফাতিহার দৃষ্টান্ত তওরাত, ইনজীল, যবুর প্রভৃতি অন্য কোন আসমানী কিতাবে তো নেই-ই, এমনকি পবিত্র কোরআনেও এর দ্বিতীয় নেই। ইমাম তিরমিযী আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন যে সূরায়ে ফাতিহা প্রত্যেক রোগের ঔষধবিশেষ। হাদীস শরীফে সূরা আল-ফাতিহাকে সূরায়ে শেফাও বলা হয়েছে। (কুরতুবী) বোখারী শরীফে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, —সমগ্র কোরআনে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সূরা হচ্ছে -(কুরতুবী) তাফসীরে মারেফুল কুরআন সূরা ফাতিহা দ্র:। হযরত আব্দুল মালিক ইবনে ওমায়ের (রহঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, সূরা ফাতিহার মধ্যে সমস্ত রোগ হইতে শেফা (আরোগ্য) রহিয়াছে। (দারামী) عَنْ . আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার নামাযে উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে না তার নামায হবে ক্রটিযুক্ত, অসম্পূর্ণ। রাবী আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেন, আমি বললামঃ হে আবু হুরায়রা, আমি তো অনেক সময় ইমামের পেছনে থাকি। তিনি বললেনঃ হে পারস্য সন্তান, তখন মনে মনে তা পাঠ করবে। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)–কে বলতে শুনেছি আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ আমি নামায (সূরা ফাতিহা)–কে আমার আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে অর্ধাঅর্ধি বিভক্ত করে দিয়েছি। তার অর্ধেক আমার আর অর্ধেক আমার বান্দার। আর আমার বান্দারা যা চাইবে তাই পাবে। বান্দা নামাযে দাঁড়িয়ে বলেঃ আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। তখন আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। বান্দা বলেঃ আর রহমানির রাহীম। আল্লাহ্ বলেনঃ বান্দা আমার ছানা ছিফাত করেছে। বান্দা বলেঃ মালিকি ইয়াও মিদ্দীন। আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার মর্যাদা দিয়েছে। এতটুকু হল আমার। আমার এবং আমার বান্দার মাঝে হল, ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তা’ঈন। সূরার শেষ অংশ হল আমার বান্দার। বান্দা আমার কাছে যা চাইবে তা পাবে। বান্দা বলেঃ ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম, সীরাতাল্লাযীনা আনআমতা আলাইহিম গায়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালায্যাল্লীন। ইবনে মাজাহ, মুসলিম তিরমিজি হাদীস নং: ২৯৫৩আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৩ عَنِ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) নবী এর নিকটে উপবিষ্ট ছিলেন, ইত্যবসরে উপরের দিকে তিনি একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে নিজের মাথা তুললেন এবং বললেন, এটি আসমানের একটি দরজা যা আজই খুলে দেয়া হল; আজকের দিন ব্যতীত কখনও তা খোলা হয়নি। তখন সে দরজা দিয়ে একজন ফিরিশতা অবতরণ করলেন। তিনি বললেন, ইনি একজন ফিরিশতা যিনি পৃথিবীতে অবতরণ করলেন, আজ ছাড়া অন্য কখনো তিনি অবতরণ করেননি। এরপর উক্ত ফিরিশতা সালাম করে বললেন, দুটি নূর এর সুসংবাদ গ্রহণ করুন যা আপনাকে দেয়া হয়েছে এবং যা আপনার আগে আর কোন নবীকে দেয়া হয়নি। তা হল সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারা’র শেষাংশ। দু’ টির যে কোন হরফ আপনি পাঠ করবেন তা আপনাকে দিয়েই দেয়া হবে।* *অর্থাৎ, এতে যে দু'আর বিষয়বস্তু আছে তা কবুল করা হবে। সহীহ মুসলীম হাদীস নং: ১৭৫০و আন্তর্জাতিক নং: ৮০৬


Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy