প্রবন্ধ

দরসে হাদীস - যে কটুকথা শুনেও সবর করে

লেখক:মাওলানা যাকারিয়া আব্দুল্লাহ
১১ আগস্ট, ২০২৪
১৪৭৮ বার দেখা হয়েছে
মন্তব্য

الحمد لله ربّ العالمين، والصلاة والسلام على سيدِ المرسلين، وعلى آله وأصحابه أجمعين، أما بعدُ...

عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، عَنِ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلّمَ قَالَ: الْمُؤْمِنُ الّذِي يُخَالِطُ النّاسَ، وَيَصْبِرُ عَلَى أَذَاهُمْ، خَيْرٌ مِنَ الّذِي لاَ يُخَالِطُ النّاسَ، وَلاَ يَصْبِرُ عَلَى أَذَاهُمْ.

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনযে মুমিন মানুষের সাথে মেশে এবং তাদের পক্ষ থেকে পাওয়া কষ্টের উপর সবর করেসে ওই মুমিনের চেয়ে উত্তমযে মানুষের সাথে মেশে না এবং তাদের দেয়া কষ্টের উপর সবর করে না। -আলআদাবুল মুফরাদবুখারীহাদীস ৩৮৮

এই হাদীসের উপর ইমাম বুখারী রাহ.-এর শিরোনাম-

الّذِي يَصْبِرُ عَلَى أَذَى النّاسِ.

যে ব্যক্তি মানুষের দেয়া কষ্টের উপর সবর করে।’ অর্থাৎতার ফযীলত ও মর্যাদা। এ শিরোনামে যে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছেতাতে ঐ মুমিনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণিত হয়েছেযে মানুষের সাথে মেশে এবং ধৈর্য ধারণ করে।

হাদীসটি মানুষের সাথে মেলামেশার নীতি ও বিধান সংক্রান্ত একটি হাদীস। এ থেকে বোঝা যাচ্ছেমানুষের সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রেও শরয়ী নীতিমালা আছেযা রক্ষা করে চলতে হবে।

মানুষের সাথে মেলামেশা হলে অনেক সময় তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের কটূক্তিকটু কথাও শুনতে হতে পারে। বিভিন্নভাবে কষ্ট পাওয়ারও ব্যাপার ঘটতে পারে। বিশেষত যারা দাওয়াতের অঙ্গনে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে তো এমনটা ঘটতেই পারে। এসব ক্ষেত্রে সবর করতে হবে। মানুষের সাথে মেশার শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ সবর।

এ প্রসঙ্গে أذًى শব্দটি এসেছে। আরবী ভাষায় শব্দটি যদিও যে কোনো কষ্ট কিংবা কষ্টদায়ক বস্তু বা ব্যাপারকে নির্দেশ করেকিন্তু সাধারণত শব্দটি কটু কথাকষ্টদায়ক কথা বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। কষ্টদায়ক কথাকে বিভিন্ন জায়গায় আলআযা’ বলা হয়েছে।

আরেকটি হাদীস লক্ষ করুন-

আবু মূসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিতনবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

لَيْسَ أَحَدٌ، أَوْ لَيْسَ شَيْءٌ، أَصْبَرَ عَلَى أَذًى سَمِعَهُ مِنَ اللهِ عَزّ وَجَلّ، إِنّهُمْ لَيَدّعُونَ لَهُ وَلَدًا، وَإِنّهُ لَيُعَافِيهِمْ وَيَرْزُقُهُمْ.

আল্লাহ পাকের চেয়ে কটু কথার ওপর অধিক সবরকারী আর কেউ নেই। লোকেরা তাঁর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করেঅথচ তিনি তাদেরকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখেন এবং তাদেরকে রিযিক দান করেন। -আলআদাবুল মুফরাদবুখারীহাদীস ৩৮৯সহীহ বুখারীহাদীস ৬০৯৯

আল্লাহ তাআলার জন্য সন্তান সাব্যস্ত করা ভয়াবহ রকমের কটূক্তি! কারণ তিনি তো ওই সত্তাযিনি নিজের ব্যাপারে বলেছেন-

اللهُ اَحَدٌ.

আল্লাহ এক।

اَللهُ الصَّمَدُ.

আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন। সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী।

لَمْ یَلِدْ  وَ لَمْ یُوْلَدْ، وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ.

কেউ তাঁর সন্তান নয়তিনিও কারো সন্তান নন এবং তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

সন্তান সাব্যস্ত করার অর্থ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য সমকক্ষ সাব্যস্ত করা। কারণ পিতা ও সন্তান পরস্পর সমশ্রেণির হয়ে থাকে। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হলেন ওই সত্তাযাঁর মতো আর কেউ নেই।

আমরা পৃথিবীতে অনেক শ্রেণির মাখলুক দেখে থাকি। মানুষ একটি শ্রেণি। আল্লাহ পাকের একটি সৃষ্টি। এই শ্রেণির অনেক সদস্য পৃথিবীতে রয়েছে। লক্ষ-কোটি মানুষ আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন। সবাই পরস্পর সমশ্রেণির। কিন্তু আল্লাহ তাআলা হলেন ওই সত্তাযার মতো আর কেউ নেই। তিনি এক ও একক। তাঁর জন্য ওয়ালাদ’ বা সন্তান সাব্যস্ত করার অর্থ হলতাঁকে তাঁর সৃষ্টির সমশ্রেণির সাব্যস্ত করে দেয়া। এর চেয়ে বড় কটূক্তি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শানে আর কী হতে পারে?

তো বহু মানুষ আল্লাহ পাকের জন্য সমকক্ষতা সাব্যস্ত করেঅথচ এর পরও তিনি তাদেরকে রক্ষা করেন। রিযিক দান করেন। তাই কটূক্তির উপর সবরকারী তাঁর চেয়ে বেশি আর কেউ নেই।

এখান থেকে আমরা আল্লাহ তাআলার একটি সিফাত ও বৈশিষ্ট্য জানলাম যেতিনি কটূক্তির ওপর সবর করেন। তাঁর সবর করার অর্থতিনি বান্দাকে তৎক্ষণাৎ শাস্তি দেন নাবরং রিযিক দিতে থাকেন। তাকে আফিয়াত ও সালামতি দিতে থাকেনরক্ষা করতে থাকেন।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বৈশিষ্ট্যও এমন ছিল।  তিনি মানুষের কটূক্তি সহ্য করেছেন। পরের হাদীসে একটি ঘটনার অংশবিশেষ উল্লেখ করা হয়েছে।

قَالَ عَبْدُ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: قَسَمَ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلّمَ قِسْمَةً، كَبَعْضِ مَا كَانَ يَقْسِمُ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ: وَاللهِ، إِنّهَا لَقِسْمَةٌ مَا أُرِيدَ بِهَا وَجْهَ اللهِ عَزّ وَجَلّ، قُلْتُ: أَمَا لأَقُولَنّ لِلنّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلّمَ، فَأَتَيْتُهُ، وَهُوَ فِي أَصْحَابِهِ، فَسَارَرْتُهُ، فَشَقّ ذَلِكَ عَلَى النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلّمَ وَتَغَيّرَ وَجْهُهُ، وَغَضِبَ، حَتّى وَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَخْبَرْتُهُ، ثُمّ قَالَ: قَدْ أُوذِيَ مُوسَى بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ.

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিতএকদা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু জিনিস বণ্টন করলেনযেমন বিভিন্ন সময় তিনি বণ্টন করতেন। অর্থাৎ গনীমতের সম্পদ বণ্টন করলেন।  (এটা হুনাইন যুদ্ধের ঘটনা)

তখন আনসারীদের এক লোক বলল-

আল্লাহর কসমএটা এমন বণ্টনযে বণ্টনে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য ছিল না।

বিষয়টি হলহুনাইন যুদ্ধে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবের কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে গনীমত থেকে বিশেষ অংশ দিয়েছিলেন। তাদেরকে বেশি অংশ দেয়ার উদ্দেশ্য ছিলতাদেরকে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ করা। ইসলামের ব্যাপারে তাদের মনকে কোমল করা। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় বিষয়টি পরিষ্কার আছে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

أتألفهم.

অর্থাৎ তাদেরকে আমি বেশি দিচ্ছি- ইসলাম ও মুসলমানের প্রতি তাদের প্রীতি ও কোমলতা আকর্ষণ করার জন্য।

কিন্তু কেউ বলে ফেললএটি এমন বণ্টনযে বণ্টনে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য ছিল না।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন- আমি তখন বললামঅবশ্যই আমি এই কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানিয়ে দিব।

আমি তাঁর কাছে এলাম। তিনি তাঁর সঙ্গীদের মাঝে ছিলেন। আমি চুপে চুপে তাঁর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালাম। কথাটি তাঁর জন্য কষ্টদায়ক হল এবং কষ্টের ভাব চেহারায় ফুটে ওঠল।

আমার তখন মনে হলআহাআমি যদি তাঁকে এই সংবাদটি না দিতাম!

এরপর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- মূসা আলাইহিস সালামকে এর চেয়ে বেশি কিছু দ্বারা কষ্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি সবর করেছেন।

এই হাদীস থেকে বোঝা যায়রাসূলে কারীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাতের এক গুরুত্বপূর্ণ  বৈশিষ্ট্য এই ছিল  যেউম্মতের কোনো কোনো ব্যক্তি থেকে তিনি কখনো কখনো কষ্ট পেয়েছেনতারপরও সবর করেছেন।

এ ঘটনায় আরো লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছেকারো কারো মনে যে প্রশ্ন জেগেছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিরসনও করেছেন। সহীহ বুখারীসহীহ মুসলিমসহ হাদীসের কিতাবগুলোতে এ ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। তাতে আছে যেআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি আনসারীদের এক জায়গায় একত্র করে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তারা বললেন, ‘আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে যারা ফকীহ’ (অর্থাৎ যাদের দ্বীনের প্রজ্ঞা আছে) তারা তো কিছু বলেননিতবে অন্যরা বলেছে।’ বর্ণনাকারী বলেনসাহাবীগণ কখনো মিথ্যার আশ্রয় নিতেন না। বাস্তব অবস্থা অকপটে তুলে ধরতেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ، أَلَمْ أَجِدْكُمْ ضُلّالًا فَهَدَاكُمُ اللهُ بِي، وَكُنْتُمْ مُتَفَرِّقِينَ فَأَلّفَكُمُ اللهُ بِي، وَعَالَةً فَأَغْنَاكُمُ اللهُ بِي.

হে আনসারী সম্প্রদায়! তোমরা কি পথহারা ছিলে নাএরপর আল্লাহ আমার মাধ্যমে তোমাদের পথ দেখালেনতোমরা কি বিবাদ-বিভক্তিতে জর্জরিত ছিলে নাএরপর আল্লাহ আমার দ্বারা তোমাদের ঐক্যবদ্ধ করলেনতোমরা কি নিঃস্ব ছিলে নাএরপর আল্লাহ আমার মাধ্যমে তোমাদের নিঃস্বতা দূর করলেন?’ আল্লাহর রাসূল যখন এ কথাগুলো বলছিলেন তখন প্রতিউত্তরে আনসারী সাহাবীগণের জবাব ছিল-

اللهُ وَرَسُولُهُ أَمَنُّ.

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই (আমাদের প্রতি) অধিক অনুগ্রহকারী।

(সুবহানাল্লাহ! লক্ষ্য করুনএখানে আল্লাহর রাসূল সবার আগে হেদায়েতের নিআমতএরপর ঐক্যবদ্ধতার নিআমতএরপর সচ্ছলতার নিআমত উল্লেখ করেছেন) এরপর আল্লাহর রাসূল বললেন-

مَا يَمْنَعُكُمْ أَنْ تُجِيبُوا رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّم.

তোমরাও তো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রত্ত্যুত্তরে কিছু বলতে পার। তা বলছ না কেন?’

তোমরা তো বলতে পার- যদি বল তবে তা সত্যই হবে এবং তোমাদের সত্যবাদীই বলা হবে- আপনি তো আমাদের কাছে ঐ সময় এসেছেনযখন অন্যরা আপনাকে মিথ্যাবাদী বলেছে। তখন আমরা আপনাকে সত্যবাদী বলেছি।

আপনি ঐ সময় এসেছেনযখন আপনার কোনো সাহায্যকারী ছিল না। তখন আমরা আপনার নুসরত করেছি। আপনি এমন অবস্থায় এসেছেনআপনাকে আশ্রয়হীন করা হয়েছে। ঐ সময় আমরা আপনাকে আশ্রয় দিয়েছি।

আপনি এমন অবস্থায় এসেছেনআপনি ছিলেন রিক্তহস্তঐ সময় আমরা আপনার সহমর্মী হয়েছি।

সুবহানাল্লাহ! কীভাবে মানব-মনের এক একটি কাঁটা বের করে আনছেন এবং হৃদয়কে কণ্টকমুক্ত করছেন!

আল্লাহর রাসূলের এই কথাগুলোর জবাবে আনসারীদের জবাব কী ছিলতাঁদের জবাব ছিল-

بل المن علينا لله ولرسوله.

বরং আমরাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি কৃতার্থ। -সহীহ বুখারীহাদীস ৪৩৩০ (ফাতহুল বারী)

অর্থাৎ তারা তো প্রজ্ঞাবান ছিলেন। তাদের কারো কারো সাময়িক বিস্মৃতি ঘটলেও তাঁদের চেয়ে এ উপলব্ধি আর কাদের বেশি হতে পারে যেআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকৃত নুসরতকারী স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তিনি যাদেরকে নিজ নুসরতের কাজে ব্যবহার করেছেনএ তো তাদের পরম সৌভাগ্য। আল্লাহ তাআলা তো কোনোরূপ মাধ্যম ছাড়াও তাঁর দ্বীনের নুসরত করতে পারেন। আবার যাদেরকে মাধ্যম বানিয়েছেন তারা ছাড়া অন্যদেরকেও মাধ্যম বানাতে পারেন। সুতরাং তাদের অনুসরণীয় ও অবিস্মরণীয় জবাব-

بل المن علينا لله ولرسوله.

বরং আমরাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি কৃতার্থ।

এই হচ্ছে দ্বীনের সমঝনুসরতে দ্বীন সম্পর্ক সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি।

তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন কারো কারো কটূক্তির উপর সবর করেছেন তেমনি প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধও রেখেছেন।

আমাদের সমষ্টিগত জীবনেও এরকম অনেক প্রসঙ্গ সামনে আসে। অনেক কটু কথাঅবাস্তব কথা শুনতে হয়। ওসব ক্ষেত্রে উচিত হলরাসূলুল্লাহ্র সীরাতের অনুসরণ করা। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের যে গুণবান্দা হিসেবে যদ্দুর সম্ভব নিজের মধ্যে তা অর্জন করার চেষ্টা করা।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে বোঝার এবং আমল করার তাওফীক দান করুন।

মন্তব্য (...)

এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ

আপনি কি দ্বীনের খাদিম হতে চান?

...

মাওলানা আবু আহমাদ
১০ নভেম্বর, ২০২৪
১০৭৮ বার দেখা হয়েছে

জেনারেল শিক্ষিত ও দ্বীনী শিক্ষিতদের পরস্পর কাছাকাছি আসা উচিত!

...

মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ
১০ নভেম্বর, ২০২৪
১৭৮১ বার দেখা হয়েছে

লেখকবৃন্দ

সকল লেখক →