মাওলানা তারিক জামিল

Blog Writer Image
মাওলানা তারিক জামিল দাঃ ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিলকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩ সালে জর্ডানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে একজন নির্বাচিত হন মাওলানা তারেক জামিল। নিজের বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলস্টোন পার করে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ সম্মাননাও পেয়েছেন মাওলানা তারেক জামিল। উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা তারেক জামিল তার বয়ানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকেন। তার বয়ানে কল্যাণ আত্মশুদ্ধি ও ইসলামের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন বর্তমান সময়ের কিশোর, তরুণ, যুৃব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ। মাওলানা তারিক জামিল (জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) একজন প্রভাবশালী পাকিস্তানি দেওবন্দি আলেম, দায়ী এবং তাবলিগ জামাতের মুরুব্বী। ইসলাম প্রচারক হিসেবে তার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পাশাপাশি উর্দু ও আরবিতে সাবলীল বক্তৃতা তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষকে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষাজীবনে তিনি তাবলিগ জামাত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা ছেড়ে নিজেকে ইসলাম শিক্ষায় নিয়োজিত করেছিলেন। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সবসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম জরিপে শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছেন। প্রারম্ভিক জীবন তিনি ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের টুলাম্বায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৭১ সালে তাবলিগ জামাতে চার মাস সময় লাগানোর পর তিনি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। প্রথমদিকে তিনি লাহোরের জামিয়া আরাবিয়া, রায়উইন্ডে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। পিতার বিরোধিতার কারণে তিনি জামিয়া রশিদিয়া শাহীওয়ালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তার পিতা রাজি হয়ে তাকে রায়উইন্ড মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। এখানেই তিনি কুরআন, হাদিস, সুফিবাদ, যুক্তিবিদ্যা এবং ইসলামি আইনশাস্ত্র নিয়ে অধ্যয়ন করেন। কর্মজীবন শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর থেকে তিনি তাবলিগ জামাতের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি জাতিগত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমর্থন করে বক্তৃতা প্রদান করেন। তিনি জামিয়া আল হুসায়নিয়া এবং মিম একাডেমি নামে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড়ের ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। তার নামে রয়েছে মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা এই তিনটা ক্ষেত্রে এটি কাজ করে থাকে। পুরস্কার তিনি দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিমের তালিকায় সবসময় শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। ২০২০ ও ২০২১ সালে ধর্মীয় ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি পাকিস্তানের প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার পেয়েছেন। হত্যাচেষ্টা তার বক্তৃতায় প্রভাবিত হয়ে পাকিস্তানের চকওয়াল এবং তার আশেপাশের এলাকায় বহু মানুষ কাদিয়ানি মতবাদ ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করলে তিনি কাদিয়ানিদের বিরাগভাজনে পরিণত হন। এই কারণে পাকিস্তানের তিলাবিজের এক যুবককে কাদিয়ানি সম্প্রদায় তাকে হত্যা করার জন্য নিয়োজিত করেছিলেন। কিন্তু যুবকটি তার বক্তৃতা শ্রবণ করে ইসলাম গ্রহণ করে।

মাওলানা তারিক জামিল-এর বয়ানসমূহ

মাওলানা তারিক জামিল-এর প্রবন্ধসমূহ