প্রশ্নঃ ৯৯১৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, গায়েরে মাহরাম পুরুষদের কি সালাম দেওয়া জায়েজ আছে?যেহেতু নারীরদের নিজের গলার স্বরের পর্দাও হেফাজত করতে হয়।ষ আমি একজন শিক্ষার্থী,আর আমার জানা মতে পুরুষ শিক্ষকেরা গায়েরে মাহরাম। কিন্তু তাঁরা সামনে এলে সালাম না দিলে সকলে অভদ্র ভেবে নেন।এই অবস্থায় আমি কি করতে পারি? উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ হতাম।
২ নভেম্বর, ২০২১
বরিশাল
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নারী-পুরুষের সহশিক্ষা শরীয়ত সমর্থন করে না। নারীদের শিক্ষক পুরুষ, পুরুষের শিক্ষিকা নারী হয়ে সম্মুখে চলে আসা, সামনাসামনি ক্লাস করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। পর-পুরুষকে সালাম দেওয়ার বিষয়টি তো আরো পরের মাসআলা।
সহশিক্ষায় ফিতনা থেকে বেরিয়ে আসুন।
অবশ্য পর্দার আড়াল থেকে পারিবারিক ও শরঈ প্রয়োজনে পরপুরুষ পরনারীকে সালাম দেওয়া জায়েয। যেমন আপনার বাসায় আপনার কোন গায়রে মাহরাম আত্মীয় এসেছেন। এই মুহূর্তে তার অবস্থা জিজ্ঞেস করার মত মাহরাম নারী কিংবা পুরুষ না থাকলে পর্দার আড়াল থেকে তার খোঁজখবর নেয়ার জন্য সালাম দিতে পারবেন।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتَ النَّبِیِّ اِلَّاۤ اَنۡ یُّؤۡذَنَ لَکُمۡ اِلٰی طَعَامٍ غَیۡرَ نٰظِرِیۡنَ اِنٰىہُ ۙ وَلٰکِنۡ اِذَا دُعِیۡتُمۡ فَادۡخُلُوۡا فَاِذَا طَعِمۡتُمۡ فَانۡتَشِرُوۡا وَلَا مُسۡتَاۡنِسِیۡنَ لِحَدِیۡثٍ ؕ اِنَّ ذٰلِکُمۡ کَانَ یُؤۡذِی النَّبِیَّ فَیَسۡتَحۡیٖ مِنۡکُمۡ ۫ وَاللّٰہُ لَا یَسۡتَحۡیٖ مِنَ الۡحَقِّ ؕ وَاِذَا سَاَلۡتُمُوۡہُنَّ مَتَاعًا فَسۡـَٔلُوۡہُنَّ مِنۡ وَّرَآءِ حِجَابٍ ؕ ذٰلِکُمۡ اَطۡہَرُ لِقُلُوۡبِکُمۡ وَقُلُوۡبِہِنَّ ؕ وَمَا کَانَ لَکُمۡ اَنۡ تُؤۡذُوۡا رَسُوۡلَ اللّٰہِ وَلَاۤ اَنۡ تَنۡکِحُوۡۤا اَزۡوَاجَہٗ مِنۡۢ بَعۡدِہٖۤ اَبَدًا ؕ اِنَّ ذٰلِکُمۡ کَانَ عِنۡدَ اللّٰہِ عَظِیۡمًا
হে মু’মিনগণ ! তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্যে অপেক্ষা না করে ভোজনের জন্যে নবীগৃহে প্রবেশ কর না। তবে তোমাদেরকে আহবান করলে তোমরা প্রবেশ কর এবং ভোজনশেষে চলে যেও ; তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না। কারণ তোমাদের এই আচরণ নবীকে পীড়া দেয়, সে তোমাদেরকে উঠাইয়া দিতে সংকোচ বোধ করে। কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচ বোধ করেন না। তোমরা তার পত্নীদের নিকট হতে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল হতে চাইবে। এই বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্যে অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহ্ র রাসূলকে কষ্ট দেওয়া সংগত নয় এবং তার মৃত্যুর পর তার পত্নীদেরকে বিবাহ করা তোমাদের জন্যে কখনও বৈধ নয়। আল্লাহ্ র দৃষ্টিতে এটা ঘোরতর অপরাধ।
—আল আহ্যাব - ৫৩
والله اعلم بالصواب
ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১