আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৯৩৯০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হজরত আমার দুটি প্রশ্ন.!নাম্বার ১/ হুজুর বেতেরের নামাজ মূলত কত রাকাত..?আমরা তো জানি তিন রাকাত এখন এক হুজুর বলতেছে বেতেরের নামাজ ১রাকাত পড়লেও নাকি চলে.? রাসূল (সাঃ) না কি এক রাকাত পড়তেন.? তাহলে কি আমরা এক রাকাত পড়বো না কি তিন রাকাত পড়বো.?নাম্বার ২/ হজরত নামাজের শেষ বৈঠকে দুআ মাছুরা পরা কি বাধ্যতামূলক..? না পড়লে কি নামাজের কোন খতি হবে.? না পড়লে কি নামাজ হবে না..? আর যারা এই দুআ মাছুরা পারে না তারা কি করবে..? অথবা তার পরিবর্তে অন্য কোন দুআ পড়া যায় কি না.? পরার কোন নিয়ম আছে কি না..?জানতে চাই হজরত।আস্সালামু আলাইকুম।

১৩ অক্টোবর, ২০২১
দুর্গাবাড়ি রাস্তা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






বিতির নামায তিন রাকাআত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের শেষাংশে দু রাকাত দু রাকাত করে তাহাজ্জুদ পড়তেন। সুবহে সাদিকের কিছুক্ষণ পূর্বে দু'রাকা'আত এর সঙ্গে এক রাকাআত মিলিয়ে সকল নামাজকে বেজোড় করে দিতেন। রাতের এই নামাজগুলো অত্যন্ত দীর্ঘ হত। লম্বা লম্বা কিরাত, লম্বা রুকু, লম্বা সাজদাহ করতেন। বিতির নামাযে একটু ব্যতিক্রম করতেন। নিম্নের বর্ণনায় দেখুন:

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ الأَبَّارُ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَنَسٍ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ طَلْحَةَ، وَزُبَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ بِـ ‏{‏ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏}‏ وَ ‏{‏ قُلْ لِلَّذِينَ كَفَرُوا ‏}‏ وَاللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ ‏.‏

উবাই ইবনু কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রসূলু্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিতর সলাতে সূরাহ ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’, ‘ক্বুল ইয়া-আইয়্যুহাল কাফিরূন’ এবং ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সমাদ’ তিলাওয়াত করতেন।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২৩


———
দোয়া মাসুরা হলো কুরআন-হাদীসে শেখানো দোয়া। যেকোনো একটি দোয়া নামাজের শেষ বৈঠকে পড়লেই যথেষ্ট। তবে প্রসিদ্ধ দোয়া মাসুরা এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। অন্য কোন দোয়া মাসুরা পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। কোন অসুবিধে হবে না।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন