و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

وعليكم السلام و رحمة الله ،
জাদু কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত, আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সূরা বাকারা 102 নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করেন-
وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ
‘সুলাইমান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ [সুরা বাকারা, ২ : ১০২]
উক্ত আয়াতের মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে, বাহ্যিকভাবে হলেও জাদু মানুষের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে। সাথে সাথে এটাও প্রমাণিত হয় যে- জাদু করা কুফরি অর্থাৎ ঈমান ভঙ্গের কারণ। তাই যে ব্যক্তি জাদু করবে বা যাদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে মুরতাদ হিসাবে গণ্য হবে। তবে হা! জাদুকারী ব্যক্তি যদি- ‘সামনে আর কখনো জাদু করবে না’এরূপ সংকল্প করে পূর্বের কৃত গুনাহ ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর কাছে খালেস দিলে, একনিষ্ঠভাবে তওবা করে, তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ তায়ালা তাঁর তওবা কবুল করবেন এবং তাকে মাফ করে দেবেন। তবে জাদুর মাধ্যমে সে যদি পূর্বে কোন বান্দার হক নষ্ট করে থাকে তা ওই বান্দর থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। কেননা বান্দার হক বান্দা ক্ষমা করার আগ পর্যন্ত আল্লাহ ক্ষমা করবেন না!

والله اعلم بالصواب