و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

যেকোনো আমল শুরু করার পর তা ভেঙ্গে ফেলা-নষ্ট করে ফেলা উচিত নয়। কুরআনুল কারিমে কোনো আমল শুরু করার পর সেটা নষ্ট না করার ব্যাপারে নির্দেশনা এসেছে। কাজেই প্রয়োজন না হলে নফল রোজা ভাঙ্গা উচিত নয়। গুনাহ হবে না। অনেকে ব্যাপকহারে বলে থাকেন যে, মেহমানের খাতিরে নফল রোজা ভাঙ্গা যায়! কিন্তু উক্ত বক্তব্য এতো ব্যাপকভাব প্রযোজ্য নয়। বরং যদি রোজা অবস্থায় মেহমানের অগমন ঘটে এবং মেহমানের সাথে মেজবান (গৃহকর্তা) খাবারে শরীক না হয় তাহলে মেহমান মনোকষ্ট পাবে, অথবা অসন্তুষ্ট হবেন সেক্ষেত্রে মেহমানের দ্বীলজুয়ী (মনোরঞ্জন)-র উদ্দেশ্যে ভাঙ্গার অবকাশ আছে। তবে যেই অবস্থায়ই হোক সেই রোজা পরবর্তীতে কাজা করতে হবে। তবে তার কোনো কাফফারা দিতে হবে না।


وَعَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ صَائِمَتَيْنِ فَعَرَضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلَنَا مِنْهُ فَقَالَتْ حَفْصَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلَنَا مِنْهُ. قَالَ: «اقْضِيَا يَوْمًا آخَرَ مَكَانَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَذَكَرَ جَمَاعَةً مِنَ الْحُفَّاظِ رَوَوْا عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَائِشَةَ مُرْسَلًا وَلَمْ يذكرُوا فِيهِ عَن عُرْوَة وَهَذَا أصح . وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ زُمَيْلٍ مَوْلَى عُرْوَةَ عَن عُرْوَة عَن عَائِشَة
২০৮০। যুহরী উরওয়া হইতে, উরওয়া বিবি আয়েশা হইতে বর্ণনা করেন যে, হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন, একদিন আমি ও বিবি হাফসা রোযা রাখিয়াছিলাম এ অবস্থায় আমাদের নিকট কিছু খানা উপস্থিত করা হইল যাহা আমরা পছন্দ করি, সুতরাং আমরা উহা খাইলাম। অতঃপর হাফসা জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা রোযা ছিলাম এ অবস্থায় আমাদের নিকট কিছু খানা উপস্থিত করা হইল, যাহা আমরা পছন্দ করি! অতএব, আমরা খাইয়াছি। হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ উহার স্থলে অপর একদিন রোযা রাখিয়া দিও! —তিরমিযী
মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস নং: ২০৮০

হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
কোরআনে রহিয়াছে لَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ "তোমরা তোমাদের আমলকে নষ্ট করিও না!” অতএব, ইমাম আ'যম আবু হানীফা (রঃ) বলেন, নামায ও রোযা প্রভৃতি কোন নফল কাজ শুরু করা হইলে উহা বহাল রাখা উচিত যদি না কোন সঙ্গত ওযর দেখা দেয়। ওযরে, ভাঙ্গা হইলে পরে উহা কাযা করা আবশ্যক। এ হাদীসেও ইহাই রহিয়াছে। ইহাকে মুনকাতা বলিলেও অপর একটি মুত্তাসিল হাদীসে রহিয়াছে, আয়েশা বিনতে তালহা বলেন, হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার নিকট উপস্থিত হইলেন। আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা আপনার জন্য 'হায়স' রাখিয়াছি। হুযূর বলিলেন, আমি তো রোযার নিয়ত করিয়াছি। আচ্ছা, আন দেখি। পরে ইহার স্থলে আরেক দিন রাখিব। (তা'লীক শরহে মাসাবীহ) এছাড়া তিরমিযীর হাদীসটিকে ইবনে হাব্বান তাহার সহীহতে ইবনে আবি শায়বা তাহার মুসান্নাফে ও তাবরানী তাঁহার মু’জামে অপর সূত্রেও বর্ণনা করিয়াছেন। —মিরকাত

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 428):
"(ولايفطر) الشارع في نفل (بلا عذر في رواية) وهي الصحيحة، وفي أخرى: يحل بشرط أن يكون من نيته القضاء، واختارها الكمال وتاج الشريعة وصدرها في الوقاية وشرحها. (قوله: وهي الصحيحة) وهي ظاهر الرواية كما في المنح وغيرها؛ فلايحسن أن يعبر عنها برواية بالتنكير لإشعاره بجهالتها، وكان حق العبارة أن يقول: إلا في رواية فيقرر ظاهر الرواية، ثم يحكي غيره بلفظ التنكير كما يفيده قول الكنز: وللمتطوع الفطر بغير عذر في رواية، فأفاد أن ظاهر الرواية غيرها، رحمتي". فقط و الله أعلم
فتوی نمبر : 144109201633 دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

والله اعلم بالصواب