আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮৩৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগে (গত বছর / কয়েক বছর আগে ধর্মবিরোধী কথা বলে বিতর্কিত হয়ে এমন একজন শিক্ষকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের) একটি অনলাইন কোর্সে ভর্তি হয়েছি। আমি ভেবেছিলাম যে, এমন ধারণা শুধু ওই শিক্ষকের। তাই আমি ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আজকে প্রথম ক্লাস করার সময় তাদের চরম ইসলামবিরোধী মানসিকতার কিছুটা পরিচয় পেলাম। বোঝাই যাচ্ছে, তাদের ট্রেইনিং দেওয়ার সময় আলাদা কিছু বলা হয়েছে খুব সম্ভবত। যেহেতু, সমাজ পরানো হচ্ছিল, তাই রাজনীতি নিয়েও কথা বল্লেন শিক্ষক। তিনি বল্লেন,বর্তমান কাবুল সরকার সন্ত্রাসী এবং রাজনীতিতে ধর্ম নিয়ে আসা উচিৎ নয়। কিন্তু আমি জানি যে, আল্লাহ রাষ্ট্রপ্রধানদের ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে বলেছেন। আমার প্রশ্ন হলো, আমার কি এই প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা নেওয়া উচিৎ হবে? গুনাহ হবে কি যদি আমি যেকোনো সুবিধা নিই?

৩০ আগস্ট, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,
পৃথিবীতে যে যার সাথে চলাফেরা করে, এই চলাফেরা ওঠা-বসার কারণে তার চিন্তা-চেতনা আস্তে আস্তে ওই ব্যক্তির মধ্যে বিস্তার লাভ করতে শুরু করে, তাকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। সুতরাং ধর্মবিদ্বেষী ওই শিক্ষকের কোচিং করতে গেলে যেহেতু ক্লাসে আপনাকে তার সমস্ত কথাগুলো শুনতে হবে, সেহেতু তার কথাগুলো শুনতে শুনতে আপনার মধ্যে তার প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে, সেই মিথ্যার অন্ধকার আপনাকেও একসময় আচ্ছাদিত করতে পারে। আর এসব লোকেরা ধর্ম বিরোধী কথা-বার্তার ক্ষেত্রে অনেক বাকপটু হয়ে থাকে। কিভাবে ধর্মের নামে মিথ্যা কথা বলে মানুষের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টি করা যায়, মানুষের মধ্যে ধর্ম সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করা যায়, এ সম্পর্কে তারা খুব ভাল করেই গবেষণা করে থাকে। মানুষের উভয় জাহানের কল্যাণ কামিতার চিন্তা এদের ভেতর না থাকলেও ধর্মীয় বিদ্বেষ রয়েছে পুরোপুরিভাবে ।
এদের সাথে অবস্থান করলে এদের বিকৃত মস্তিষ্কের দুর্গন্ধযুক্ত চিন্তা-চেতনা আপনার মনকে আচ্ছাদিত করতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনি তার ক্লাস পরিত্যাগ করুন, তাদের প্রতিষ্ঠানের সমস্ত সুবিধাকে আবর্জনার স্তুপে নিক্ষেপ করে ওইসব পচা মস্তিষ্ক সম্পন্ন লোকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করুন, তাদের থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আল্লাহ চাহে তো আপনাকে আরো ভালো সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। তবে হা, তাদের জন্য আল্লাহ তা’আলার কাছে দোয়া করতে হবে, আল্লাহ তা’য়ালা যেন তাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন, এবং সুযোগ বুঝে তাদের কাছে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত পৌঁছাতে হবে এবং তাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাকে-আপনাকে, সবাইকে সঠিক দ্বীন বুঝার এবং তার উপর আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন