আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৭৮০৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রোগ থেকে আরোগ্যের জন্য সূরা ফাতিহা ৪১ বার পড়ে পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে সেই পানি পান করানোর মাসায়ালা টি কোন হাদীস গ্রন্থে আছে জানতে চাই। এটা কি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?রুকিইয়্যা করার সঠিক নিয়ম কী?,

৪ আগস্ট, ২০২১

Joydevpur - Tangail Hwy

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


اَلسَّلاَمْ عَلَيْــــــــــــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ



রোগ থেকে আরোগ্যের জন্য সূরা ফাতিহা ৪১ বার পড়ে পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে সেই পানি পান করানোর আমলটি আমরা হাদীসের নির্ভরযোগ্য কোনো কিতাবে পাইনি। এটি আরব-অনারব সকলের মাঝেই প্রসিদ্ধ। কিন্তু এর দালীলীক কোনো ভিত্তি নেই। এটি হাদীস নয়।

এ কথাটি কিছু কিতাবে হযরত জাফর সাদেক রহঃ দিকে নিসবত করা হয়েছে,
সেখানে বলা হয়েছে, হজরত ইমাম জাফর সাদেক রা: বলেছেন, ‘৪১ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে খাওয়ালে অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যাবে’। (তাওয়ারিখে মদিনা)।

এখন হতে পারে তিনি বলে থাকতে পারেন তবে আমরা তার পর্যন্ত কোন নির্ভরযোগ্য সনদে কথাটি পাইনি। তাই তিনি বলেছেন এ মর্মে আমরা নিশ্চিত নই।

এখন প্রশ্ন হলো,এটা অনুযায়ী আমল করা যাবে কিনা ?
এক্ষেত্রে কথা হলো, সুরা ফাতিহার অসংখ্য ফযীলতের অন্যতম হলো এটি সুরাতুশ শিফা তথা আরোগ্য লাভের শরীয়তসিদ্ধ মাধ্যম।
হাদীসে এসেছে, সূরাহ ফাতিহা রোগের থেকে শিফা বা আরোগ্যের মাধ্যম। (বুখারী)

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ انْطَلَقَ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفْرَةٍ سَافَرُوهَا حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حَىٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ، فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمْ، فَلُدِغَ سَيِّدُ ذَلِكَ الْحَىِّ، فَسَعَوْا لَهُ بِكُلِّ شَىْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ شَىْءٌ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ أَتَيْتُمْ هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ نَزَلُوا لَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ بَعْضِهِمْ شَىْءٌ، فَأَتَوْهُمْ، فَقَالُوا يَا أَيُّهَا الرَّهْطُ، إِنَّ سَيِّدَنَا لُدِغَ، وَسَعَيْنَا لَهُ بِكُلِّ شَىْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ، فَهَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مِنْ شَىْءٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ نَعَمْ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْقِي، وَلَكِنْ وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَضَفْنَاكُمْ فَلَمْ تُضِيِّفُونَا، فَمَا أَنَا بِرَاقٍ لَكُمْ حَتَّى تَجْعَلُوا لَنَا جُعْلاً‏.‏ فَصَالَحُوهُمْ عَلَى قَطِيعٍ مِنَ الْغَنَمِ، فَانْطَلَقَ يَتْفِلُ عَلَيْهِ وَيَقْرَأُ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏)‏ فَكَأَنَّمَا نُشِطَ مِنْ عِقَالٍ، فَانْطَلَقَ يَمْشِي وَمَا بِهِ قَلَبَةٌ، قَالَ فَأَوْفَوْهُمْ جُعْلَهُمُ الَّذِي صَالَحُوهُمْ عَلَيْهِ، فَقَالَ بَعْضُهُمُ اقْسِمُوا‏.‏ فَقَالَ الَّذِي رَقَى لاَ تَفْعَلُوا، حَتَّى نَأْتِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَنَذْكُرَ لَهُ الَّذِي كَانَ، فَنَنْظُرَ مَا يَأْمُرُنَا‏.‏ فَقَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا لَهُ، فَقَالَ ‏"‏ وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ـ ثُمَّ قَالَ ـ قَدْ أَصَبْتُمُ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ سَهْمًا ‏"‏‏.‏ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏ وَقَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ سَمِعْتُ أَبَا الْمُتَوَكِّلِ بِهَذَا‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তারা এক আরব গোত্রে পৌঁছে তাদের মেহমান হতে চাইলেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। সে গোত্রের সরদার বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হল। লোকেরা তার (আরোগ্যের) জন্য সব ধরনের চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হল না। তখন তাদের কেউ বলল, এ কাফেলা যারা এখানে অবতরন করেছে তাদের কাছে তোমরা গেলে ভাল হত। সম্ভবত, তাদের কারো কাছে কিছু থাকতে পারে। ওরা তাদের নিকট গেল এবং বলল, হে যাত্রীদল। আমাদের সরদারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারো কাছে কিছু আছে কি? তাদের (সাহাবীদের) একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম আমি ঝাড়-ফুঁক করতে পারি। আমরা তোমাদের মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের জন্য মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়-ফুঁক করবো না, যে পর্যন্ত না তোমরা আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ কর। তখন তারা এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল।

তারপর তিনি গিয়ে আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন (সূরা ফাতিহা) পড়ে তার উপর ফুঁ দিতে লাগলেন। ফলে সে (এমন ভাবে নিরাময় হল) যেন বন্ধন থেকে মুক্ত হল এবং সে এমনভাবে চলতে ফিরতে লাগল যেন তার কোন কষ্টই ছিল না। (বর্ণনাকারী বলেন) তারপর তারা তাদের স্বীকৃত পারিশ্রমিক পুরোপুরি দিয়ে দিল। সাহাবীদের কেউ কেউ বলেন, এগুলো বণ্টন কর। কিন্তু যিনি ঝাড়- ফুঁক করেছিলেন, তিনি বললেন এটা করবো না, যে পর্যন্ত না আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে তাঁকে এই ঘটনা জানাই এবং লক্ষ্য করি তিনি আমাদের কি হুকুম দেন। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তুমি কিভাবে জানলে যে, সূরা ফাতিহা একটি দূয়া? তারপর বলেন, তোমরা ঠিকই করেছ। বণ্টন কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটা অংশ রাখ। এ বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসলেন। (বুখারী হাঃ ২২৭৬)

তাই আপনি কোন নির্দিষ্ট সংখ্যার পিছনে না পড়ে এটি
সুরাতুশ শিফা হিসেবে এর আমল করুন...
সেক্ষেত্রে ১০,২০,৪১ বার পড়ুন তাতে কোনই অসুবিধা নেই। কেননা আপনার সামনে নির্দিষ্ট সংখ্যার আমল থাকবে না, থাকবে কেবল সুরার সহীহ ফযীলত তথা সূরা ফাতিহা হলো সুরাতুশ শিফা।

উল্লেখ্য, সূরা ফাতিহাকে সূরাতুল হামদ, উম্মুল কুরআন, আসসাবউল মাছানি, ওয়াকিয়াহ, সূরাতুল কাফিয়্যাহ, সূরাতুল কানয, সূরাতুশ শিফা ও সূরাতুল আসাস নামেও অভিহিত করা হয়।

সুত্রঃ

الفاتحة متضمنة لشفاء جميع الأمراض، قال ابن القيم في مدارج السالكين في بَيَانِ اشْتِمَالِ الْفَاتِحَةِ عَلَى الْشِفَاءَيْنِ شِفَاءِ الْقُلُوبِ وَشِفَاءِ الْأَبْدَانِ:

(كَثِيرًا مَا كُنْتُ أَسْمَعُ شَيْخَ الْإِسْلَامِ ابْنَ تَيْمِيَّةَ -قَدَّسَ اللَّهُ رُوحَهُ- يَقُولُ: {إِيَّاكَ نَعْبُدُ}، تَدْفَعُ الرِّيَاءَ {وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ}، تَدْفَعُ الْكِبْرِيَاء، فَإِذَا عُوفِيَ مِنْ مَرَضِ الرِّيَاءِ بِ {إِيَّاكَ نَعْبُدُ} وَمِنْ مَرَضِ الْكِبْرِيَاءِ وَالْعُجْبِ بِ {إِيَّاكَ نَسْتَعِينُ}، وَمِنْ مَرَضِ الضَّلَالِ وَالْجَهْلِ بِ {اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ} عُوفِيَ مِنْ أَمْرَاضِهِ وَأَسْقَامِهِ، وَرَفَلَ فِي أَثْوَابِ الْعَافِيَةِ، وَتَمَّتْ عَلَيْهِ النِّعْمَةُ، وَكَانَ مِنَ الْمُنْعَمِ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَهُمْ أَهْلُ فَسَادِ الْقَصْدِ، الَّذِينَ عَرَفُوا الْحَقَّ وَعَدَلُوا عَنْهُ، وَالضَّالِّينَ وَهُمْ أَهْلُ فَسَادِ الْعِلْمِ، الَّذِينَ جَهِلُوا الْحَقَّ وَلَمْ يَعْرِفُوهُ، وَحُقَّ لِسُورَةٍ تَشْتَمِلُ عَلَى هَذَيْنِ الْشِفَاءَيْنِ، أَنْ يُسْتَشْفَى بِهَا مِنْ كُلِّ مَرَضٍ، وَلِهَذَا لَمَّا اشْتَمَلَتْ عَلَى هَذَا الشِّفَاءِ الَّذِي هُوَ أَعْظَمُ الْشِفَاءَيْنِ، كَانَ حُصُولُ الشِّفَاءِ الْأَدْنَى بِهَا أَوْلَى، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ، فَلَا شَيْءَ أَشَفَى لِلْقُلُوبِ الَّتِي عَقَلَتْ عَنِ اللَّهِ وَكَلَامِهِ، وَفَهِمَتْ عَنْهُ فَهْمًا خَاصًّا، اخْتَصَّهَا بِهِ مِنْ مَعْنَى هَذِهِ السُّورَةِ).

ثم قال: ﻭﺃﻣﺎ ﺗﻀﻤﻨﻬﺎ ﻟﺸﻔﺎء اﻷﺑﺪاﻥ ﻓﻨﺬﻛﺮ ﻣﻨﻪ ﻣﺎ ﺟﺎءﺕ ﺑﻪ اﻟﺴﻨﺔ، ﻭﻣﺎ ﺷﻬﺪﺕ ﺑﻪ ﻗﻮاﻋﺪ اﻟﻄﺐ، ﻭﺩﻟﺖ ﻋﻠﻴﻪ اﻟﺘﺠﺮﺑﺔ.

ﻓﺄﻣﺎ ﻣﺎ ﺩﻟﺖ ﻋﻠﻴﻪ اﻟﺴﻨﺔ: ﻓﻔﻲ اﻟﺼﺤﻴﺢ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﺃﺑﻲ اﻟﻤﺘﻮﻛﻞ اﻟﻨﺎﺟﻲ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ اﻟﺨﺪﺭﻱ: «ﺃﻥ ﻧﺎﺳﺎ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ اﻟﻨﺒﻲ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﻣﺮﻭا ﺑﺤﻲ ﻣﻦ اﻟﻌﺮﺏ، ﻓﻠﻢ ﻳﻘﺮﻭﻫﻢ، ﻭﻟﻢ ﻳﻀﻴﻔﻮﻫﻢ، ﻓﻠﺪﻍ ﺳﻴﺪ اﻟﺤﻲ، ﻓﺄﺗﻮﻫﻢ، ﻓﻘﺎﻟﻮا: ﻫﻞ ﻋﻨﺪﻛﻢ ﻣﻦ ﺭﻗﻴﺔ، ﺃﻭ ﻫﻞ ﻓﻴﻜﻢ ﻣﻦ ﺭاﻕ؟ ﻓﻘﺎﻟﻮا: ﻧﻌﻢ، ﻭﻟﻜﻨﻜﻢ ﻟﻢ ﺗﻘﺮﻭﻧﺎ، ﻓﻼ ﻧﻔﻌﻞ ﺣﺘﻰ ﺗﺠﻌﻠﻮا ﻟﻨﺎ ﺟﻌﻼ، ﻓﺠﻌﻠﻮا ﻟﻬﻢ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﻗﻄﻴﻌﺎ ﻣﻦ اﻟﻐﻨﻢ، ﻓﺠﻌﻞ ﺭﺟﻞ ﻣﻨﺎ ﻳﻘﺮﺃ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﻔﺎﺗﺤﺔ اﻟﻜﺘﺎﺏ، ﻓﻘﺎﻡ ﻛﺄﻥ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺑﻪ ﻗﻠﺒﺔ، ﻓﻘﻠﻨﺎ: ﻻ ﺗﻌﺠﻠﻮا ﺣﺘﻰ ﻧﺄﺗﻲ اﻟﻨﺒﻲ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ-، ﻓﺄﺗﻴﻨﺎﻩ، ﻓﺬﻛﺮﻧﺎ ﻟﻪ ﺫﻟﻚ، ﻓﻘﺎﻝ: ﻣﺎ ﻳﺪﺭﻳﻚ ﺃﻧﻬﺎ ﺭﻗﻴﺔ؟ ﻛﻠﻮا، ﻭاﺿﺮﺑﻮا ﻟﻲ ﻣﻌﻜﻢ ﺑﺴﻬﻢ»، ﻓﻘﺪ ﺗﻀﻤﻦ ﻫﺬا اﻟﺤﺪﻳﺚ ﺣﺼﻮﻝ ﺷﻔﺎء ﻫﺬا اﻟﻠﺪﻳﻎ ﺑﻘﺮاءﺓ اﻟﻔﺎﺗﺤﺔ ﻋﻠﻴﻪ، ﻓﺄﻏﻨﺘﻪ ﻋﻦ اﻟﺪﻭاء، ﻭﺭﺑﻤﺎ ﺑﻠﻐﺖ ﻣﻦ ﺷﻔﺎﺋﻪ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﺒﻠﻐﻪ اﻟﺪﻭاء، ﻫﺬا ﻣﻊ ﻛﻮﻥ اﻟﻤﺤﻞ ﻏﻴﺮ ﻗﺎﺑﻞ، ﺇﻣﺎ ﻟﻜﻮﻥ ﻫﺆﻻء اﻟﺤﻲ ﻏﻴﺮ ﻣﺴﻠﻤﻴﻦ، ﺃﻭ ﺃﻫﻞ ﺑﺨﻞ ﻭﻟﺆﻡ، ﻓﻜﻴﻒ ﺇﺫا ﻛﺎﻥ اﻟﻤﺤﻞ ﻗﺎﺑﻼ.

ﻓﺼﻞ: ﻭﺃﻣﺎ ﺷﻬﺎﺩﺓ ﻗﻮاﻋﺪ اﻟﻄﺐ ﺑﺬﻟﻚ ﻓأﻋﻠﻢ ﺃﻥ اﻟﻠﺪﻏﺔ ﺗﻜﻮﻥ ﻣﻦ ﺫﻭاﺕ اﻟﺤﻤﺎﺕ ﻭاﻟﺴﻤﻮﻡ، ﻭﻫﻲ ﺫﻭاﺕ اﻷﻧﻔﺲ اﻟﺨﺒﻴﺜﺔ اﻟﺘﻲ ﺗﺘﻜﻴﻒ ﺑﻜﻴﻔﻴﺔ ﻏﻀﺒﻴﺔ، ﺗﺜﻴﺮ ﻓﻴﻬﺎ ﺳﻤﻴﺔ ﻧﺎﺭﻳﺔ، ﻳﺤﺼﻞ ﺑﻬﺎ اﻟﻠﺪﻍ، ﻭﻫﻲ ﻣﺘﻔﺎﻭﺗﺔ ﺑﺤﺴﺐ ﺗﻔﺎﻭﺕ ﺧﺒﺚ ﺗﻠﻚ اﻟﻨﻔﻮﺱ ﻭﻗﻮﺗﻬﺎ ﻭﻛﻴﻔﻴﺘﻬﺎ، ﻓﺈﺫا ﺗﻜﻴﻔﺖ ﺃﻧﻔﺴﻬﺎ اﻟﺨﺒﻴﺜﺔ ﺑﺘﻠﻚ اﻟﻜﻴﻔﻴﺔ اﻟﻐﻀﺒﻴﺔ ﺃﺣﺪﺙ ﻟﻬﺎ ﺫﻟﻚ ﻃﺒﻴﻌﺔ ﺳﻤﻴﺔ، ﺗﺠﺪ ﺭاﺣﺔ ﻭﻟﺬﺓ ﻓﻲ ﺇﻟﻘﺎﺋﻬﺎ ﺇﻟﻰ اﻟﻤﺤﻞ اﻟﻘﺎﺑﻞ، ﻛﻤﺎ ﻳﺠﺪ اﻟﺸﺮﻳﺮ ﻣﻦ اﻟﻨﺎﺱ ﺭاﺣﺔ ﻭﻟﺬﺓ ﻓﻲ ﺇﻳﺼﺎﻝ ﺷﺮﻩ ﺇﻟﻰ ﻣﻦ ﻳﻮﺻﻠﻪ ﺇﻟﻴﻪ، ﻭﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ اﻟﻨﺎﺱ ﻻ ﻳﻬﻨﺄ ﻟﻪ ﻋﻴﺶ ﻓﻲ ﻳﻮﻡ ﻻ ﻳﺆﺫﻱ ﻓﻴﻪ ﺃﺣﺪا ﻣﻦ ﺑﻨﻲ ﺟﻨﺴﻪ، ﻭﻳﺠﺪ ﻓﻲ ﻧﻔﺴﻪ ﺗﺄﺫﻳﺎ ﺑﺤﻤﻞ ﺗﻠﻚ اﻟﺴﻤﻴﺔ ﻭاﻟﺸﺮ اﻟﺬﻱ ﻓﻴﻪ، ﺣﺘﻰ ﻳﻔﺮﻏﻪ ﻓﻲ ﻏﻴﺮﻩ، ﻓﻴﺒﺮﺩ ﻋﻨﺪ ﺫﻟﻚ ﺃﻧﻴﻨﻪ، ﻭﺗﺴﻜﻦ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻳﺼﻴﺒﻪ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻧﻈﻴﺮ ﻣﺎ ﻳﺼﻴﺐ ﻣﻦ اﺷﺘﺪﺕ ﺷﻬﻮﺗﻪ ﺇﻟﻰ اﻟﺠﻤﺎﻉ، ﻓﻴﺴﻮء ﺧﻠﻘﻪ، ﻭﺗﺜﻘﻞ ﻧﻔﺴﻪ ﺣﺘﻰ ﻳﻘﻀﻲ ﻭﻃﺮﻩ، ﻫﺬا ﻓﻲ ﻗﻮﺓ اﻟﺸﻬﻮﺓ، ﻭﺫاﻙ ﻓﻲ ﻗﻮﺓ اﻟﻐﻀﺐ.

ﻭﻗﺪ ﺃﻗﺎﻡ اﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﺤﻜﻤﺘﻪ اﻟﺴﻠﻄﺎﻥ ﻭاﺯﻋﺎ ﻟﻬﺬﻩ اﻟﻨﻔﻮﺱ اﻟﻐﻀﺒﻴﺔ، ﻓﻠﻮﻻ ﻫﻮ ﻟﻔﺴﺪﺕ اﻷﺭﺽ ﻭﺧﺮﺑﺖ، قال تعالى: {ﻭﻟﻮﻻ ﺩﻓﻊ اﻟﻠﻪ اﻟﻨﺎﺱ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺑﺒﻌﺾ ﻟﻔﺴﺪﺕ اﻷﺭﺽ ﻭﻟﻜﻦ اﻟﻠﻪ ﺫﻭ ﻓﻀﻞ ﻋﻠﻰ اﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ}، ﻭﺃﺑﺎﺡ اﻟﻠﻪ ﺑﻠﻄﻔﻪ ﻭﺭﺣﻤﺘﻪ ﻟﻬﺬﻩ اﻟﻨﻔﻮﺱ ﻣﻦ اﻷﺯﻭاﺝ ﻭﻣﻠﻚ اﻟﻴﻤﻴﻦ ﻣﺎ ﻳﻜﺴﺮ ﺣﺪﺗﻬﺎ، ﻭاﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﺃﻥ ﻫﺬﻩ اﻟﻨﻔﻮﺱ اﻟﻐﻀﺒﻴﺔ ﺇﺫا اﺗﺼﻠﺖ ﺑﺎﻟﻤﺤﻞ اﻟﻘﺎﺑﻞ ﺃﺛﺮﺕ ﻓﻴﻪ، ﻭﻣﻨﻬﺎ ﻣﺎ ﻳﺆﺛﺮ ﻓﻲ اﻟﻤﺤﻞ ﺑﻤﺠﺮﺩ ﻣﻘﺎﺑﻠﺘﻪ ﻟﻪ، ﻭﺇﻥ ﻟﻢ ﻳﻤﺴﻪ، ﻓﻤﻨﻬﺎ ﻣﺎ ﻳﻄﻤﺲ اﻟﺒﺼﺮ، ﻭﻳﺴﻘﻂ اﻟﺤﺒﻞ.

ﻭﻣﻦ ﻫﺬا ﻧﻈﺮ اﻟﻌﺎﺋﻦ، ﻓﺈﻧﻪ ﺇﺫا ﻭﻗﻊ ﺑﺼﺮﻩ ﻋﻠﻰ اﻟﻤﻌﻴﻦ ﺣﺪﺛﺖ ﻓﻲ ﻧﻔﺴﻪ ﻛﻴﻔﻴﺔ ﺳﻤﻴﺔ ﺃﺛﺮﺕ ﻓﻲ اﻟﻤﻌﻴﻦ ﺑﺤﺴﺐ ﻋﺪﻡ اﺳﺘﻌﺪاﺩﻩ، ﻭﻛﻮﻧﻪ ﺃﻋﺰﻝ ﻣﻦ اﻟﺴﻼﺡ، ﻭﺑﺤﺴﺐ ﻗﻮﺓ ﺗﻠﻚ اﻟﻨﻔﺲ، ﻭﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﻫﺬﻩ اﻟﻨﻔﻮﺱ ﻳﺆﺛﺮ ﻓﻲ اﻟﻤﻌﻴﻦ ﺇﺫا ﻭﺻﻒ ﻟﻪ، ﻓﺘﺘﻜﻴﻒ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﺗﻘﺎﺑﻠﻪ ﻋﻠﻰ اﻟﺒﻌﺪ ﻓﻴﺘﺄﺛﺮ ﺑﻪ، ﻭﻣﻨﻜﺮ ﻫﺬا ﻟﻴﺲ ﻣﻌﺪﻭﺩا ﻣﻦ ﺑﻨﻲ ﺁﺩﻡ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﺼﻮﺭﺓ ﻭاﻟﺸﻜﻞ، ﻓﺈﺫا ﻗﺎﺑﻠﺖ اﻟﻨﻔﺲ اﻟﺰﻛﻴﺔ اﻟﻌﻠﻮﻳﺔ اﻟﺸﺮﻳﻔﺔ اﻟﺘﻲ ﻓﻴﻬﺎ ﻏﻀﺐ ﻭﺣﻤﻴﺔ ﻟﻠﺤﻖ ﻫﺬﻩ اﻟﻨﻔﻮﺱ اﻟﺨﺒﻴﺜﺔ اﻟﺴﻤﻴﺔ، ﻭﺗﻜﻴﻔﺖ ﺑﺤﻘﺎﺋﻖ اﻟﻔﺎﺗﺤﺔ ﻭﺃﺳﺮاﺭﻫﺎ ﻭﻣﻌﺎﻧﻴﻬﺎ، ﻭﻣﺎ ﺗﻀﻤﻨﺘﻪ ﻣﻦ اﻟﺘﻮﺣﻴﺪ ﻭاﻟﺘﻮﻛﻞ، ﻭاﻟﺜﻨﺎء ﻋﻠﻰ اﻟﻠﻪ، ﻭﺫﻛﺮ ﺃﺻﻮﻝ ﺃﺳﻤﺎﺋﻪ اﻟﺤﺴﻨﻰ، ﻭﺫﻛﺮ اﺳﻤﻪ اﻟﺬﻱ ﻣﺎ ﺫﻛﺮ ﻋﻠﻰ ﺷﺮ ﺇﻻ ﺃﺯاﻟﻪ ﻭﻣﺤﻘﻪ، ﻭﻻ ﻋﻠﻰ ﺧﻴﺮ ﺇﻻ ﻧﻤﺎﻩ ﻭﺯاﺩﻩ، ﺩﻓﻌﺖ ﻫﺬﻩ اﻟﻨﻔﺲ ﺑﻤﺎ ﺗﻜﻴﻔﺖ ﺑﻪ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﺃﺛﺮ ﺗﻠﻚ اﻟﻨﻔﺲ اﻟﺨﺒﻴﺜﺔ اﻟﺸﻴﻄﺎﻧﻴﺔ، ﻓﺤﺼﻞ اﻟﺒﺮء، ﻓﺈﻥ ﻣﺒﻨﻰ اﻟﺸﻔﺎء ﻭاﻟﺒﺮء ﻋﻠﻰ ﺩﻓﻊ اﻟﻀﺪ ﺑﻀﺪﻩ، ﻭﺣﻔﻆ اﻟﺸﻲء ﺑﻤﺜﻠﻪ، ﻓﺎﻟﺼﺤﺔ ﺗﺤﻔﻆ ﺑﺎﻟﻤﺜﻞ، ﻭاﻟﻤﺮﺽ ﻳﺪﻓﻊ ﺑﺎﻟﻀﺪ، ﺃﺳﺒﺎﺏ ﺭﺑﻄﻬﺎ ﺑﻤﺴﺒﺒﺎﺗﻬﺎ اﻟﺤﻜﻴﻢ اﻟﻌﻠﻴﻢ ﺧﻠﻘﺎ ﻭﺃﻣﺮا، ﻭﻻ ﻳﺘﻢ ﻫﺬا ﺇﻻ ﺑﻘﻮﺓ ﻣﻦ اﻟﻨﻔﺲ اﻟﻔﺎﻋﻠﺔ، ﻭﻗﺒﻮﻝ ﻣﻦ اﻟﻄﺒﻴﻌﺔ اﻟﻤﻨﻔﻌﻠﺔ، ﻓﻠﻮ ﻟﻢ ﺗﻨﻔﻌﻞ ﻧﻔﺲ اﻟﻤﻠﺪﻭﻍ ﻟﻘﺒﻮﻝ اﻟﺮﻗﻴﺔ، ﻭﻟﻢ ﺗﻘﻮ ﻧﻔﺲ اﻟﺮاﻗﻲ ﻋﻠﻰ اﻟﺘﺄﺛﻴﺮ، ﻟﻢ ﻳﺤﺼﻞ اﻟﺒﺮء.

ﻓﻬﻨﺎ ﺃﻣﻮﺭ ﺛﻼﺛﺔ: ﻣﻮاﻓﻘﺔ اﻟﺪﻭاء ﻟﻠﺪاء، ﻭﺑﺬﻝ اﻟﻄﺒﻴﺐ ﻟﻪ، ﻭﻗﺒﻮﻝ ﻃﺒﻴﻌﺔ اﻟﻌﻠﻴﻞ، ﻓﻤﺘﻰ ﺗﺨﻠﻒ ﻭاﺣﺪ ﻣﻨﻬﺎ ﻟﻢ ﻳﺤﺼﻞ اﻟﺸﻔﺎء، ﻭﺇﺫا اﺟﺘﻤﻌﺖ ﺣﺼﻞ اﻟﺸﻔﺎء ﻭﻻ ﺑﺪ ﺑﺈﺫﻥ اﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ.

ﻭﻣﻦ ﻋﺮﻑ ﻫﺬا ﻛﻤﺎ ﻳﻨﺒﻐﻲ ﺗﺒﻴﻦ ﻟﻪ ﺃﺳﺮاﺭ اﻟﺮﻗﻰ، ﻭﻣﻴﺰ ﺑﻴﻦ اﻟﻨﺎﻓﻊ ﻣﻨﻬﺎ ﻭﻏﻴﺮﻩ، ﻭﺭﻗﻰ اﻟﺪاء ﺑﻤﺎ ﻳﻨﺎﺳﺒﻪ ﻣﻦ اﻟﺮﻗﻰ، ﻭﺗﺒﻴﻦ ﻟﻪ ﺃﻥ اﻟﺮﻗﻴﺔ ﺑﺮاﻗﻴﻬﺎ ﻭﻗﺒﻮﻝ اﻟﻤﺤﻞ، ﻛﻤﺎ ﺃﻥ اﻟﺴﻴﻒ ﺑﻀﺎﺭﺑﻪ ﻣﻊ ﻗﺒﻮﻝ اﻟﻤﺤﻞ ﻟﻠﻘﻄﻊ، ﻭﻫﺬﻩ ﺇﺷﺎﺭﺓ ﻣﻄﻠﻌﺔ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﻭﺭاءﻫﺎ ﻟﻤﻦ ﺩﻕ ﻧﻈﺮﻩ، ﻭﺣﺴﻦ ﺗﺄﻣﻠﻪ، ﻭاﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ.

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৫৯৮৫২

আশহুরে হজে উমরায় গেলে কি হজ ফরজ হয়ে যায়?


৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকা ১২১৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪৬৭৪৮

দাড়ি রাখার বিধান


২৪ নভেম্বর, ২০২৩

Dhaka

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৪৯৪৩০

সফর ও মুসাফিরের নামাজ


২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮৫৬৭১

মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে করনীয় আমাল


২০ জানুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy