কুরবানীর মাংসে সমাজের ভাগ!
প্রশ্নঃ ৭৫৩০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি জানি কুরবানির গোস্তো তিন ভাগ করা উত্তম।কিন্তু আমার প্রশ্ন হলোঃ ৩ ভাগের একভাগ গরীব মিসকিনদের কে দেওয়া। এখন আমাদের গ্রামে সামের গোস্তো বন্টন করে প্রতি টি ঘরে দেওয়া হয়। যা সকল শ্রেণির মানুষ এই গোস্তো খায়।এই গোস্তো গরীব মিসকিন ছাড়া অন্য কেউ খেতে পারবে কি না?সাথে যোগ করছি "যাদের কুরবানি করার সামর্থ্য নেই তারা খেতে পারবে কি না? আসা করি উত্তর দিয়ে ধন্য করবেন।
৫ জুন, ২০২৪
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরবানীর গোশত ইচ্ছে করলে আপনি আপনার পরিবার নিয়ে খেতে পারবেন। আত্মীয়-স্বজন, মেহমান, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদেরকে দিতে পারবেন। গরিব -মিসকিনদের সদাকাহ করতেও পারবেন।
বিষয়টি আপনার জন্য শরীয়তের পক্ষ থেকে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। ওয়াজিব বা বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
সমাজে যে গোশত উঠানো হয়, এখানে একপর্যায়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চক্ষুলজ্জা, সামাজিকতা ইত্যাদি নানা চাপের কারণে কুরবানী দাতারা সেখানে পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি না থাকলেও দিতে বাধ্য থাকে।
এরপর এ গোশত সমাজের সকলকে বন্টন করে দেয়া হয়। এই পদ্ধতি কিছুতেই ঠিক নয়। এটি অবশ্যই সংশোধনযোগ্য।
গোশতগুলো সন্দেহপূর্ণ ভাবে উত্তোলনের পর যখন সবাইকে ভাগ করে দেয়া হলো, এখানে কার অসন্তুষ্টি, কার দীর্ঘ নিশ্বাস মিশে আছে আমাদের জানা নেই।
এতদসত্ত্বে এই গোশত খাওয়া কি করে নিরাপদ হবে?
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
21082 حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْمَكِّيُّ ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ حَسَنٍ الْجَارِيِّ ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ حَارِثَةَ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَثْرِبِيٍّ ، قَالَ : خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : " أَلَا وَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ مِنْ مَالِ أَخِيهِ شَيْءٌ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ ". فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ إِنْ لَقِيتُ غَنَمَ ابْنِ عَمِّي أَجْتَزِرُ مِنْهَا شَاةً، فَقَالَ : " إِنْ لَقِيتَهَا نَعْجَةً تَحْمِلُ شَفْرَةً وَأَزْنَادًا بِخَبْتِ الْجَمِيشِ فَلَا تَهِجْهَا ". قَالَ : يَعْنِي بِخَبْتِ الْجَمِيشِ أَرْضًا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْجَارِ، أَرْضٌ لَيْسَ بِهَا أَنِيسٌ.
হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিয়েছেন তিনি বলেছেন শুনে রেখো, কোন ব্যক্তির জন্য তার ভাইয়ের মাল তার সন্তুষ্টি ব্যতিরেকে হালাল নয়। যঈ
—মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ২১০৮২
والله اعلم بالصواب
ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১