و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সাধারণ মানুষের যে পরিমাণ লোন লাগবে সে পরিমান লোন আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজন থেকে করতে পারবে। অসাধারণ মানুষ হলে লোনের পরিমাণটাও বেশি হতো।

সুদ শরীয়তের দৃষ্টিতে জঘন্যতম অপরাধ। কুরআনুল কারীমের ভাষায় আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সঙ্গে যুদ্ধে শামিল।

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَذَرُوۡا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সুদের বকেয়া যা আছে তা ছেড়ে দাও যদি তোমরা মু’মিন হও।
—আল বাকারা - ২৭৮

فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا فَاۡذَنُوۡا بِحَرۡبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَرَسُوۡلِہٖ ۚ وَاِنۡ تُبۡتُمۡ فَلَکُمۡ رُءُوۡسُ اَمۡوَالِکُمۡ ۚ لَا تَظۡلِمُوۡنَ وَلَا تُظۡلَمُوۡنَ

যদি তোমরা না ছাড় তবে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা অত্যাচার করবে না এবং অত্যাচারিতও হবে না।
—আল বাকারা - ২৭৯

এমন মহা অন্যায়ে লিপ্ত হওয়া কোন মুমিনের জন্য কিছুতেই শোভা পায় না। এই গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করলে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই পথ খুলে দেবেন। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা সেই ওয়াদা করেছেন। কুরআনুল কারীমের সূরা তালাক এর দ্বিতীয় আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ তাআলা বলছেন-

فَاِذَا بَلَغۡنَ اَجَلَہُنَّ فَاَمۡسِکُوۡہُنَّ بِمَعۡرُوۡفٍ اَوۡ فَارِقُوۡہُنَّ بِمَعۡرُوۡفٍ وَّاَشۡہِدُوۡا ذَوَیۡ عَدۡلٍ مِّنۡکُمۡ وَاَقِیۡمُوا الشَّہَادَۃَ لِلّٰہِ ؕ  ذٰلِکُمۡ یُوۡعَظُ بِہٖ مَنۡ کَانَ یُؤۡمِنُ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۬ؕ  وَمَنۡ یَّتَّقِ اللّٰہَ یَجۡعَلۡ لَّہٗ مَخۡرَجًا ۙ

এদের ‘ইদ্দত পূরণের কাল আসন্ন হলে তোমরা হয় যথাবিধি এদেরকে রেখে দিবে, না হয় এদেরকে যথাবিধি পরিত্যাগ করবে এবং তোমাদের মধ্য হতে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে ; আর তোমরা আল্লাহ্ র জন্যে সঠিক সাক্ষ্য দিবে। এটা দিয়ে তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে তাকে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। যে কেউ আল্লাহ্কে ভয় করে আল্লাহ্ তার পথ করে দিবেন,
—আত ত্বালাক - ২

অতএব সুদ থেকে বাঁচার জন্য সুদ মুক্ত লোনের চেষ্টা করলে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই পেয়ে যাবেন।

والله اعلم بالصواب