و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১- নেয়ামুল কুরআন, মুকছিদুল মুমিনীন এ কিতাবদ্বয়ে ওযীফা, বিভিন্ন ফযীলতপূর্ণ আমলের উল্লেখ রয়েছে বটে।
কিন্ত এসবের কিছু আমল বা দোয়ার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স দেয়া নেই কিংবা রেফারেন্স দেয়া থাকলেও সেটি তাহকীককৃত নয় বিধায় পূর্ণ তাহকীকের দাবী রাখে।
এমতাবস্থায় আপনি আল্লামা দিময়াতী রহঃ (৭০৫হি) রচিত আল মাতজারুর রাবীহ যা সওয়াবে আমল নামে বাংলায় অনুদিত হয়েছে সংগ্রহে রাখতে পারেন। এটি এ বিষয়ক নির্ভরযোগ্য কিতাব।
২- বেহেশতী জেওর এটি মাসায়েলের কিতাব। হাকীমুল উম্মাত শাহ আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর ইফাদাতকে সামনে রেখে কিতাবটি রচিত হয়েছে।
খুবই উপকারী নির্ভরযোগ্য একটি কিতাব। এটি অবশ্যই পড়া উচিত।
أما كتابه بهشتي زيورالذي ألّفه أساسًا لتعليم البنات ما يحتجن إليه في الدين والدنيا، وأودعه المسائل الفقهية والأداب الإسلامية وكثيرا من المعلومات العامّة ، فقد نال من القبول والذيوع ما لم ينله كتاب ديني في هذه الديار، وصدرت له طبعات لا تحصى.
৩- দোয়ায়ে গঞ্জিল আরশ,আহাদনামা ইত্যাদির বর্ণনা কুরআন ও হাদীসে নেই। বাকি কিছু শব্দ কুরআন ও হাদীসে রয়েছে। আর কিছু বিষয় যার অর্থ সঠিক।
অতএব,এসব না পড়ে কুরআনে হাদীসে বর্ণিত দুআ ও দরূদ পড়াই নিরাপদ।
৪- বুযুর্গানে দ্বীন যে খতম পড়ে দোয়া করতেন সে খতমকে খতমে খাযেগান বলে। খাযেগান শব্দের অর্থ হলো সাহেবগণ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল মনীষী ও বুযুর্গাণে দ্বীন। সুন্নাত মনে না করে খতমে খাযেগানের আমলও করার অবকাশ রয়েছে। এটি বিদআতের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হয় না। বিদআত হবার জন্য সেটিকে সওয়াবের কাজ মনে করতে হয়। আর উপরোক্ত কাজগুলো সওয়াবের কাজ হিসেবে নয় বরং প্রতিষেধক হিসেবে আমল করা হয়। যেমন ডাক্তার রোগের চিকিৎসা স্বরূপ পথ্য প্রদান করে থাকে। সেই উসিলায় আল্লাহ তাআলা রোগমুক্ত করে থাকেন মর্মে ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত। তা’ই এসব ব্যবহার করা হয় প্রতিষেধক হিসেবে। সওয়াব হিসেবে নয়।
তেমনি খতমে খাজেগান দ্বারা কতিপয় কাংখিত বস্তু অর্জিত হয় মর্মে বুযুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত। তাই কার্যসিদ্ধির আশায় উপরোক্ত আমলগুলো করা হয়ে থাকে। সওয়াবের জন্য নয়। তা’ই উপরোক্ত আমলগুলো রোগমুক্তিসহ অন্যান্য জায়েজ উদ্দেশ্যে করাতে কোন সমস্যা নেই।

والله اعلم بالصواب