আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৬৭২৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালমুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।আমার অনেকগুলি প্রশ্ন যদিও ছিল কিন্তু এখন খালি একটি প্রশ্ন করতে আমি উদৃত। আশাকরি আমার প্রশ্নের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তর মিলবে। কারণ এটি আমার মনে এক অশান্তি সৃষ্টি করেছে।আসলে আমার স্বামী নামাজ বা দ্বীনের ক্ষেত্রে একদমই আগ্রহ পোষণ করেন না। আমি সবসয়ই অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি নামাজ পড়ার কথা। ইসলাম সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করার কথা। একটু সময় বার করে আরবী শেখার কথা। নামাজ বিশিষ্ঠ দুআ বা সূরা গুলো মুখস্ত করার কথা। বললেই বলে করবো। যদিও একদিন নামাজ পরে ফের দুদিন গ্যাপ দায়। আমি মাঝে মাঝে হয়তো প্রশ্ন করি সারাদিন তো বসে ছিলে কতক্ষন সময় ওই গুলো তে দিলে কোনোদিন বলে অল্পক্ষণ কোনোদিন বলে দেওয়া হয়নি। আমি যদি অতিরিক্ত বলি বলবে সবসময় এক কথা ভালো লাগেনা। এই সব বিষয় নিয়ে আরো কিছু কারণে গতপরশু রাত্রে আমাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। আর আমি রাগের মাথায় ওকে বলি কি যে আমি আর ওকে কোনোদিন এইসব বিষয়ে কোনো কথা বলবো না। ওর নামাজ পড়ার হয় পড়বে নয়তো পড়বে না আমি আর বলবো না। বরং এর মধ্যে আমি এই কথাটি নিয়ে আল্লাহর কসম পর্যন্ত দিয়ে ফেলি যে আর কোনো দিন বলবনা। এটি আমার মনে এক চরম অশান্তির সৃষ্টি করেছে যে আমি কসম দিয়ে ফেললাম। ওকে আমি আর কিভাবে এই সব বলবো আর তো বলতে পারবোনা বরং আমি আল্লাহর কাছে গনার ভাগীদার হলাম। এবার আমি কি করবো আল্লাহর কাছে দোয়া ছাড়া ওকে নিয়ে। আমি কিভাবে আমি আল্লাহর কাছে এই বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করব আর ওকে কিছু না বলে কিভাবে দ্বীনের প্রতি উৎসাহী করবো। আজকের মত এটি আমার প্রশ্ন উত্তর তাড়াতাড়ি পেলে উপকৃত হব।অনুরোধ যে আরবী quot না করে উত্তর টা পুরো বাংলায় দেবেন।,

১৯ জুন, ২০২১

West Bengal ৭০০১১৩

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






আপনি আপনার স্বামীকে বলতে থাকুন। বলতে বলতে এক দিন তার মাঝে পরিবর্তন আসবেই আসবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়া আপনার দায়িত্ব তাকে বলে যাওয়া। তার তকদিরে থাকলে সে মানবে। তকদির না থাকলে বঞ্চিত হবে।
আল্লাহ তাআলা তাকে মানার তৌফিক নসীব করুক। দোয়া করি।
আপনি কসম খেয়েছেন এই বিষয়ে পেরেশানি নেই। এই ধরনের অন্যায়ের উপর কসম করলে সেই কসম ভেঙ্গে ফেলা উচিত। কসম ভেঙ্গে কাফফারাহ প্রদান করুন। আর তাকে বলতে থাকুন।
এ নিয়ে মোটেও পেরেশানি করবেন না।

وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاللهِ لأنْ يَلِجَّ أَحَدُكُمْ بِيَمِينِهِ فِي أَهْلِهِ آثَمُ لَهُ عِنْدَ اللهِ مِنْ أَنْ يُعْطِيَ كَفَّارَتَهُ الَّتِي افْتَرَضَ اللهُ عَلَيْهِ

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! তোমাদের মাঝে কেউ আপন পরিজন সম্পর্কে শপথ করে এবং সে এর কাফ্‌ফারা আদায় করার পরিবর্তে- যা আল্লাহ ফরয করেছেন- শপথে অনড় থাকে, তাহলে সে আল্লাহ্‌র নিকট গুনাহ্‌গার হবে।

—সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৬২৫

কসম ভঙ্গের কাফফারাহ হলো :
لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَلٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَاحۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ

আল্লাহ তোমাদেরকে নিরর্থক শপথের জন্য তোমাদের পাকড়াও করবেন না। কিন্তু তোমরা যে শপথ পরিপক্কভাবে করে থাক, সেজন্য তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। সুতরাং তার কাফফারা হল, দশজন মিসকীনকে মধ্যম ধরনের খাবার দেবে, যা তোমরা তোমাদের পরিবারবর্গকে খাইয়ে থাক অথবা তাদেরকে বস্ত্র দান করবে কিংবা একজন গোলাম আযাদ করবে। তবে কারও কাছে যদি (এসব জিনিসের মধ্য হতে কিছুই) না থাকে, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা তোমাদের শপথের কাফফারা যখন তোমরা শপথ করবে (এবং তারপর তা ভেঙ্গে ফেলবে তোমরা নিজেদের শপথকে রক্ষা করো। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের সামনে নিজ আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় কর।
—আল মায়িদাহ - ৮৯

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩২৫৭০

একই বিষয়ে একাধিক কসমের কাফফারার বিধান


৩০ জুন, ২০২৪

বোয়ালখালী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

১৭৫২৩

আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার


৩ জুন, ২০২৪

মাঝিরা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৬২০৬

বোনকে মান্নতের টাকা দেওয়ার বিধান


২৬ জুলাই, ২০২৩

বরিশাল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

১১৩৭৫

গাইরুল্লাহর নামে কসম


২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy