প্রশ্নঃ ৬৫২৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহুপ্রিয় হুজুর, আমি সম্প্রতি ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখেছি।সেখানে দেখানো হয়েছিল,মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) যখন সপ্তম আকাশে উঠলেন তখন তিনি হযরত ইবরাহীম (আ) কে বিশ্রাম নিতে দেখলেন।তিনি যেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সেটি ছিল বায়তুল মা'মুর মসজিদ।সেখানে দিনে একবার মাত্র ৭০,০০০ ফেরেস্তা নামাজ পড়তেন।সেটি কাবা ঘরের একদম উপরে।আর যখন তিনি অষ্টম আকাশে যাচ্ছিলেন তখন তিনি মালিক নামে একজন ফেরেস্তা কে দেখলেন।তার মুখ হাসিতে ছিলনা।তিনি ছিলেন জাহান্নামের পাহারাদার।আপনি একটু এই বায়তুল মা'মুর মসজিদ ও মালিক ফেরেস্তা সম্পর্কে কিছু জানান।আমি আপনাকে সম্পুর্ন ভিডিও লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিচ্ছিhttps://youtu.be/PX3rx_iPABUভালো থাকবেনআসসালামু আলাইকুম তামজিদ বিন মাহমুদ
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা শয়তানকে কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছেন। ক্ষমতা দিয়েছেন। এত সুযোগ ও ক্ষমতা পাওয়া সত্ত্বেও শয়তান আমাদের পেয়ারা নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আকৃতি ধারণ করতে অপারগ।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَمَثَّلُ بِي " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي قَتَادَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَجَابِرٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي بَكْرَةَ وَأَبِي جُحَيْفَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্বপ্নের মধ্যে আমাকে দেখতে পেয়েছে সে আমাকেই দেখতে পেয়েছে। কেননা, শাইতান আমার রূপ (সাদৃশ্য) ধারণ করতে পারে না।
—জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২২৭৬
যারা আমাদের নবীর চরিত্রে অভিনয় করে ভিডিও তৈরি করছে, তারা শয়তানকেও হার মানিয়েছে।
নবীদের নামে ভিডিও তৈরি করা, নবীদের চরিত্রে অভিনয় করা, চূড়ান্ত পর্যায়ের বেয়াদবী ও কুফুরি এবং এক অর্থে নবী দাবি করার নামান্তর। (নাউযুবিল্লাহ)
এজন্য এসব ভিডিও তৈরি করা, ভিডিও বহন করা, দেখা, এগুলো চর্চা করার কোন সুযোগ নেই।
এছাড়া ফেরেশতাদেরকে কে দেখেছে? তাদেরকে কাল্পনিক চিত্রে চিত্রিত করে হয়তো তাদের সম্পর্কে জনমনে ঘৃণা সৃষ্টি করে দিবে। বাস্তব জিনিস থেকে মানুষকে বিচ্যুত করে দিবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বোঝার তৌফিক নসিব করেন। যাবতীয় ফিতনা থেকে হিফাযত করেন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন