আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মাজারের গাছে লাল সুঁতোর বাঁধান

প্রশ্নঃ ৬১৯৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি ২০১৭ সালে সিলেটের শাহজালাল মাজারে একবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাই। সেখানে একটি নিয়ম বা প্রথা চালু আছে যে কোনোকিছু পাওয়ার আশায় গাছে লাল সুতো বাধা৷ আমার বন্ধুদের সেভাবে বাধতে দেখে আমিও কয়েকটি সুতো বাধি বিভিন্ন উদ্দেশ্য বা আকাঙ্ক্ষায়। এখন সমস্যাটি হলো আমি তখন ইসলাম সম্পর্কে এতটা দৃঢ়ভাবে সচেতন ছিলাম না। তবে এতটুকু জ্ঞান আমাদের সবারই স্পষ্টভাবে ছিলো মাজারে শায়িত ব্যক্তির কাছে কিছু চাওয়া শিরক। আর আমার যতটুকু মনে আছে আমিও মূলত চেয়েছিলাম আল্লাহর কাছেই। তবে সেই চাওয়া শেষে পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সবার দেখাদেখি গাছে সুতো বাধি। উদাহরণ : আল্লাহ আমাকে আপনি নেক হায়াত দান করুন। (ধরুন এটি আমি চেয়েছি কিন্তু চাওয়া শেষে শুধু সাধারণভাবে সুতো বেধেছি। মাজারে শায়িত ব্যক্তির কাছে চাইনি।)বর্তমানে আমি খুবই দ্বিধাদ্বন্দে আছি এবং ভীত যে এটি কি শিরক করে ফেলেছি কিনা আমি নিজের অজান্তে। উল্লেখ্য আমাদের মাঝে কেউই মাজারে কোনো মানত করিনি,মাজারে নামাজ পড়িনি,সিজদাহ্ করিনি,মাজারে শায়িত ব্যক্তির জন্যে হয়তো কবর জিয়ারতের মতো করেছি শুধু। আর যদি দূর্ভাগ্যক্রমে এটি শিরক হয়েই থাকে সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কি জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো। জাযাকাল্লাহ খাইরান

২১ জানুয়ারী, ২০২৫
কুমিল্লা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


আপনি ও আপনার বন্ধুরা কেউ মাজারে গিয়ে সরাসরি শিরকি কাজে লিপ্ত না হলেও যারা শিরকী আকীদাহ পোষণ করে গাছে সুতো বাঁধে, আপনারা তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করেছেন। এটিও প্রকারান্তরে শিরিক।
অতএব পূর্বর কৃত অন্যায়ের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবাহ করুন। ইস্তিগফার করুন। ভবিষ্যতে এমন অন্যায় আর করবেন না, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন।আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই মাফ করে দিবেন।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন