আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৬১৬৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর, আমি জ্বীন সাধনা করি । পুরো ইসলামী তরীকায় সাধনা করি। তাই আমাকে সবাই আমাকে জ্বীনের বাদশাহ বলে ডাকে। যাই হোক, প্রশ্নে ফেরা যাক।১.জ্বীন সাধনা করায় একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল, জ্বীনেদের কি করোনা ভাইরাস হয় না? আমারও প্রশ্ন এটাই। আশা করি, সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।২."মহানবী সা: বলেছেন, তোমরা হিংস্র বাঘকে যেমন ভয় পাও মহামারী কে তেমন ভয় পাও" এ হাদীসের মান কি? কোন কিতাবের হাদীস?৩.মাস্ক পড়ে নামাজ আদায় করলে নামাজ আদায় হবে নাকি হবে না?

১৯ মে, ২০২১
ঢাকা ১২১২

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

১. করোনাভাইরাস একটি বিশেষ রোগের নাম। এ যাবত মানব দেহে এ রোগের ছড়াছড়ি প্রত্যক্ষ করা গিয়ছে। গরু ছাগলের দেহে এই রোগ এখন পর্যন্ত যায়নি।
জিনদের দেহ আমাদের থেকে ভিন্ন হওয়ায় তাদের কাছে এই রোগ যায়নি। উপরন্তু তাদের দেহ মাটি থেকে নয় বরং আগুন থেকে তৈরি। এজন্য আমাদের দেহ বৈশিষ্ট্যের অনেকগুলো তাদের কাছে নেই।

২. সাধারণ মানুষের আকীদাহ রক্ষা করার জন্য নবীজি এই কথা বলেছেন। যেহেতু রোগের নিজের ক্ষমতা নেই আরেকজনের গায়ে যাওয়ার জন্য। আল্লাহর হরকুমে কারো কাছে ছড়াতে পারে। আল্লাহর হুকুমে ছড়িয়ে পড়লো। আর কেউ মনে করলো ওর নিজস্ব ক্ষমতায় চলে আসলো। এতে তার আকীদাহ নষ্ট হয়ে গেল। এই বিনষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য নবীজি বলেছেন তুমি দূরে থাক। এরপরও যদি তার কাছে রোগ এসে যায়, তবে সে বুঝতে পারবে যে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে হয়েছে।

وَقَالَ عَفَّانُ حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ عَدْو‘ى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنْ الأَسَدِ.

আফফান (রহঃ) থেকে বর্ণিত:
সালীম ইবনু হাইয়ান, আবু হুরায়রাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমন নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক।
বোখারী, হাদিস নং ৫৭০৭


৩. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের সময় পুরুষদেরকে মুখ ঢেকে রাখতে নিষেধ করেছেন।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ عَطَاءٍ، - قَالَ إِبْرَاهِيمُ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ السَّدْلِ فِي الصَّلاَةِ وَأَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عِسْلٌ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ السَّدْلِ فِي الصَّلاَةِ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সলাতের সময় কাপড় উপর থেকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিতে ও মুখ ঢেকে রাখতে নিষেধ করেছেন।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৪৩

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন