প্রশ্নঃ ৫২৫২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আগের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি।শুকরিয়া। আমি আমার এক আত্মীয়ার হয়ে প্রশ্ন করছি।তার কাছে বর্তমানে ফোন নেই। রীতিমতো কি করবে বুঝতে না পেরে আমাকে বিষয়টি বলার পর আমি তার সম্মতি নিয়েই জিজ্ঞেস করছি। সে এখন কলেজ পড়ুয়া। স্কুলে পড়াকালীন এক ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো। এমনকি শারীরিক সম্পর্কও করেছে (নাউজুবিল্লাহ)।তখন তার আল্লাহর ভয় ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে সে আল্লাহর রাস্তায় ফিরে এসেছে। শরয়ী পর্দা পালন করে,নামাজ আদায় করে,আল্লাহর ইবাদত করে যতটুকু সম্ভব হয়। সে তার ওই পাপ কাজের জন্য তওবা করেছে, এখনো আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে মাফ চায়।আমার সামনেও সে খুব কান্নাকাটি করলো।সে যেদিন বুঝতে পেরেছিলো তাদের সম্পর্ক হারাম সেইদিন থেকেই সম্পর্ক রাখেনি। মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছে এক দ্বীনদার ছেলের সাথে। সে বিয়ে করতে চাচ্ছে সঠিকভাবে দ্বীন পালনের জন্য।কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো মেয়েটির সেই পাপ কাজের কথা মেয়েটির পরিবারও জানে না। এখন কি মেয়েটির উচিত হবু স্বামীকে, তার পরিবারকে সব বলা? কিন্তু মেয়েটি চাচ্ছে না যে তাদের সবটা বলবে, যদি বিয়ে ভেঙ্গে যায়। মেয়েটির পরিবার জেনে ফেলে তার ওই পাপ কাজের কথা তখন মেয়েটির জন্য খুবই দুর্বিষহ হয়ে পড়বে পরিবারে থাকা।সে আমাকে বলেছে কাউকেই কিছুই বলবে না।সবটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিবে!! আপনার মতামত কি হুজুর? তার এখন কি করা উচিত? জাযাকুমুল্লাহ🤲
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওয়ালাইকুমুস সালাম,
আপনার আত্মীয় যেহেতু তওবা করেছেন তাকে একজন কুমারী হিসেবেই তার পরিবার বিবাহ দেবেন দোষ গোপন রেখে। সে ক্ষেত্রে যার সাথে এই ব্যভিচার সংঘটিত হয়েছে, সম্ভব হলে তার সাথে বিবাহ দেবেন আর যদি সম্ভব না হয় অন্য কোথাও উত্তম পাত্রের কাছে স্বাভাবিক কুমারী মেয়ের মতই তাকে পাত্রস্থ করবেন। ওমর রদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর জামানায় এমন একজন মেয়ের বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল যিনি কুমারী অবস্থায় গর্ভবতী হয়েছিলেন এবং পরে তওবা করে একজন ভাল মুসলমানের জীবন যাবন করছিলেন। ওমর রদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তাকে একজন কুমারী মেয়ের মতই বিবাহ দেয়ার করা হয় করার হুকুম করলেন সকল দোষ গোপন রেখে।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন