و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে প্রমাণিত আছে

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى أَبُو مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، أَخْبَرَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ سَالِمٍ - الْمُقَفَّعُ - قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقْبِضُ عَلَى لِحْيَتِهِ فَيَقْطَعُ مَا زَادَ عَلَى الْكَفِّ وَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَفْطَرَ قَالَ ‏ "‏ ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏

মাওয়ান ইবনু সালিম আল-মুকাফফা‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ) -কে তার দাড়ি মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে মুষ্টির বাড়তি অংশ কেটে ফেলতে দেখেছি। আর তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফতারের সময় বলতেনঃ ‘পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ প্রতিদানও নির্ধারিত হয়েছে’।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৩৫৭

২. মুসাফাহার সুন্নাহ সম্মত দোয়া আছে।
হাদীস শরীফে : দুই মুসলিমের সাক্ষাতে আল্লাহর প্রশংসা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ফজিলত সম্পর্কে এসেছে। এর আলোকে মুহাদ্দিসগণ দোয়ার যে পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন, তা হল: يغفر الله لنا ولكم
ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম।

عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ فَتَصَافَحَا، وَحَمِدَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَاسْتَغْفَرَاهُ ؛ غُفِرَ لَهُمَا ".
সুনানু আবী দাউদ ৫২১১

قال صاحب عون المعبود عند شرح حديث أبي داود السابق : في الحديث سنية المصافحة عند اللقاء وأنه يستحب عند المصافحة حمد الله تعالى والاستغفار وهو قوله يغفر الله لنا ولكم

৩. একটি হাদিসে এসেছে দুই সময়ের দোয়া আল্লাহ তা'আলা ফেরত দেন না। শেষ রাত্রির দোয়া ও ফরজ নামাজের পরের দোয়া।
তবে ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিতভাবে, উচ্চস্বরে সর্ব অবস্থায় দোয়া করা উচিত নয়। বরং একাকী নিজের প্রয়োজনের কথা আল্লাহ তাআলাকে নিচুস্বরে বলবে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الثَّقَفِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الدُّعَاءِ أَسْمَعُ قَالَ ‏"‏ جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ وَدُبُرَ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ الدُّعَاءُ فِيهِ أَفْضَلُ أَوْ أَرْجَى ‏"‏ ‏.‏ أَوْ نَحْوَ هَذَا ‏.

আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, বলা হল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! কোন সময়ের দু’আ বেশী (শোনা) গ্রহণযোগ্য হয়? তিনি বললেন, শেষ রাতের মাঝ ভাগের এবং ফরয নামায গুলোর পরবর্তী দু’আ।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৯৯

৪. নামাজে একাগ্রতা আনার জন্য এটি একটি পদ্ধতি মাত্র । এমন ধ্যান করা আবশ্যক নয়।

৫. ফজরের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নত ঘর থেকে পড়ে গেলে মসজিদে গিয়ে দুখুলুল মসজিদ পড়া যাবে না।
সুবহে সাদিকের পর থেকে ফজরের নামাজ পর্যন্ত দু'রাকআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছাড়া অতিরিক্ত কোন নফল নামাজ পড়া নবীজি ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত নয়।

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ الْجُنْدَعِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ صَلاَةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ ‏"‏‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, ফজরের (সুবহে সাদিক) পর সূর্য উদিত হয়ে (একটু) উপরে না উঠা পর্যন্ত এবং ‘আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত কোন (নফল) সালাত নেই।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৬

والله اعلم بالصواب