আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

হিজরা

প্রশ্নঃ ৩৭৪৮০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হিজড়াদের কেয়ামতের দিন কিভাবে বিচার হবে পুরুষ হিসেবে নাকি মহিলা হিসেবে,

১৩ আগস্ট, ২০২৩

চিতলমারী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মৌলিকভাবে ইসলাম মানুষকে পুরুষ ও নারী হিসেবে গণ্য করে থাকে। যারা উভলিঙ্গ হয়ে থাকেন তারাও মূলতঃ হয় নারী কিংবা পুরুষ। তাই তাদের ব্যাপারে আলাদা কোনো বিধান আরোপ করা হয়নি। যে উভলিঙ্গের অধিকারী ব্যক্তির মাঝে যেটি বেশি থাকবে, তিনি সেই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত হবেন।

পৃথিবীতে মোট চার ধরনের হিজড়া দেখা যায়। ক. পুরুষ (তবে নারীর বেশে চলে) তাদের আকুয়া বলা হয়। এরা মেয়েদের বিয়ে করতে পারে। খ. নারী (বেশেও তাই, তবে দাড়ি-মোঁচ আছে)। তাদের জেনানা বলা হয়। তারা ইচ্ছা করলে পুরুষের কাছে বিয়ে বসতে পারে। গ. লিঙ্গহীন (বেশে যাই হোক)। আরবিতে তাদের ‘খুনসায়ে মুশকিলা’ বলা হয়। এই শ্রেণির হিজড়া আসলে কারা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বিজ্ঞ আদালত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক। ঘ. কৃত্তিমভাবে যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে বানানো হিজড়া। তাদের খোঁজা বলা হয়। যৌন অক্ষমতার দরুণ তারা বিয়ে করতে পারে না বা বসতেও পারে না।
হিজড়া কারা কিংবা কীভাবে নিধারিত হবে তাদের শ্রেণি এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আলী (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে প্রসূত বাচ্চা পুরুষ-নারী নির্ধারণ করতে না পারলে তার বিধান কি- জিজ্ঞাসা করলেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, সে মিরাস পাবে যেভাবে প্রস্রাব করে। -সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস: ১২৯৪, কানজুল উম্মাল, হাদিস: ৩০৪০৩, মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ১৯২০৪

হিজড়াদের নারী-পুরুষের যে কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলতে হবে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেটা হলো- দেখতে হবে হিজড়ার প্রস্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? না নারীদের মত গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মতো হবে হুকুম তাদের মতোই হবে। অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালী হয়, তাহলে পুরুষ। আর যদি নারীর মতো হয়, তাহলে সে নারী। আর যদি কোনোটিই বুঝা না যায়। তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে। সে হিসেবেই তার ওপর শরিয়তের বিধান আরোপ করা হবে।
হাশরের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে কোন কাতারে রাখবেন সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন
মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৫৭৪৫

ইল্লাল্লাহ জিকির করার বিধান


২০ জানুয়ারী, ২০২৫

কালিয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮১৭৯৯

অমুসলিমের সাথে বর্গা চুক্তি করলে উশর নাকি খারাজ দিবে?


২০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯০৫৮৩

ভিন্ন দেশ থেকে ৩০ রোযা রেখে বাংলাদেশে গেলে রোযা রাখতে হবে? রাখলে ৩১টা হয়ে যায়। করণীয় কি?


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

대한민국 경기도 파주시 월롱면 통일로৬২০번길 ৮৯-৫৩ (KR)

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮০০৩৪

সাহাবীর নামে মায়ের অসন্তুষ্টির মিথ্যা গল্প!!


৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy