প্রশ্নঃ ৩৭৪৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,,, উত্তর দেয়ার জন্য শুকরিয়া আমার বাচ্চা কাথায় পিসু করে ১= আই কাথা পাক না করে যেখানে রোদ দেই অর্থাৎ তারে,,, সেই তারে পুনরায় আমার জাম রোদ দিলে সেটা পরেকি নামাজ পরা উচিত হবে???২ = ইসলামে টিসু ব্যাবহার করার নিয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে,,কিন্তু বাচ্চাদের হাগুর কাথা যদি হাত দিয়ে ধোয়া হয় সেটা নিয়ে কি বলবেন??৩= বাথরুমে কাপড় পাক করবো কিভাবে যখন সেখানে তেলোয়াত নিসেধ? আর অন্য কোন জায়গানেই বাথরুম ছাড়া যেখানে পর্দা রক্ষা করে ধোয়া যায়,,আর বুরকা পরে ঘাটে কাজ করা খুবি কষ্ট সাধ্য
২৩ নভেম্বর, ২০২০
মুন্সিগঞ্জ
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. বাচ্চাদের পেশাবে ভেজা কাঁথা যে রশি/তারে রোদ্র দেয়া হয় ঐ তার/রশিতে আপনার জামা শুকাতে দিলে তা নাপাক হয়ে যায়। এ জামা পরে নামাজ পড়া যাবে না। অবশ্য কাঁথার শুকনো অংশ তারে ঝুলালে ঐ তার/রশি পবিত্র থাকবে এবং সেখানে আপনার কাপড় শুকাতে দিতে পারবেন।
২. "ইসলামে টিস্যু ব্যবহারের গুরুত্ব দিয়েছে" কথাটি এমন নয়। বরং ইসলাম পবিত্রতার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্রতা অর্জনের একটি মাধ্যম হলো টিস্যু ব্যবহার করা। আরেকটি মাধ্যম হলো পানি ব্যবহার করা।
বাচ্চাদের পায়খানার কাঁথা হাত দিয়ে ধোয়ার পর দুহাত, ব্যবহৃত ট্যাপ, পানির পাত্র, ফ্লোর ইত্যাদি পবিত্র করে নিতে হবে।
৩. কাপড় পবিত্র করার জন্য "বিসমিল্লাহ" অথবা কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে 'এমন শর্ত নেই'। তবে যেকোনো ভালো কাজের পূর্বে "বিসমিল্লাহ" পড়তে হয় বিধায় বাথরুমে প্রবেশের পূর্বে "বিসমিল্লাহ" পড়ে নিবেন। অতঃপর বাথরুমে বাচ্চাদের নাপাক কাপড়গুলোকে পবিত্র করবেন।
يَجُوزُ الِاسْتِنْجَاءُ بِنَحْوِ حَجَرٍ مُنَقٍّ كَالْمَدَرِ وَالتُّرَابِ وَالْعُودِ وَالْخِرْقَةِ وَالْجِلْدِ وَمَا أَشْبَهَهَا وَلَا فَرْقَ بَيْنَ أَنْ يَكُونَ الْخَارِجُ مُعْتَادًا أَوْ غَيْرَ مُعْتَادٍ فِي الصَّحِيحِ حَتَّى لَوْ خَرَجَ مِنْ السَّبِيلَيْنِ دَمٌ أَوْ قَيْحٌ يَطْهُرُ بِالْحِجَارَةِ وَنَحْوِهَا.
ফাতাওয়া হিন্দিয়া
وَالِاسْتِنْجَاءُ بِالْمَاءِ أَفْضَلُ إنْ أَمْكَنَهُ ذَلِكَ مِنْ غَيْرِ كَشْفِ الْعَوْرَةِ وَإِنْ احْتَاجَ إلَى كَشْفِ الْعَوْرَةِ يَسْتَنْجِي بِالْحَجَرِ وَلَا يَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
وَالْأَفْضَلُ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَهُمَا، كَذَا فِي التَّبْيِينِ قِيلَ هُوَ سُنَّةٌ فِي زَمَانِنَا وَقِيلَ عَلَى الْإِطْلَاقِ وَهُوَ الصَّحِيحُ وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى، كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
ফাতাওয়া হিন্দিয়া
والله اعلم بالصواب
ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১