আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৬৪৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, DPS এর যাকাত কিভাবে হিসাব করতে হবে? ১ মাসের টাকাটা ১২ মাস পূর্ন হবে২য় মাসের টাকাটা ১১ মাস পূর্ন হবে৩য় মাসের টাকাটা ১০ মাস পূর্ন হবেযাকাত দিতে হলে ত টাকাটা ১ বছর পূর্ন হতে হবে। দয়াকরে একটু বুঝিয়ে বলবেন।

১৬ নভেম্বর, ২০২০
ঢাকা ১২২৯

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


যাকাত ফরয হওয়ার জন্য মূল নিসাবের উপর এক বৎসর অতিবাহিত হতে হয়। মূল নিসাবের সাথে বর্ধিত সকল টাকার উপর বৎসর অতিবাহিত হওয়া আবশ্যক নয়। আর এটা সম্ভবও নয়। কার পক্ষে সম্ভব প্রতিটি টাকার বৎসর আলাদা আলাদা করে হিসেব রাখা? শরীয়ত এত কঠিন হিসেবের মুখোমুখি কাউকে করেনি।

উদাহরণ স্বরূপ: রমজান মাসের ১০ তারিখে আপনার কাছে বর্তমান যাকাতের নিসাব ৪৫,০০০ টাকা জমা হল। এরপর প্রতি মাসে আপনি ১০,০০০ টাকা করে এর সঙ্গে ডিপিএস করতে থাকলেন। পরের বছর রমজানের ১০ তারিখে মোট যত টাকা ডিপিএস হবে তার ওপর যাকাত দিতে হবে।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ صَالِحٍ الطَّلْحِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنِ اسْتَفَادَ مَالاً فَلاَ زَكَاةَ عَلَيْهِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَرَّاءَ بِنْتِ نَبْهَانَ الْغَنَوِيَّةِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সম্পদ অর্জন করল, তার উপর বর্ষচক্র পার না হওয়া পর্যন্ত যাকাত আদায় করতে হবে না।

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৬৩১

وَذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ إِلَى أَنَّهُ يَضُمُّ كُل مَا يَأْتِي فِي الْحَوْل إِلَى النِّصَابِ الَّذِي عِنْدَهُ فَيُزَكِّيهِمَا جَمِيعًا عِنْدَ تَمَامِ حَوْل الأَْوَّل، قَالُوا: لأَِنَّهُ يُضَمُّ إِلَى جِنْسِهِ فِي النِّصَابِ فَوَجَبَ ضَمُّهُ إِلَيْهِ فِي الْحَوْل كَالنِّصَابِ، وَلأَِنَّ النِّصَابَ سَبَبٌ، وَالْحَوْل شَرْطٌ، فَإِذَا ضُمَّ فِي النِّصَابِ الَّذِي هُوَ سَبَبٌ، فَضَمُّهُ إِلَيْهِ فِي الْحَوْل الَّذِي هُوَ شَرْطٌ أَوْلَى؛ وَلأَِنَّ إِفْرَادَ كُل مَالٍ يُسْتَفَادُ بِحَوْلٍ يُفْضِي إِلَى تَشْقِيصِ الْوَاجِبِ فِي السَّائِمَةِ، وَاخْتِلاَفِ أَوْقَاتِ الْوَاجِبِ، وَالْحَاجَةِ إِلَى ضَبْطِ مَوَاقِيتِ التَّمَلُّكِ، وَوُجُوبِ الْقَدْرِ الْيَسِيرِ الَّذِي لاَ يُتَمَكَّنُ مِنْ إِخْرَاجِهِ، وَفِي ذَلِكَ حَرَجٌ، وَإِنَّمَا شُرِعَ الْحَوْل لِلتَّيْسِيرِ، وَقَدْ قَال اللَّهُ تَعَالَى {وَمَا جَعَل عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ} (1) وَقِيَاسًا عَلَى نِتَاجِ السَّائِمَةِ وَرِبْحِ التِّجَارَةِ. وَاسْتَثْنَى أَبُو حَنِيفَةَ مَا كَانَ ثَمَنَ مَالٍ قَدْ زُكِّيَ فَلاَ يُضَمُّ، لِئَلاَّ يُؤَدِّيَ إِلَى الثَّنْيِ (2) .

الموسوعة الفقهية

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন