আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইসলামের নীতিমালা

প্রশ্নঃ ৩৪৫০১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট (যেমন: ক্রিম, ফেইস ওয়াস, সানস্ক্রিন ইত্যাদি) ব্যবহার করা কি জায়েজ? এবং স্কিন কেয়ার প্রডাক্টে কোন হারাম উপাদান মিশ্রিত আছে কিনা তা তো আমাদের দ্বারা বুঝা সম্ভব না, তাহলে কি তা ব্যবহার করা যাবে? এগুলোর পিছনে ২-৪ হাজার টাকা খরচ করা কি জায়েজ? (কমদামি গুলোতে সাধারণত ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে) দলিলসহ জানালে উপকৃত হবো।,

১১ জুন, ২০২৩

ভালুকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


বর্তমানে ক্রিম, ফেইস ওয়াস, সানস্ক্রিন ইত্যাদি, পাউডারসহ বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী পাওয়া যায়। এগুলোর ব্যবহার বৈধ। কেননা, ইসলাম নারীর জন্য মেহেদি, কলপ ইত্যাদির ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকে। আর আধুনিককালের এসব প্রসাধনীও এ শ্রেণীরই অন্তর্ভুক্ত। যেমন, বিন বায রহ. বলেন,
المكياج من باب الزينة، إذا كان لا يضر الوجه ولا يسبب ضرراً فلا حرج في ذلك، أما إذا كان يسبب ضرر فلا يُفعل
মেকআপ সাজসজ্জার অন্তর্ভুক্ত। যদি চেহারা বা ত্বকের ক্ষতি না করে তাহলে অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি এর কারণে ক্ষতি হয় তাহলে করা যাবে না। (www.binbaz.org.sa)
তবে এসব বস্তু ব্যবহারের সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে-
১- অমুসলিম কিংবা প্রকাশ্য পাপাচারে লিপ্ত নারীদের অনুকরণ করার উদ্দেশ্যে হলে এসবের ব্যবহার জায়েয হবে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। (আবু দাউদ ৪০৩১)
২- মেকআপে ক্ষতিকর বস্তু বা প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, আমাদের দেহের মালিক আমরা নই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لا ضرر ولا ضرار ক্ষতি ও ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি নেই। (সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)
৩- অতিরিক্ত রূপচর্চা করা যাবে না। কেননা, অতিরিক্ত রূপচর্চা হয়ত ত্বকের ক্ষতি করে কিংবা অপচয়ের সীমায় পড়ে।
৪– যে সমস্ত প্রসাধনী হালাল বস্তু দ্বারা তৈরি, সেগুলোর ব্যবহার জায়েয। যেমন- সাধারণ মেকআপ, লিপস্টিক ইত্যাদি। তবে এগুলোর উপাদানে যদি হারাম কিছু থাকে, এমনটি নিশ্চিতভাবে জানা থাকলে সেগুলো ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
৫- যে সমস্ত সাজসামগ্রীতে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো যদি আঙুর বা কিসমিসের তৈরি না হয় এবং নেশার পরিমাণে না পৌঁছায়, তাহলে ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর মতানুযায়ী তা ব্যবহার জায়েয। আর যদি আঙুর বা কিসমিসের তৈরি হয়- তাহলে সামান্য পরিমাণ ব্যবহারও জায়েয নয়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৫১২৬

ভিডিও কলের মাধ্যমে বিবাহ; শুদ্ধ না অশুদ্ধ?


১৩ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা ১২৩৬

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৪০২৪

ইমোজি ব্যবহার করার বিধান


১৫ নভেম্বর, ২০২২

গৌরনদী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৩৯৯২

ফেসবুকে বোরকা পরা ছবি ছাড়া যাবে?


৩০ মে, ২০২৩

রাঙামাটি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৫৯৯৭

ইউটিউব, ফেসবুকে বা ইনস্টাগ্রাম চ্যানেল থেকে উপার্জন জায়েজ?


১৭ অক্টোবর, ২০২৩

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy