আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

তারাবীহের নামাজ ২০ রাকাত পড়া সুন্নত।

প্রশ্নঃ ৩১৪৩৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, তারাবির নামাজ চার রাকাত পড়লে কি গুনা হবে ?,

২ এপ্রিল, ২০২৩

পবা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


তারাবীহের নামাজ বিশ রাকাত পড়লে অনেক সওয়াব হবে। আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যাবে।
আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্নেহ ও সান্নিধ্য পেয়ে যেসব সাহাবায়ে কেরাম দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টির ঘোষণা পেয়েছেন। কুরআনুল কারীমে যাদের সম্পর্কে একাধিকবার আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে-

رضي الله عنهم ورضوا عنه

আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তারাও (আল্লাহর জাযা পেয়ে) আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।

সেইসব সাহাবায়ে কেরাম ২০ রাকাত তারাবীহের নামাজ নিয়মিত জামাতের সাথে আদায় করেছেন। আমরাও যদি আল্লাহর ঐসব প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে চাই আমরা তাদের অনুসরণ করা জরুরি।

সাহাবায়ে কেরামের প্রথম সারি খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শ গ্রহণ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যাধিক গুরুত্বের সাথে নির্দেশ দিয়েছেন-

فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّينَ الرَّاشِدِينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ

তোমাদের উচিত হবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নাতের অনুসরণ করা, যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৫৫২ (আন্তর্জাতিক নং ৪৬০৭)

সাহাবায়ে কেরামের ২০ রাকাত তারাবীহ পড়া সংক্রান্ত বর্ণনা দেখুন;

সাহাবা ও তাবেয়ীনের যুগে মদীনা শরীফে যেমন বিশ রাকাত তারাবী পড়া হতো, মক্কা শরীফেও তেমনি বিশ রাকাতই পড়া হতো। আতা ইবনে আবূ রাবাহ (মৃত্যু ১১৪ হি)- যিনি বিশিষ্ট তাবেয়ী ছিলেন এবং বহু সংখ্যক সাহাবীর সাক্ষাৎলাভে ধন্য ছিলেন, মক্কা শরীফেই তার নিবাস ছিল- বলেছেন,

أدركت الناس وهم يصلون ثلاثا وعشرين ركعة بالوتر

অর্থাৎ আমি লোকদেরকে ( সাহাবা ও প্রথম সারির তাবেয়ীদেরকে) পেয়েছি তারা বেতের সহ ২৩ রাকাত পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৭৭৭০।)

এমনি ভাবে ইবনে আবী মুলাইকা র. মক্কার অধিবাসী ছিলেন। তিনি সেখানকার কাজি (বিচারক ) ও মুয়াজ্জিন ছিলেন। ১১৭ হি. সনে তার ওফাত হয়। তার সম্পর্কে নাফে’ ইবনে উমর বলেন,

كان يصلي بنا في رمضان عشرين ركعة

অর্থাৎ আমাদেরকে নিয়ে তিনি বিশ রাকাত পড়তেন।

ইমাম শাফেয়ী র.ও মক্কার অধিবাসী ছিলেন। ২০২ হি. সালে তাঁর ওফাত হয়। তিনি বলেছেন, هكذا أدركت ببلدنا بمكة يصلون عشرين অর্থাৎ অনুরূপ ভাবে

আমি আমাদের শহর মক্কা শরীফে পেয়েছি,তারা বিশ রাকাত নামায পড়তেন। (তিরমিযী শরীফ)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০৪৯৬

যেসকল কারণে রোযা না রাখা বা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সুনামগঞ্জ, Chittagong, Bangladesh

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩২০৩৫

রমজানে এক টাকা দান করলে কি ৭০ টাকা দান করার সওয়াব হয়?


২ এপ্রিল, ২০২৩

গোরকঘাটা পৌরসভা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৯৩১৪১

বাসায় একাকী তারাবীর নামায পড়া যাবে?


৫ মার্চ, ২০২৫

মাওনা ইউনিয়ন

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩২৪৩৬

লাইলাতুল কদরের রাত সব দেশে কি একই রাতে হয়?


৬ এপ্রিল, ২০২৩

Saihat ৩২৪৭১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy