و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

তারাবীহ না পড়লে রোজার কোনো ক্ষতি হয়না। তবে তারাবীর নামায সুন্নাতে মুআক্কাদা। ইমাম নববী বলেন,
صلاة التراويح سنة بإجماع العلماء
আলেমগণের ইজমা অনুযায়ী তারাবীর নামায পড়া সুন্নত। (আলমাজমূ ৪/৩১)
আর সুন্নাতে মুআক্কাদার মর্যাদা প্রায় ওয়াজিবের মতো। যা ছাড়লে গুনাহ হয়। ইবন নুজাইম রহ. বলেন,
والذي يظهر من كلام أهل المذهب أن الإثم منوط بترك الواجب أو السنة المؤكدة على الصحيح ؛… فالإثم لتارك السنة المؤكدة أخف من الإثم لتارك الواجب
মাযহাবের ইমামদের কথা থেকে স্পষ্ট হয় যে, ওয়াজিব অথবা সুন্নতে মুআক্কাদা ত্যাগ করলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী গুনাহ হয়। তবে সুন্নতে মুআক্কাদা ত্যাগকারীর গুনাহ ওয়াজিব ত্যাগকারীর চাইতে কম হবে। (আল বাহ্রুররায়েক ১/৩১৯)
তাছাড়া ফজিলতের দিক থেকে তারাবীহ রোজার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। কেননা, রাসূল ﷺ বলেছেন,
‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
যে ব্যাক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযানের রোজা পালন করে, তার পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহীহ বুখারী ৩৭)
একই হাদিসে একই ফজিলত তারাবীহ সম্পর্কেও এসেছে, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
যে ব্যাক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযান মাসে রাতে ইবাদত করবে তার পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহীহ বুখারী ৩৭)
একারণেই ফুযাইল ইবন আয়ায রহ বলতেন,
إذا لم تقدر على قيام الليل وصيام النهار فاعلم أنك محروم كبلتك خطيئتك
যদি তুমি রাতে কিয়াম (নামায) এবং দিনে রোজা পালন করতে না পারো তবে জেনে রেখো, তুমি বঞ্চিত। গুনাহ তোমাকে বন্দি করে ফেলেছে। (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ৪৬)

والله اعلم بالصواب